নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবৈধভাবে নাগরিকের তথ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ‘পরিচয়’ প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেডের (ডিজিএসএল) সহায়তায় এ কাজ করছে প্ল্যাটফর্মটি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। আর বিসিসি থেকে এই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এমন কাজ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘পরিচয়’। চুক্তির পর বিসিসির মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ১৬৮ জন নাগরিকের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে ৩ সেপ্টেম্বর বিসিসিকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘তথ্য যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বিসিসির। বিসিসি তো কোনো ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান নয়। সেখান থেকে পরিচয় ডট জিওভি ডট বিডির মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানকে নাগরিকের তথ্য দিচ্ছে জানতে পেরে আমরা কম্পিউটার কাউন্সিলকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি সময়মতো ব্যাখ্যা না দেয় বা ব্যাখ্যা সঠিকভাবে না দেয়, তাহলে এনআইডি সেবা বন্ধ করে দেওয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি যাচাই সেবার জন্য ইসির সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন বিসিসির চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো ব্যক্তি, সত্তা, পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর, বিনিময়, বিক্রয় কিংবা অন্য কোনো পন্থায় দেওয়া যাবে না। কিন্তু বিসিসি, নির্বাচন কমিশন হতে নাগরিকের তথ্য নিয়ে উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিজিএসএলের সহায়তায় ‘পরিচয়’ নামের প্ল্যাটফর্ম হতে শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে এই এনআইডি যাচাই সেবা দিয়ে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান (দারাজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল), গার্মেন্টস, আইএসপি এবং এনজিও রয়েছে। চিঠিতে সব বকেয়া পরিশোধসহ কিছু বিষয়ে বিসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে, আইনগতভাবে ‘পরিচয়’ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ তথা বিসিসির অধীনে পরিচালিত অর্গানোগ্রামভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সার্ভিস কি না, হ্যাঁ হলে সে-সংক্রান্ত দলিলাদি সরবরাহ করা; ‘পরিচয়’-এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এনআইডি ডেটা শেয়ারিং বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা; বিসিসি হতে বারবার ‘পরিচয়’ কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে বিসিসি এবং ডিজিএসএলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে সিসিজিপির (কেবিনেট কমিটি অন গভর্নমেন্ট পারচেজ) যে অনুমোদনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করা হয়েছে, সে-সংক্রান্ত দলিলাদি সরবরাহ করা ইত্যাদি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে এবং সব বকেয়া পরিশোধ না করা হলে চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ইসির চিঠির বিষয়ে বিসিসির নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে পাওয়া তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলতে পারব না। না জেনে কথা বলা ঠিক না। ডিজিএসএলকে আগামী রোববার সকালে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডেকেছি।’
অবৈধভাবে নাগরিকের তথ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ‘পরিচয়’ প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেডের (ডিজিএসএল) সহায়তায় এ কাজ করছে প্ল্যাটফর্মটি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। আর বিসিসি থেকে এই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এমন কাজ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘পরিচয়’। চুক্তির পর বিসিসির মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ১৬৮ জন নাগরিকের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে ৩ সেপ্টেম্বর বিসিসিকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘তথ্য যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বিসিসির। বিসিসি তো কোনো ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান নয়। সেখান থেকে পরিচয় ডট জিওভি ডট বিডির মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানকে নাগরিকের তথ্য দিচ্ছে জানতে পেরে আমরা কম্পিউটার কাউন্সিলকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি সময়মতো ব্যাখ্যা না দেয় বা ব্যাখ্যা সঠিকভাবে না দেয়, তাহলে এনআইডি সেবা বন্ধ করে দেওয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি যাচাই সেবার জন্য ইসির সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন বিসিসির চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো ব্যক্তি, সত্তা, পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর, বিনিময়, বিক্রয় কিংবা অন্য কোনো পন্থায় দেওয়া যাবে না। কিন্তু বিসিসি, নির্বাচন কমিশন হতে নাগরিকের তথ্য নিয়ে উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিজিএসএলের সহায়তায় ‘পরিচয়’ নামের প্ল্যাটফর্ম হতে শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে এই এনআইডি যাচাই সেবা দিয়ে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান (দারাজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল), গার্মেন্টস, আইএসপি এবং এনজিও রয়েছে। চিঠিতে সব বকেয়া পরিশোধসহ কিছু বিষয়ে বিসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে, আইনগতভাবে ‘পরিচয়’ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ তথা বিসিসির অধীনে পরিচালিত অর্গানোগ্রামভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সার্ভিস কি না, হ্যাঁ হলে সে-সংক্রান্ত দলিলাদি সরবরাহ করা; ‘পরিচয়’-এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এনআইডি ডেটা শেয়ারিং বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা; বিসিসি হতে বারবার ‘পরিচয়’ কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে বিসিসি এবং ডিজিএসএলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে সিসিজিপির (কেবিনেট কমিটি অন গভর্নমেন্ট পারচেজ) যে অনুমোদনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করা হয়েছে, সে-সংক্রান্ত দলিলাদি সরবরাহ করা ইত্যাদি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে এবং সব বকেয়া পরিশোধ না করা হলে চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ইসির চিঠির বিষয়ে বিসিসির নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে পাওয়া তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলতে পারব না। না জেনে কথা বলা ঠিক না। ডিজিএসএলকে আগামী রোববার সকালে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডেকেছি।’
নবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ আলী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
৯ ঘণ্টা আগে