বিমানের দুই কর্মকর্তা পলাতক, তথ্য পাচারের আশঙ্কা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ৩৮
Thumbnail image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুজন কর্মকর্তা যথাযথ অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিমানের আশঙ্কা, তাঁদের কাছে গোপনীয় নথি ও সফটওয়্যার তথ্য রয়েছে, যা পাচার হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিমান। 

এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর ৬৭৭) করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা মো. মাছুদুল হাছান। 

অভিযুক্ত দুজন হলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন (৪৬) (পি ৩৭১৬৪)। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। অন্যজন বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ (৪৫) (জি ৫১০৪৪)। 

অভিযোগে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর বিমানের বিজি-৩০৫ ফ্লাইটে কানাডায় চলে যান। 

অন্যদিকে বিমানের বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ তাঁর ইস্তফাপত্র অনুমোদন করেনি। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, তাঁদের উভয়ের কাছে রক্ষিত বিমানের গোপনীয় বিভিন্ন অ্যাগ্রিমেন্ট ও আরআই পলিসি এবং স্পর্শকাতর সফটওয়্যার সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। এসব তথ্য পাচারের আশঙ্কা করছে বিমান। তথ্য পাচার হলে বিমান অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন কীভাবে বিমানের ফ্লাইটে কানাডা গেলেন, সে বিষয়ে জিডিতে উল্লেখ করা হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আনোয়ার হোসেন পালিয়ে কানাডায় গিয়েছেন। সোহান আহমেদ দেশেই রয়েছেন। বিমানের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার ও তথ্য তাঁদের কাছে আছে, যা পাচার হলে বিমানের ক্ষতি হবে। এ কারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত