‘বায়ুদূষণের প্রধান কারণ ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নগরায়ণে সৃষ্ট ধুলা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ১২: ৪৮
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ১৩: ০৩

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বায়ুদূষণের প্রধানতম কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—ফিটনেসবিহীন যানবাহন, কলকারখানা ও ইটের ভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট ধুলোদূষণ। আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। 

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বায়ুদূষণে ল্যান্ডফিলের নির্গত মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয়। তথাপি মিথেন গ্যাস নির্গত নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনসংক্রান্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম, ২০২২ অনুযায়ী বর্তমানে সমগ্র দেশে উন্নত স্যানিটেশন ৮৪ শতাংশ এবং সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশন ৩৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম-১১ আসনের এই এমপির প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পিত নগরায়ণ ও বসবাস উপযোগী ঢাকা নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ভূমি উন্নয়ন, ইমারত নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ অনাপত্তিবিষয়ক প্রবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত প্রবিধানের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকায় অনিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণ বন্ধ ও জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে, যার ফলে পরিকল্পিত নগরায়ণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।’ 
 
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সরকারদলীয় এমপি আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন এলজিইডির আওতায় দেশব্যাপী পল্লি ও নগর অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

সরকারদলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও ওএসএসের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৮৭টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬১টি স্থানীয়, ৬০টি যৌথ উদ্যোগে এবং ৬৬টি বিদেশি শিল্প প্রকল্প আছে। এসব নিবন্ধিত শিল্প প্রকল্পের বিপরীতে উক্ত সময়ে মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০২ মিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১ মিলিয়ন টাকা এবং বৈদেশিক ১ লাখ ৪৬১ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে।’ 

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিডা বেসরকারি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, উন্নত সেবা প্রদান, কার্যকর সমন্বয় সাধন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। বিডা হতে দেশি-বিদেশি শিল্প প্রকল্পের নিবন্ধন প্রদান করা হয়। বিডা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৭১১টি (স্থানীয় ৪ হাজার ১৩০টি এবং বৈদেশিক ৫৮১টি) শিল্প প্রকল্পের নিবন্ধন প্রদান করেছে। এর বিপরীতে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন টাকা। ফলে মোট ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫৬ জনের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত