নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা কথা স্বীকার করলেও টিআইবির অভিযোগকে মিথ্যাচার আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
করোনা যুদ্ধে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ার-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১২ জুন) শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা মন্ত্রী বলেন।
এর আগে সম্প্রতি করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না। এমনকি করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরেছে টিআইবি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে, এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সকল দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশকে। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তবে টিআইবির ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি–এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। অথচ করোনা শনাক্তে সকল ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাহিদ মালেক বলেন, তারা (টিআইবি) বলছে আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি। অথচ করোনা চিকিৎসায় সারা দেশে ১৫ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের জন্য। যে কারণে ভারতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি কিন্তু বাংলাদেশে এখনো লকডাউন চলমান।
টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা টিকা নিয়ে স্পষ্ট চুক্তি করে ভ্যাকসিন ক্রয় করেছি।
মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারেনি বলে টিআইবির যে দাবি করছেন এটা সঠিক নয়। গত বছর যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ আইসিইউ ছিল, সেখানে এখন এক হাজারের অধিক আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে তার ব্যবহার করা হয়নি এমন তথ্যও সঠিক নয়। আমরা সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি।
বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেওয়ার কারণে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এমনকি ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সাবরিনা এবং সাহেদকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এ রকম কোন তথ্য তাঁরা (টিআইবি) দেখাতে পারবে? প্রশ্ন রেখে জাহিদ মালেক বলেন, অন্য বিভাগে কোটি টাকা নিয়ে কানাডায় চলে গেছে। ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে এ ধরনের কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ অন্যান্যরা।
ঢাকা: স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা কথা স্বীকার করলেও টিআইবির অভিযোগকে মিথ্যাচার আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
করোনা যুদ্ধে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ার-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১২ জুন) শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা মন্ত্রী বলেন।
এর আগে সম্প্রতি করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না। এমনকি করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরেছে টিআইবি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে, এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সকল দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশকে। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তবে টিআইবির ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি–এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। অথচ করোনা শনাক্তে সকল ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাহিদ মালেক বলেন, তারা (টিআইবি) বলছে আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি। অথচ করোনা চিকিৎসায় সারা দেশে ১৫ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের জন্য। যে কারণে ভারতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি কিন্তু বাংলাদেশে এখনো লকডাউন চলমান।
টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা টিকা নিয়ে স্পষ্ট চুক্তি করে ভ্যাকসিন ক্রয় করেছি।
মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারেনি বলে টিআইবির যে দাবি করছেন এটা সঠিক নয়। গত বছর যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ আইসিইউ ছিল, সেখানে এখন এক হাজারের অধিক আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে তার ব্যবহার করা হয়নি এমন তথ্যও সঠিক নয়। আমরা সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি।
বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেওয়ার কারণে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এমনকি ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সাবরিনা এবং সাহেদকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এ রকম কোন তথ্য তাঁরা (টিআইবি) দেখাতে পারবে? প্রশ্ন রেখে জাহিদ মালেক বলেন, অন্য বিভাগে কোটি টাকা নিয়ে কানাডায় চলে গেছে। ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে এ ধরনের কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ অন্যান্যরা।
ফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
১ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উদ্বেগ। সরকারি বিজ্ঞান কলেজে এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শিক্ষা, আন্দোলনের সুফল এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য।
২ ঘণ্টা আগে