নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালকে নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২২ বিশিষ্ট নাগরিক।
গত ২ অক্টোবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
ওই সাক্ষাৎকারে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বুধবার (৫ অক্টোবর) প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সুলতানা কামালেরা মানবাধিকারকর্মী নন, তাঁরা এখন আওয়ামী অধিকার রক্ষার কর্মী। যখন ভোলা, যশোর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও যুবদলের কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, তখন আপনি (সুলতানা কামাল) কোথায় ছিলেন? আপনারা ওটার প্রতিবাদ করলেন না, আপনারা কিসের মানবাধিকারকর্মী? আপনারা আওয়ামী অধিকারকর্মী। আপনি আওয়ামী লীগের স্বার্থের যে অধিকার সেই অধিকারের কর্মী।’
রিজভীর দেওয়া এই বক্তব্যকে আক্রমণাত্মক, অসংবেদনশীল, অশোভনীয় ও কুরুচিপূর্ণ বলে অভিহিত করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ২২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
তাঁরা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সুলতানা কামাল সাধারণ জনগণের পক্ষে আজীবন কাজ করেছেন। তাঁকে আওয়ামী লীগের কর্মী বলে অভিযোগ করা অনভিপ্রেত এবং এর মাধ্যমে মানবাধিকার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিএনপির দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি তাঁকে ছোট করার হীন প্রয়াস বলে মনে হয়। শুধু তাই নয়, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং মানবাধিকারকর্মী শাহরিয়ার কবিরের মতো বরেণ্য বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্যও অশোভনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও চরম নিন্দনীয়।’
সুলতানা কামাল তাঁর সাক্ষাৎকারে কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য উদ্ঘাটন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। পাশাপাশি রিজভীর বক্তব্যকে তাঁর ও তাঁর দলের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ, দেশের মানবাধিকার আন্দোলনকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা এবং যাঁরা দেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন বলেও উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
বিবৃতিদাতারা বলেন, রিজভীর বক্তব্য প্রকারান্তরে মানবাধিকার আন্দোলনকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা হিসেবে প্রতীয়মান হয় এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। রিজভীর অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে তিনি ও তাঁর দল মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানে বিরত থাকবেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন—অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, হুমায়ূন কবীর, শামসুল হুদা, অধ্যাপক মিসবাহ কামাল, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সঞ্জীব দ্রং, রবীন্দ্র সরেন, পল্লব চাকমা, সানায়া আনসারী, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, মোতাহার হোসেন আকন্দ, খুশী কবীর, জিনাত আরা হক, বেগম রোকেয়া, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, অধ্যাপক এ এস এম মাসুম বিল্লাহ, তাপস কুমার দাস, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
গত ২ অক্টোবর ভারতীয় পত্রিকা ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন সংস্করণে বাংলাদেশের গুম, খুন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মূলত বাংলাদেশে গুম ও নিখোঁজ সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে ইন্ডিয়া টুডে।
সেখানে সুলতানা কামালসহ বাংলাদেশের কয়েকজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী এবং গবেষকের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। সাক্ষাৎকারে সুলতানা কামাল বলেন, ‘মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বিএনপির মিথ্যা ভান করার ইতিহাস রয়েছে।’ সেই সঙ্গে এই দলটির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ তোলার কারণে বিএনপি এরই মধ্যে তাদের ভাবমূর্তির অনেকখানি ক্ষতি করে ফেলেছে।’
গুম বিষয়ে জাতিসংঘ একপেশে ও পক্ষপাতমূলকভাবে একটি বা দুটি মানবাধিকার সংগঠনের দেওয়া তথ্য আমলে নিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে ইন্ডিয়া টুডের ওই প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মীরা এমনটাই বলেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন।
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালকে নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২২ বিশিষ্ট নাগরিক।
গত ২ অক্টোবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
ওই সাক্ষাৎকারে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বুধবার (৫ অক্টোবর) প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সুলতানা কামালেরা মানবাধিকারকর্মী নন, তাঁরা এখন আওয়ামী অধিকার রক্ষার কর্মী। যখন ভোলা, যশোর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও যুবদলের কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, তখন আপনি (সুলতানা কামাল) কোথায় ছিলেন? আপনারা ওটার প্রতিবাদ করলেন না, আপনারা কিসের মানবাধিকারকর্মী? আপনারা আওয়ামী অধিকারকর্মী। আপনি আওয়ামী লীগের স্বার্থের যে অধিকার সেই অধিকারের কর্মী।’
রিজভীর দেওয়া এই বক্তব্যকে আক্রমণাত্মক, অসংবেদনশীল, অশোভনীয় ও কুরুচিপূর্ণ বলে অভিহিত করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ২২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
তাঁরা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সুলতানা কামাল সাধারণ জনগণের পক্ষে আজীবন কাজ করেছেন। তাঁকে আওয়ামী লীগের কর্মী বলে অভিযোগ করা অনভিপ্রেত এবং এর মাধ্যমে মানবাধিকার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিএনপির দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি তাঁকে ছোট করার হীন প্রয়াস বলে মনে হয়। শুধু তাই নয়, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং মানবাধিকারকর্মী শাহরিয়ার কবিরের মতো বরেণ্য বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্যও অশোভনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও চরম নিন্দনীয়।’
সুলতানা কামাল তাঁর সাক্ষাৎকারে কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য উদ্ঘাটন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। পাশাপাশি রিজভীর বক্তব্যকে তাঁর ও তাঁর দলের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ, দেশের মানবাধিকার আন্দোলনকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা এবং যাঁরা দেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন বলেও উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
বিবৃতিদাতারা বলেন, রিজভীর বক্তব্য প্রকারান্তরে মানবাধিকার আন্দোলনকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা হিসেবে প্রতীয়মান হয় এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। রিজভীর অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে তিনি ও তাঁর দল মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানে বিরত থাকবেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন—অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, হুমায়ূন কবীর, শামসুল হুদা, অধ্যাপক মিসবাহ কামাল, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সঞ্জীব দ্রং, রবীন্দ্র সরেন, পল্লব চাকমা, সানায়া আনসারী, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, মোতাহার হোসেন আকন্দ, খুশী কবীর, জিনাত আরা হক, বেগম রোকেয়া, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, অধ্যাপক এ এস এম মাসুম বিল্লাহ, তাপস কুমার দাস, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
গত ২ অক্টোবর ভারতীয় পত্রিকা ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন সংস্করণে বাংলাদেশের গুম, খুন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মূলত বাংলাদেশে গুম ও নিখোঁজ সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে ইন্ডিয়া টুডে।
সেখানে সুলতানা কামালসহ বাংলাদেশের কয়েকজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী এবং গবেষকের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। সাক্ষাৎকারে সুলতানা কামাল বলেন, ‘মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বিএনপির মিথ্যা ভান করার ইতিহাস রয়েছে।’ সেই সঙ্গে এই দলটির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ তোলার কারণে বিএনপি এরই মধ্যে তাদের ভাবমূর্তির অনেকখানি ক্ষতি করে ফেলেছে।’
গুম বিষয়ে জাতিসংঘ একপেশে ও পক্ষপাতমূলকভাবে একটি বা দুটি মানবাধিকার সংগঠনের দেওয়া তথ্য আমলে নিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে ইন্ডিয়া টুডের ওই প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মীরা এমনটাই বলেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৫ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
৬ ঘণ্টা আগেজাপান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, জাপান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে