পণ্যের দাম বাড়লেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে: সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬: ২৪
Thumbnail image

স্থানীয় পণ্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে বলে সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর পক্ষে এ কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। 

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। 
 
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় আনার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে সরকার প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বিরাট একটি অংশ দেশে উৎপাদিত হয়ে থাকে। সাধারণত ভোজ্য তেল, চিনি ও মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়। আমদানি করা পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সহিত আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কিত। স্থানীয় পণ্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘাটতি ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের সঙ্গে সাত হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩, মিয়ানমারের সঙ্গে ঘাটতি ১১৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ঘাটতি ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি নেই। 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেশি। আর সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে ঘাটতি বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ১৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় কম ছিল। তখন বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকত এবং বেশি চা রপ্তানি করা হতো। বর্তমানে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি। উৎপাদন ও চাহিদা প্রায় সমান। 

তিনি আরও বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য দেশে উৎপাদিত প্রায় সকল চা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে রপ্তানির জন্য খুব বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকে না। তবে গত বছর তথা ২০২৩ সালে দেশে ১০২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। তার মধ্যে সাড়ে ১০ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। পক্ষান্তরে মাত্র ৬ লাখ কেজি চা পুনঃরপ্তানি ও ভ্যালু অ্যাডেড চা তৈরির জন্য আমদানি হয়ে থাকে। 

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে আবশ্যকীয় দ্রব্যাদির মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত