Ajker Patrika

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: দেশের অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম চলছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নেবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে উচ্চ শিক্ষার আদর্শ স্থান হিসেবে তারাও কোনো অংশে কম না।   আজ শনিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র চতুর্থ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য এ সব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সমাবর্তনে এক হাজার ৪৬৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১৩ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণার বিভিন্ন স্তরের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার দক্ষতা অর্জন করছে। আমি শুনেছি গ্রিন ইউনিভার্সিটিও খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার অতি মারির এই দুর্যোগময় পরিস্থিতি সত্ত্বেও তারা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা মেনে শিক্ষার চাকাকে বলিষ্ঠভাবে সচল রেখেছে। তাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আমি নিশ্চিত। আমি প্রত্যাশা করি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে উপযুক্ত স্থান অধিকার করবে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে দীপু মনি বলেন, আজ আপনারা প্রিয় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান আপনাদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে। যা শিখেছেন তা প্রয়োগ করে দেশ-জাতিকে সমৃদ্ধ করবেন। সব বাধা -বিপত্তি উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাবেন।

শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এই যাত্রাপথের কোনো শেষ নেই। সব সময় নিজেদের হৃদয় ও মস্তিষ্ক খোলা রাখতে হবে। জীবন থেকে শিখবেন। সেই শেখা একেক সময় একেক রকম হবে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, যা শিখলেন তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন। কোনো শিক্ষাই ফেলা যায় না। অর্থবিত্তই সবকিছু নয়।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্টিভ জবস গ্র্যাজুয়েট ছিলেন না। কিন্তু তিনি তাঁর ইনোভেটিভ চিন্তা দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। সাফল্য পাওয়ার কোনো শর্টকাট পথ নেই। সাফল্য পেতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এর বাইরে কোনো অপশন নেই।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্র্যাজুয়েটদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গড়ে তুলতে ট্রাস্টি বোর্ড সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়।

‘শিক্ষার মানের সঙ্গে কখনো আপস করতে রাজি নই’ উল্লেখ করে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ জন্য আমরা কো-কারিকুলামে জোর দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের মেধা, পরিশ্রম দিয়ে তোমরা সাফল্য অর্জন করেছ। এ প্রতিষ্ঠান তোমাদের। আমাদের অভিযাত্রায় তোমাদের সঙ্গী পেয়ে খুশি হয়েছিলাম। তোমাদের কাজ, দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে গর্বিত করবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ফায়জুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত