নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। আজ রাতে গুলশানে নিজ বাসভবনে এ নিয়ে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি জানিয়েছেন, কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন সে বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার বৈঠকে আলোচিত হয়েছে।
এ ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কারা পড়ছেন সে তালিকা সম্পর্কে সরাকরের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘অবশ্যই জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা স্বতপ্রণোদিত হয়ে জানতে চেয়েছি, এটা যদি তাঁদের নীতিমালার মধ্যে না পড়ে...আমি নোটটা দেখেছি তবে ব্রিফিং দেখিনি।’
সাংবাদিকদেরই মার্কিন দূতাবাস বা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করে বুঝতে পারেন তাঁরা কতোখানি প্রকাশ করবে।
ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়াদের বিষয়ে শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘আমাদেরকে দুদিন আগে একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকালের বৈঠকেও বিষয়টি আংশিক আলোচিত হয়েছে। আমাদের একটা সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এইটুকু বলতে পারি আমি, তাঁরা যদি নির্দিষ্ট করে না বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনার অনেক বিষয় থাকে, যেগুলো গণমাধ্যমের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য নয়—সেই জায়গা থেকে তাঁরা যদি না বলেন, আমার ঠিক জানা নেই। এখানে মার্কিন দূতাবাস আছে, পরারষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের বা যেখানে সুযোগ আছে সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘তবে সংখ্যাটি বড় নয়, ছোট। এইটুকু বলতে পারি।’
তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা–নিরীক্ষার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘এখানেও একটা প্রত্যাশা যে, যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেটাও যেন যথেষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তারা করছেন। যদিও এটা ভালো অভিজ্ঞতা নয় তবে এটার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মে মাসে ভিসা নীতির ঘোষণা করেছিল। আজ অনেকেই আমাকে কল দিয়েছিলেন। এখানে নতুন কিছু বলার নেই। এটা অফিশিয়াল রিঅ্যাকশন। আমাদের বেশির ভাগ মন্ত্রী ও অফিশিয়াল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে আছেন।’
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কথা নিষেধাজ্ঞায় আছে—এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আজকে মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করেছেন আজকে তারা ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছেন। এটা নতুন কিছু নয়। আমরা আগেও বলেছিলাম যে স্থানীয় রাজনীতিতে কোন কোন দল এটা ব্যবহার করা শুরু করেছে যে এটা সরকারের বিরুদ্ধে বা দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু আপনারা পরিষ্কার ভাবে দেখেছেন যে সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কথাও বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি আমাদের কয়েক দিন আগেও কমিউনিকেট করা হয়েছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের যারা নিকট অতীতে বাংলাদেশ সফর করেছেন ও এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের বিস্তারিত বলা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাঁদের উদ্বেগের জায়গাগুলো আমরা গ্রহণ করলাম কি করলাম না সেটা আলাদা বিষয় না, তবে তাঁদের উদ্বেগের জায়গাগুলো আমরা অ্যাড্রেস করছি—সেই র্যাবের স্যাংশনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের ওপর। যেখানে এটা ব্যত্যয় ঘটেছে সেখানে জবাবদিহির কথা তাঁরা বলেছেন, আমরা এখন উন্নতি করছি।’
ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। আজ রাতে গুলশানে নিজ বাসভবনে এ নিয়ে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি জানিয়েছেন, কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন সে বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার বৈঠকে আলোচিত হয়েছে।
এ ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কারা পড়ছেন সে তালিকা সম্পর্কে সরাকরের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘অবশ্যই জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা স্বতপ্রণোদিত হয়ে জানতে চেয়েছি, এটা যদি তাঁদের নীতিমালার মধ্যে না পড়ে...আমি নোটটা দেখেছি তবে ব্রিফিং দেখিনি।’
সাংবাদিকদেরই মার্কিন দূতাবাস বা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করে বুঝতে পারেন তাঁরা কতোখানি প্রকাশ করবে।
ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়াদের বিষয়ে শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘আমাদেরকে দুদিন আগে একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকালের বৈঠকেও বিষয়টি আংশিক আলোচিত হয়েছে। আমাদের একটা সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এইটুকু বলতে পারি আমি, তাঁরা যদি নির্দিষ্ট করে না বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনার অনেক বিষয় থাকে, যেগুলো গণমাধ্যমের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য নয়—সেই জায়গা থেকে তাঁরা যদি না বলেন, আমার ঠিক জানা নেই। এখানে মার্কিন দূতাবাস আছে, পরারষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের বা যেখানে সুযোগ আছে সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘তবে সংখ্যাটি বড় নয়, ছোট। এইটুকু বলতে পারি।’
তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা–নিরীক্ষার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘এখানেও একটা প্রত্যাশা যে, যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেটাও যেন যথেষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তারা করছেন। যদিও এটা ভালো অভিজ্ঞতা নয় তবে এটার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মে মাসে ভিসা নীতির ঘোষণা করেছিল। আজ অনেকেই আমাকে কল দিয়েছিলেন। এখানে নতুন কিছু বলার নেই। এটা অফিশিয়াল রিঅ্যাকশন। আমাদের বেশির ভাগ মন্ত্রী ও অফিশিয়াল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে আছেন।’
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কথা নিষেধাজ্ঞায় আছে—এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আজকে মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করেছেন আজকে তারা ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছেন। এটা নতুন কিছু নয়। আমরা আগেও বলেছিলাম যে স্থানীয় রাজনীতিতে কোন কোন দল এটা ব্যবহার করা শুরু করেছে যে এটা সরকারের বিরুদ্ধে বা দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু আপনারা পরিষ্কার ভাবে দেখেছেন যে সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কথাও বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি আমাদের কয়েক দিন আগেও কমিউনিকেট করা হয়েছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের যারা নিকট অতীতে বাংলাদেশ সফর করেছেন ও এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের বিস্তারিত বলা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাঁদের উদ্বেগের জায়গাগুলো আমরা গ্রহণ করলাম কি করলাম না সেটা আলাদা বিষয় না, তবে তাঁদের উদ্বেগের জায়গাগুলো আমরা অ্যাড্রেস করছি—সেই র্যাবের স্যাংশনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের ওপর। যেখানে এটা ব্যত্যয় ঘটেছে সেখানে জবাবদিহির কথা তাঁরা বলেছেন, আমরা এখন উন্নতি করছি।’
‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তাঁদের সংগঠন আরএফইডির পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
১ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট এক দিনের সফরে আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, নিরাপত্তা, বাণিজ্য সহযোগিতা ও অভিবাসনের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাঁর এই সফর
৩ ঘণ্টা আগেসরকার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ আদৌ আছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবছি, সেটা তাঁদের (শহীদদের) প্রতি একধরনের শ্র
৪ ঘণ্টা আগে