কামরুল হাসান, ঢাকা
একদিন বিকেলের দিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে গেছি। দেখি আইজিপির কক্ষের সামনে বেশ জটলা। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ তখন আইজিপি। তাঁর স্টাফ অফিসার বেলাল হোসেন খুবই ব্যস্ত। কী ব্যাপার? খোঁজখবর করতেই খুব পরিচিত এক কর্মকর্তা বললেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, সেটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। কিসের মামলা? বললেন, বাড়ি দখলের। একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, কার বিরুদ্ধে? তিনি বললেন, মুন্সি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
যে সময়ের কথা বলছি, সেটা ২০০৭ সালের অক্টোবর। মুন্সি আতিক তখন সিআইডির এএসপি। যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলা, গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর সভামঞ্চ ও হেলিপ্যাডের কাছে বোমা পুঁতে রাখা, একই জেলার বানিয়াচং খ্রিষ্টান গির্জায় বোমা হামলা, সিলেটে শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা এবং বগুড়ায় এক লাখ গুলির চালান জব্দ করার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সিআইডিতে তাঁর অনেক নামডাক। এ রকম লোক কেন বাড়ি দখল করবেন!
আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম, কিন্তু সেদিন সিদ্ধান্ত হলো না। কাউকে কিছু না বলে শিকারির মতো লেগে থাকলাম। সিদ্ধান্ত হলো দুদিন পর। যথাসময়ে সেই আদেশের নথি হাতে পেয়ে গেলাম। দেখি তাতে যে বাড়িটি তিনি দখল করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের এফ ব্লকের ৩ নম্বর সড়কে অবস্থিত। বাড়িটি একসময় মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি বাসভবন ছিল। ১৯৭২ সালে গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় দেড়তলা বাড়িটি পুলিশ বিভাগকে বরাদ্দ দেয়। ১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে এটি মিরপুর থানার ওসির সরকারি বাসা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। মুন্সি আতিকুর রহমান ১৯৮৫ সালে মিরপুর থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর এই বাড়িতেই ওঠেন। দুই বছর পর তিনি এএসপি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে যোগ দেন, কিন্তু বাড়িটি আর ছাড়েননি। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাড়িটি নিজের দখলে রাখেন। পৌনে চার কাঠা জমির ওপর দোতলা বাড়িটি তিনি পরে ছয়তলা করেন।
নথিপত্রে দেখলাম, বাড়িটি খালি করার জন্য ১৯৮৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে মুন্সি আতিককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরপর আতিক বাড়িটিতে আরও এক বছর থাকার জন্য আবেদন করেন। পুলিশ বিভাগ সে আবেদন গ্রহণ করে। কিন্তু এই এক বছরে ঘটে যায় অনেক কিছু। মুন্সি আতিকের সহায়তায় আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাড়িটির মালিকানা দাবি করে পুলিশের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেন। পুলিশ প্রশাসন এরপর মুন্সি আতিককে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবার চিঠি দেয়। কিন্তু সেই আতাউর রহমান বাড়িটির দখল নিতে আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নেন। কিন্তু বাড়িটি ঠিকই মুন্সি আতিকের দখলে থেকে যায়।
মুন্সি আতিক আমাকে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে বাড়ি দখলের অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা কখনো পুলিশ বিভাগের ছিল না। এটা ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তি। পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়িটি নিজেদের দখলে নিয়ে আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। আতাউরের কাছ থেকে তিনি বাড়িটি কিনে নেন। প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি কেনার পরও তাঁর বিরুদ্ধে অযথা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মুন্সি অভিযোগ করেন, রুবেল হত্যা মামলার তদন্তকারী ছিলেন তিনি। ওই মামলায় অভিযুক্ত এসি আকরামের ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা এ বাড়ির ঘটনায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন।
আমি পুলিশের নথিপত্র ভালো করে পড়ে দেখলাম, তাতে লেখা রয়েছে, মুন্সি আতিক নিজে ওই বাড়িতে অবস্থান করে দখলের জন্য আতাউর রহমানকে দিয়ে মামলা করিয়ে পুলিশকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের জন্য তাঁর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়।
মুন্সি আতিক এরপর বাড়িটি বুঝে নেওয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে চিঠি দেন। এ জন্য দিনক্ষণও ঠিক করা হয়; কিন্তু ওই দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না। পরে আতাউর রহমানের ওই মামলায় ঢাকার দ্বিতীয় সাব-জজ বাড়িটি পুলিশ বিভাগের বলে রায় দেন। এরপর আতাউর রহমান জজ আদালত থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নেন। মুন্সি আতিক ওই সময় সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন এবং ওই বাড়িতেই থাকতেন।
সর্বশেষ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স তাঁর অবসর ভাতা স্থগিত রাখা এবং যাবতীয় আর্থিক পাওনা ছাড় করার ব্যাপারে অনাপত্তি দেওয়ার জন্য সিআইডির প্রধানকে চিঠি দেয়। মুন্সি আতিক ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। এতেই সব আটকে যায়। যাহোক, মুন্সি আতিকের বিরুদ্ধে সরকারি বাড়ি দখলের মামলা হয়েছিল ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর, মিরপুর থানায়। যত দূর জানি, সেই মামলা এখনো শেষ হয়নি। মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী ছিলেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। পুলিশের তখনকার মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ আমাকে বলেছিলেন, এ বাড়ি ছাড়তেই হবে। মুন্সি আতিক অবশ্য বাড়িটি আর রাখতে পারেননি।
সে সময় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, কোন মুনশিয়ানায় সরকারি সম্পত্তি দখল করে নেওয়া যায়, এ ঘটনা ছিল তার বড় দৃষ্টান্ত। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা সিআইডিতে স্থানান্তরের পর দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মুন্সি আতিক। মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগে তিনিসহ সিআইডির সাবেক তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় সাজা খেটে বের হওয়ার পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেন না, ঢাকায়ও থাকেন না মুন্সি।
আরও পড়ুন:
একদিন বিকেলের দিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে গেছি। দেখি আইজিপির কক্ষের সামনে বেশ জটলা। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ তখন আইজিপি। তাঁর স্টাফ অফিসার বেলাল হোসেন খুবই ব্যস্ত। কী ব্যাপার? খোঁজখবর করতেই খুব পরিচিত এক কর্মকর্তা বললেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, সেটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। কিসের মামলা? বললেন, বাড়ি দখলের। একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, কার বিরুদ্ধে? তিনি বললেন, মুন্সি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
যে সময়ের কথা বলছি, সেটা ২০০৭ সালের অক্টোবর। মুন্সি আতিক তখন সিআইডির এএসপি। যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলা, গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর সভামঞ্চ ও হেলিপ্যাডের কাছে বোমা পুঁতে রাখা, একই জেলার বানিয়াচং খ্রিষ্টান গির্জায় বোমা হামলা, সিলেটে শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা এবং বগুড়ায় এক লাখ গুলির চালান জব্দ করার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সিআইডিতে তাঁর অনেক নামডাক। এ রকম লোক কেন বাড়ি দখল করবেন!
আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম, কিন্তু সেদিন সিদ্ধান্ত হলো না। কাউকে কিছু না বলে শিকারির মতো লেগে থাকলাম। সিদ্ধান্ত হলো দুদিন পর। যথাসময়ে সেই আদেশের নথি হাতে পেয়ে গেলাম। দেখি তাতে যে বাড়িটি তিনি দখল করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের এফ ব্লকের ৩ নম্বর সড়কে অবস্থিত। বাড়িটি একসময় মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি বাসভবন ছিল। ১৯৭২ সালে গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় দেড়তলা বাড়িটি পুলিশ বিভাগকে বরাদ্দ দেয়। ১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে এটি মিরপুর থানার ওসির সরকারি বাসা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। মুন্সি আতিকুর রহমান ১৯৮৫ সালে মিরপুর থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর এই বাড়িতেই ওঠেন। দুই বছর পর তিনি এএসপি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে যোগ দেন, কিন্তু বাড়িটি আর ছাড়েননি। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাড়িটি নিজের দখলে রাখেন। পৌনে চার কাঠা জমির ওপর দোতলা বাড়িটি তিনি পরে ছয়তলা করেন।
নথিপত্রে দেখলাম, বাড়িটি খালি করার জন্য ১৯৮৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে মুন্সি আতিককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরপর আতিক বাড়িটিতে আরও এক বছর থাকার জন্য আবেদন করেন। পুলিশ বিভাগ সে আবেদন গ্রহণ করে। কিন্তু এই এক বছরে ঘটে যায় অনেক কিছু। মুন্সি আতিকের সহায়তায় আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাড়িটির মালিকানা দাবি করে পুলিশের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেন। পুলিশ প্রশাসন এরপর মুন্সি আতিককে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবার চিঠি দেয়। কিন্তু সেই আতাউর রহমান বাড়িটির দখল নিতে আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নেন। কিন্তু বাড়িটি ঠিকই মুন্সি আতিকের দখলে থেকে যায়।
মুন্সি আতিক আমাকে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে বাড়ি দখলের অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা কখনো পুলিশ বিভাগের ছিল না। এটা ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তি। পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়িটি নিজেদের দখলে নিয়ে আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। আতাউরের কাছ থেকে তিনি বাড়িটি কিনে নেন। প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি কেনার পরও তাঁর বিরুদ্ধে অযথা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মুন্সি অভিযোগ করেন, রুবেল হত্যা মামলার তদন্তকারী ছিলেন তিনি। ওই মামলায় অভিযুক্ত এসি আকরামের ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা এ বাড়ির ঘটনায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন।
আমি পুলিশের নথিপত্র ভালো করে পড়ে দেখলাম, তাতে লেখা রয়েছে, মুন্সি আতিক নিজে ওই বাড়িতে অবস্থান করে দখলের জন্য আতাউর রহমানকে দিয়ে মামলা করিয়ে পুলিশকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের জন্য তাঁর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়।
মুন্সি আতিক এরপর বাড়িটি বুঝে নেওয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে চিঠি দেন। এ জন্য দিনক্ষণও ঠিক করা হয়; কিন্তু ওই দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না। পরে আতাউর রহমানের ওই মামলায় ঢাকার দ্বিতীয় সাব-জজ বাড়িটি পুলিশ বিভাগের বলে রায় দেন। এরপর আতাউর রহমান জজ আদালত থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নেন। মুন্সি আতিক ওই সময় সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন এবং ওই বাড়িতেই থাকতেন।
সর্বশেষ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স তাঁর অবসর ভাতা স্থগিত রাখা এবং যাবতীয় আর্থিক পাওনা ছাড় করার ব্যাপারে অনাপত্তি দেওয়ার জন্য সিআইডির প্রধানকে চিঠি দেয়। মুন্সি আতিক ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। এতেই সব আটকে যায়। যাহোক, মুন্সি আতিকের বিরুদ্ধে সরকারি বাড়ি দখলের মামলা হয়েছিল ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর, মিরপুর থানায়। যত দূর জানি, সেই মামলা এখনো শেষ হয়নি। মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী ছিলেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। পুলিশের তখনকার মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ আমাকে বলেছিলেন, এ বাড়ি ছাড়তেই হবে। মুন্সি আতিক অবশ্য বাড়িটি আর রাখতে পারেননি।
সে সময় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, কোন মুনশিয়ানায় সরকারি সম্পত্তি দখল করে নেওয়া যায়, এ ঘটনা ছিল তার বড় দৃষ্টান্ত। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা সিআইডিতে স্থানান্তরের পর দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মুন্সি আতিক। মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগে তিনিসহ সিআইডির সাবেক তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় সাজা খেটে বের হওয়ার পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেন না, ঢাকায়ও থাকেন না মুন্সি।
আরও পড়ুন:
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
১০ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
১১ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
১২ ঘণ্টা আগে