নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশের কারাগারে ১১ হাজার ৪৫০ জন বাংলাদেশি বন্দী আটক আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ৩১টি দেশে বাংলাদেশি বন্দী আটক রয়েছে। যার মধ্যে সৌদি আরবের কারাগারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৪৬ জন কারাগারে আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আটক আছে এক হাজার ৫৭৯ জন। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কে ৫০৮ জন, ওমানে ৪২০, কাতারে ৪১৫ জন, গ্রিসে ৪১৪ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪০৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, মিয়ানমারে ৩৫৮ জন।
সরকারদলীয় এমপি এইচ এম বদিউজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে জানিয়েছে, বর্তমানে কোনো বাংলাদেশি জেলে ভুলবশত ভারতীয় সীমানায় প্রবেশের কারণে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে বন্দী নেই। ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি জেলের আটক থাকার কোনো তথ্য পাওয়া গেলে, তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মিশন/হাইকমিশন/উপ-হাইকমিশন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাদের ব্র্যাঞ্চ সেক্রেটারিয়েটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দ্রুত দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
পশ্চিম এশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশ শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ আধাদক্ষ ও অদক্ষ, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিম এশিয়া বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার এবং রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস। সরকারের গত দেড় দশকের নিরলস প্রচেষ্টায় ২০০৯ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমশক্তি দ্বিগুণ রপ্তানি হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২০২৩ পর্যন্ত ১১ লাখ ৮১ হাজার ৫৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক কর্মসংস্থান ভিসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈধভাবে গমন করে। অবৈধ হয়ে পড়া এসব বাংলাদেশির মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি এ দেশে বৈধতা প্রদানে নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হয়। ২০১৮ সালে সাধারণ ক্ষমার আওতায় এ দেশের সরকার প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশির জেল ও জরিমানা মওকুফ করে দেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ প্রদান করে। কারোনাকালে কাজ হারিয়ে অবৈধ হওয়া কর্মীদের একটি বড় অংশ নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এর বাইরে ২০২০-২০২২ মেয়াদে ভিজিট ভিসা থেকে কর্মী ভিসায় রূপান্তরের সুযোগ নিয়ে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।
উল্লেখ্য যে,২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী ভিসা সংকুচিত থাকলেও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ২০২১ সাল থেকে পুনরায় বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, জর্ডানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছু কিছু প্রবাসী বেশি উপার্জনের লোভে তাদের নিয়োগকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে জর্ডানে অবৈধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মান শ্রমিকদের পালিয়ে যাওয়া প্রবণতা কমানোর জন্য নিয়োগকারীদের সহযোগিতায় তাদের কর্মক্ষেত্রে পোস্ট অ্যারাইভাল সেশনসহ নিয়মিত সেশন আয়োজন করে থাকে।
গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদান করেনি, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদান করেনি। জিএসপি সুবিধাকালীনও গার্মেন্টস পণ্যের আওতাবহির্ভূত ছিল। এ সুবিধা ছাড়াই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির একক বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিএসপি পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন করেনি। জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালু হলে তাতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এবং গার্মেন্টস পণ্যকেও জিএসপির আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্ট অব্যাহত রয়েছে। কোনো বিশেষ আঞ্চলিক চুক্তি/সহায়তা কার্যক্রম ছাড়া কোনো দেশই যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না।
যুক্তরাষ্ট্রে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলমান।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুরু থেকে অদ্যাবধি ক্রমাগত প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। র্যাবের বিরুদ্ধে আনীত কথিত অভিযোগসমূহের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের কাছে পদ্ধতিগতভাবে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও বিধিগত প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুবিবেচনা আশা করছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারদলীয় এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮৪টি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। যার মধ্যে ৮০ কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি দূতাবাস, ১৪টি হাইকমিশন, ১২টি কনস্যুলেট,৩টি স্থায়ী মিশন, ৪টি উপ-হাইকমিশন এবং ৪টি সহকারী হাইকমিশন রয়েছে। তিনি জানান অন্তত আরও ৯টি নতুন মিশন স্থাপনের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে তাদের উদ্ধার করে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে থাকে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও আইএমও এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনিয়মিত ১ হাজার ৪৭৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়। সুদান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১২শ জন প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্ধার করে এবং সরকারি খরচে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে কোনো বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা অথবা নিকটাত্মীয় বা বৈধ অভিভাবকের অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রবাসে তার লাশ দাফনের জন্য বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সমন্বয়পূর্বক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কোনো অনিয়মিত অসচ্ছল প্রবাসী প্রবাসে মৃত্যুবরণ করলে, তার পরিবার আবেদন করলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা উক্ত প্রবাসীর মৃতদেহ দেশে সরকারি খরচে প্রত্যাবাসন করে এবং বিভিন্ন দেশে মৃত প্রবাসীদের দেহ সংশ্লিষ্ট দেশে দাফনের জন্য ও দাফন বাবদ অনুদান প্রদান করে।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো সরকারি খরচে ৫২টি মৃতদেহ বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে বলেও জানান তিনি।
বিদেশের কারাগারে ১১ হাজার ৪৫০ জন বাংলাদেশি বন্দী আটক আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ৩১টি দেশে বাংলাদেশি বন্দী আটক রয়েছে। যার মধ্যে সৌদি আরবের কারাগারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৪৬ জন কারাগারে আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আটক আছে এক হাজার ৫৭৯ জন। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কে ৫০৮ জন, ওমানে ৪২০, কাতারে ৪১৫ জন, গ্রিসে ৪১৪ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪০৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, মিয়ানমারে ৩৫৮ জন।
সরকারদলীয় এমপি এইচ এম বদিউজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে জানিয়েছে, বর্তমানে কোনো বাংলাদেশি জেলে ভুলবশত ভারতীয় সীমানায় প্রবেশের কারণে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে বন্দী নেই। ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি জেলের আটক থাকার কোনো তথ্য পাওয়া গেলে, তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মিশন/হাইকমিশন/উপ-হাইকমিশন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাদের ব্র্যাঞ্চ সেক্রেটারিয়েটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দ্রুত দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
পশ্চিম এশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশ শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ আধাদক্ষ ও অদক্ষ, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিম এশিয়া বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার এবং রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস। সরকারের গত দেড় দশকের নিরলস প্রচেষ্টায় ২০০৯ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমশক্তি দ্বিগুণ রপ্তানি হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২০২৩ পর্যন্ত ১১ লাখ ৮১ হাজার ৫৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক কর্মসংস্থান ভিসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈধভাবে গমন করে। অবৈধ হয়ে পড়া এসব বাংলাদেশির মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি এ দেশে বৈধতা প্রদানে নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হয়। ২০১৮ সালে সাধারণ ক্ষমার আওতায় এ দেশের সরকার প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশির জেল ও জরিমানা মওকুফ করে দেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ প্রদান করে। কারোনাকালে কাজ হারিয়ে অবৈধ হওয়া কর্মীদের একটি বড় অংশ নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এর বাইরে ২০২০-২০২২ মেয়াদে ভিজিট ভিসা থেকে কর্মী ভিসায় রূপান্তরের সুযোগ নিয়ে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।
উল্লেখ্য যে,২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী ভিসা সংকুচিত থাকলেও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ২০২১ সাল থেকে পুনরায় বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, জর্ডানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছু কিছু প্রবাসী বেশি উপার্জনের লোভে তাদের নিয়োগকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে জর্ডানে অবৈধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মান শ্রমিকদের পালিয়ে যাওয়া প্রবণতা কমানোর জন্য নিয়োগকারীদের সহযোগিতায় তাদের কর্মক্ষেত্রে পোস্ট অ্যারাইভাল সেশনসহ নিয়মিত সেশন আয়োজন করে থাকে।
গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদান করেনি, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদান করেনি। জিএসপি সুবিধাকালীনও গার্মেন্টস পণ্যের আওতাবহির্ভূত ছিল। এ সুবিধা ছাড়াই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির একক বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিএসপি পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন করেনি। জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালু হলে তাতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এবং গার্মেন্টস পণ্যকেও জিএসপির আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্ট অব্যাহত রয়েছে। কোনো বিশেষ আঞ্চলিক চুক্তি/সহায়তা কার্যক্রম ছাড়া কোনো দেশই যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না।
যুক্তরাষ্ট্রে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলমান।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুরু থেকে অদ্যাবধি ক্রমাগত প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। র্যাবের বিরুদ্ধে আনীত কথিত অভিযোগসমূহের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের কাছে পদ্ধতিগতভাবে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও বিধিগত প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুবিবেচনা আশা করছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারদলীয় এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮৪টি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। যার মধ্যে ৮০ কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি দূতাবাস, ১৪টি হাইকমিশন, ১২টি কনস্যুলেট,৩টি স্থায়ী মিশন, ৪টি উপ-হাইকমিশন এবং ৪টি সহকারী হাইকমিশন রয়েছে। তিনি জানান অন্তত আরও ৯টি নতুন মিশন স্থাপনের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে তাদের উদ্ধার করে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে থাকে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও আইএমও এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনিয়মিত ১ হাজার ৪৭৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়। সুদান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১২শ জন প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্ধার করে এবং সরকারি খরচে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে কোনো বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা অথবা নিকটাত্মীয় বা বৈধ অভিভাবকের অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রবাসে তার লাশ দাফনের জন্য বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সমন্বয়পূর্বক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কোনো অনিয়মিত অসচ্ছল প্রবাসী প্রবাসে মৃত্যুবরণ করলে, তার পরিবার আবেদন করলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা উক্ত প্রবাসীর মৃতদেহ দেশে সরকারি খরচে প্রত্যাবাসন করে এবং বিভিন্ন দেশে মৃত প্রবাসীদের দেহ সংশ্লিষ্ট দেশে দাফনের জন্য ও দাফন বাবদ অনুদান প্রদান করে।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো সরকারি খরচে ৫২টি মৃতদেহ বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে বলেও জানান তিনি।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে