নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে সদ্যসমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় বা কালোটাকা বৈধ করা হয়েছে। এ সুযোগ নিয়েছেন ১২ হাজার করদাতা। সরকার এ বাবদ রাজস্ব আদায় করেছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে এত বেশি পরিমাণ অপ্রদর্শিত টাকা কখনো বৈধ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া এবং তা বছরের পর বছর অব্যাহত রাখার বিষয়টিকে অনৈতিক ও সংবিধান পরিপন্থী বলেছেন অর্থনীতিবিদেরা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধকারীদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপরে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থের ঘোষণা দিয়েছেন এবং অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেন। অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ নেওয়াদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, সরকারি চাকরিজীবী, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, ব্যাংকের স্পনসর পরিচালক, স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে পুঁজিবাজার, নগদ টাকা অথবা জমি-ফ্ল্যাট কেনা বাবদ সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৮৫৯ জন কালোটাকা সাদা করেছেন। এর পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু জুন মাসেই ১ হাজার ৪৫৫ জন ৬১৯ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেন।
এদিকে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিকে অনৈতিক ও সংবিধান পরিপন্থী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি অনৈতিক। এ ছাড়া বিষয়টি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, অর্থনৈতিকভাবে যুক্তিসংগত নয় এবং রাজনৈতিক দিক থেকেও দূরদর্শিতার পরিচায়ক নয়। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় দেশে প্রতিবছর কি পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কালোটাকা বৈধ করার মাধ্যমে সরকার যত রাজস্বই আদায়ই করুক না কেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। কালোটাকা বৈধ করার বিষয়টি সংবিধানের ২০ ধারার ২ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ সরকারের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিরও পরিপন্থি। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় এবং দুর্নীতির সম্প্রসারণ ঘটে, যা সমাজ–রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
দেশে সদ্যসমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় বা কালোটাকা বৈধ করা হয়েছে। এ সুযোগ নিয়েছেন ১২ হাজার করদাতা। সরকার এ বাবদ রাজস্ব আদায় করেছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে এত বেশি পরিমাণ অপ্রদর্শিত টাকা কখনো বৈধ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া এবং তা বছরের পর বছর অব্যাহত রাখার বিষয়টিকে অনৈতিক ও সংবিধান পরিপন্থী বলেছেন অর্থনীতিবিদেরা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধকারীদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপরে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থের ঘোষণা দিয়েছেন এবং অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেন। অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ নেওয়াদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, সরকারি চাকরিজীবী, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, ব্যাংকের স্পনসর পরিচালক, স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে পুঁজিবাজার, নগদ টাকা অথবা জমি-ফ্ল্যাট কেনা বাবদ সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৮৫৯ জন কালোটাকা সাদা করেছেন। এর পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু জুন মাসেই ১ হাজার ৪৫৫ জন ৬১৯ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেন।
এদিকে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিকে অনৈতিক ও সংবিধান পরিপন্থী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি অনৈতিক। এ ছাড়া বিষয়টি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, অর্থনৈতিকভাবে যুক্তিসংগত নয় এবং রাজনৈতিক দিক থেকেও দূরদর্শিতার পরিচায়ক নয়। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় দেশে প্রতিবছর কি পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কালোটাকা বৈধ করার মাধ্যমে সরকার যত রাজস্বই আদায়ই করুক না কেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। কালোটাকা বৈধ করার বিষয়টি সংবিধানের ২০ ধারার ২ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ সরকারের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিরও পরিপন্থি। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় এবং দুর্নীতির সম্প্রসারণ ঘটে, যা সমাজ–রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে