২৫ টাকায় মাটি পরীক্ষা, ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার যাচ্ছে ৫৬ উপজেলায়

  • আজ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি
  • নদীর নামে ১০ ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার
  • মাটি পরীক্ষার পর কৃষক পাবে সার সুপারিশ কার্ড
সাইফুল মাসুম, ঢাকা
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ০০
Thumbnail image
ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষাগারগুলোর নাম রাখা হয়েছে নদীর নামে। ছবি: মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট

মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম সার ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগারের মাধ্যমে মাটি পরীক্ষার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)। এই কর্মসূচির আওতায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার দেশের ৪৯ জেলার ৫৬টি উপজেলায় মাটি পরীক্ষা করবে। কৃষকেরা মাত্র ২৫ টাকা ভর্তুকি মূল্যে (প্রকৃত খরচ ৪৪০ টাকা) ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা করতে পারবেন। ইনস্টিটিউটের কর্মীরা মাটি পরীক্ষার পর সার সুপারিশ কার্ড সরবরাহ করবেন।

এসআরডিআইয়ের তথ্য অনুসারে, ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) রবি-২০২৪ মৌসুমের কর্মসূচি মোতাবেক আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০টি ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে মাটি পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নদীর নামে নামকরণ করা গবেষণাগারগুলো হলো যমুনা, তিতাস, রূপসা, তিস্তা, মধুমতী, কর্ণফুলী, ব্রহ্মপুত্র, কীর্তনখোলা, সুরমা ও করতোয়া। গবেষণায় মাটির বিশ্লেষণযোগ্য উপাদানগুলো হলো পিএইচ, ইসি, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, গন্ধক, জিংক ও বোরন।

ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা কর্মসূচির স্লোগান দেওয়া হয়েছে ‘মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম সার ব্যবহার করুন, অধিক ফসল ঘরে তুলুন’।

গবেষণাগার ‘যমুনা’ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী, নেত্রকোনার দুর্গাপুরসহ পর্যায়ক্রমে ছয়টি উপজেলায় মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করতে আজ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবে। একই সময় ফেনীর সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিসহ ছয়টি উপজেলায় অবস্থান করবে গবেষণাগার ‘তিতাস’। ‘তিস্তা’ অবস্থান করবে নাটোরের সিংড়া, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরসহ ছয়টি উপজেলায়। ‘কর্ণফুলী’ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়াসহ ছয়টি উপজেলায় অবস্থান করবে। ‘ব্রহ্মপুত্র’ থাকবে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার, জামালপুরের বকশীগঞ্জসহ ছয়টি উপজেলায়। ‘করতোয়া’ অবস্থান করবে রংপুরের গঙ্গাচড়া, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জসহ ছয়টি উপজেলায়।

গবেষণাগার ‘মধুমতী’ ১৭ থেকে ৩০ নভেম্বর অবস্থান করবে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, মাদারীপুর সদরসহ চারটি উপজেলায়। একই সময় গবেষণাগার কীর্তনখোলা বরিশালের গৌরনদী, পটুয়াখালীর দুমকীসহ চারটি উপজেলায় অবস্থান করবে। ‘সুরমা’ অবস্থান করবে সিলেটের কানাইঘাট, মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ চারটি উপজেলায়। এ ছাড়া ১৭ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গবেষণাগার ‘রূপসা’ পর্যায়ক্রমে অবস্থান করবে মেহেরপুরের মুজিবনগর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরসহ আটটি উপজেলায়।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগারের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা শুরু করে ১৯৯৬ সালে। শুরুর দিকে মাত্র দুটি ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার থাকলেও পরে তা ১০টিতে উন্নীত হয়। এসআরডিআই প্রতিবছর নতুন নতুন উপজেলায় মাটি পরীক্ষার কর্মসূচি হাতে নেয়।

জানতে চাইলে এসআরডিআইয়ের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার ও লোকবলসংকটের কারণে নির্ধারিত কিছু উপজেলায় মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করা হবে। প্রতি উপজেলায় ৫০ জন নির্বাচিত কৃষক মাটি পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। তাঁদের সার ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। কৃষকেরা সার সুপারিশ কার্ডের নির্দেশনা অনুসারে পাঁচ বছর জমিতে ফসল চাষ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত