নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এই রায় দেন। অতিরিক্ত পিপি আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুর রহমান জানান, দণ্ডবিধির দুই ধারায় একটিতে পাঁচ বছর এবং অপরটিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর এই সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছর ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় এই আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তাঁকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন এবং বিএনপির নেতৃস্থানীয় কয়েকজন তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। তিনি বিষয়টি ‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস’ থেকে জানতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একজন সদস্যকে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মামুন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এবং বিএনপির আরও অনেকে মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজারের মাধ্যমে ঘুষ দেন।
তিনি জানতে পারেন এফবিআইয়ের ওই সদস্যকে ৪০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন সিজার। সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিবিধি লক্ষ রাখার এবং প্রতিটা মুহূর্তের খবরাখবর দেওয়ার জন্য এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়া হয়। জয় যত দিন থাকবেন তত দিন প্রতি মাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে ঘুষ দেওয়ার চুক্তিও হয়েছিল ওই এফবিআই সদস্যের সঙ্গে।
জয় বলেন, এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা হয়। ওই মামলায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও এফবিআই এক সদস্যকে সাজা দেওয়া হয়।
জয় আরও বলেন, এসব ঘটনার পরে বাংলাদেশে এই মামলা হয়। এই মামলা হওয়ার পর সাংবাদিক শফিক রেহমানের ইস্কাটনের বাসা থেকে এই হত্যার ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার হয়। বিচার চলাকালে এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এই রায় দেন। অতিরিক্ত পিপি আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুর রহমান জানান, দণ্ডবিধির দুই ধারায় একটিতে পাঁচ বছর এবং অপরটিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর এই সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছর ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় এই আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তাঁকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন এবং বিএনপির নেতৃস্থানীয় কয়েকজন তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। তিনি বিষয়টি ‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস’ থেকে জানতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একজন সদস্যকে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মামুন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এবং বিএনপির আরও অনেকে মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজারের মাধ্যমে ঘুষ দেন।
তিনি জানতে পারেন এফবিআইয়ের ওই সদস্যকে ৪০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন সিজার। সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিবিধি লক্ষ রাখার এবং প্রতিটা মুহূর্তের খবরাখবর দেওয়ার জন্য এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়া হয়। জয় যত দিন থাকবেন তত দিন প্রতি মাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে ঘুষ দেওয়ার চুক্তিও হয়েছিল ওই এফবিআই সদস্যের সঙ্গে।
জয় বলেন, এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা হয়। ওই মামলায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও এফবিআই এক সদস্যকে সাজা দেওয়া হয়।
জয় আরও বলেন, এসব ঘটনার পরে বাংলাদেশে এই মামলা হয়। এই মামলা হওয়ার পর সাংবাদিক শফিক রেহমানের ইস্কাটনের বাসা থেকে এই হত্যার ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার হয়। বিচার চলাকালে এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
৯ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
১১ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
১১ ঘণ্টা আগে