নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য এবং এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া ঠেকাতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করার চিন্তা করছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এক ব্যক্তি কত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয়-প্রধানের পদে থাকা বন্ধ করার প্রস্তাব দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার পক্ষে কমিশনে মত এসেছে। এ ছাড়া সংবিধান পুনর্লিখনের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য না আসায় সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে এসব জানা গেছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের বিবেচনার মধ্যে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে যদি এক কক্ষবিশিষ্ট হয়, এর নেতিবাচক দিকটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বললে সংখ্যানুপাতিকের কথাটা বিবেচনায় থাকবে। বেশির ভাগ মতামতে এ রকম দাবি আছে, যাতে করে ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ না হয়।’
কমিশনের সূত্র বলছে, একটি দল যাতে এককক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে মানুষের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন করতে না পারে; কিংবা সংবিধান সংশোধন করতে না পারে, সে বিবেচনায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে শুধু এক ব্যক্তির, এক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এমন পরিস্থিতি আর না হয়।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদে নেতিবাচক দিক রয়েছে বলে মনে করে সংস্কার কমিশন। সে ক্ষেত্রে কমিশন জার্মানি, ইসরায়েল, নেপালসহ যেসব দেশে সংখ্যানুপাতিকে এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ রয়েছে, সেসব দেশের ভোটের রাজনীতির বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে। কমিশনের সূত্র বলেছে, এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের কিছু নেতিবাচক দিক বিবেচনায় নিয়ে কমিশন সুপারিশ তৈরি করবে।
সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাব করার কথাও ভাবছে। এ জন্য কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করতে পারে বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে গত ৭ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে দেশের বিশিষ্টজন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় না করলেও লিখিত প্রস্তাব গ্রহণ করে কমিশন। এ ছাড়া সংবিধানের বিষয়ে ওয়েবসাইটে মতামতও নেওয়া হয়। এতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে সংবিধানের বিষয়ে জরিপ করা হয়। এরপর কমিশন বাংলাদেশের সংবিধান ছাড়াও ১২০টি দেশের সংবিধান নিয়ে পর্যালোচনা করে। এসব মতামত, প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে সংস্কার কমিশন। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে এই কমিশনের প্রস্তাব পেশ করার কথা।
একাধিক সূত্র বলেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংবিধান পুনর্লিখনের বিষয়টি আলোচনায় এলেও রাজনৈতিক ঐকমত্য না আসায় সংবিধান সংস্কার কমিশন পুনর্লিখনের পরিবর্তে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। কমিশন বাংলাদেশসহ ১২১টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর পদে একই ব্যক্তি একাধিকক্রমে দুবারের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না—এমন প্রস্তাব বেশির ভাগ অংশীজন ও ওয়েবসাইটের মতামতে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার বিষয়ে কমিশনের মধ্যেও ঐকমত্য হয়েছে।
কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদকে অগ্রহণযোগ্য বলে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনেরা মতামত দিয়েছেন। এই অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দেয়। এ ক্ষেত্রে একদলীয় আধিপত্য যখন তৈরি হয়েছে, তা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহি না করে দলের কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এটা বদলাতে হবে। এ অবস্থায় রেখে সংসদে গণতন্ত্র চর্চা করা যাবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে একাধিক পদ রাখেন। তিনি সংসদ নেতা, দলের প্রধান। ফলে সবকিছু ৭০ অনুচ্ছেদের ওপর প্রভাব পড়ে। এগুলো বদলাতে হবে।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য এবং এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া ঠেকাতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করার চিন্তা করছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এক ব্যক্তি কত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয়-প্রধানের পদে থাকা বন্ধ করার প্রস্তাব দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার পক্ষে কমিশনে মত এসেছে। এ ছাড়া সংবিধান পুনর্লিখনের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য না আসায় সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে এসব জানা গেছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের বিবেচনার মধ্যে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে যদি এক কক্ষবিশিষ্ট হয়, এর নেতিবাচক দিকটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বললে সংখ্যানুপাতিকের কথাটা বিবেচনায় থাকবে। বেশির ভাগ মতামতে এ রকম দাবি আছে, যাতে করে ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ না হয়।’
কমিশনের সূত্র বলছে, একটি দল যাতে এককক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে মানুষের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন করতে না পারে; কিংবা সংবিধান সংশোধন করতে না পারে, সে বিবেচনায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে শুধু এক ব্যক্তির, এক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এমন পরিস্থিতি আর না হয়।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদে নেতিবাচক দিক রয়েছে বলে মনে করে সংস্কার কমিশন। সে ক্ষেত্রে কমিশন জার্মানি, ইসরায়েল, নেপালসহ যেসব দেশে সংখ্যানুপাতিকে এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ রয়েছে, সেসব দেশের ভোটের রাজনীতির বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে। কমিশনের সূত্র বলেছে, এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের কিছু নেতিবাচক দিক বিবেচনায় নিয়ে কমিশন সুপারিশ তৈরি করবে।
সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাব করার কথাও ভাবছে। এ জন্য কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করতে পারে বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে গত ৭ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে দেশের বিশিষ্টজন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় না করলেও লিখিত প্রস্তাব গ্রহণ করে কমিশন। এ ছাড়া সংবিধানের বিষয়ে ওয়েবসাইটে মতামতও নেওয়া হয়। এতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে সংবিধানের বিষয়ে জরিপ করা হয়। এরপর কমিশন বাংলাদেশের সংবিধান ছাড়াও ১২০টি দেশের সংবিধান নিয়ে পর্যালোচনা করে। এসব মতামত, প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে সংস্কার কমিশন। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে এই কমিশনের প্রস্তাব পেশ করার কথা।
একাধিক সূত্র বলেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংবিধান পুনর্লিখনের বিষয়টি আলোচনায় এলেও রাজনৈতিক ঐকমত্য না আসায় সংবিধান সংস্কার কমিশন পুনর্লিখনের পরিবর্তে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। কমিশন বাংলাদেশসহ ১২১টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর পদে একই ব্যক্তি একাধিকক্রমে দুবারের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না—এমন প্রস্তাব বেশির ভাগ অংশীজন ও ওয়েবসাইটের মতামতে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার বিষয়ে কমিশনের মধ্যেও ঐকমত্য হয়েছে।
কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদকে অগ্রহণযোগ্য বলে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনেরা মতামত দিয়েছেন। এই অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দেয়। এ ক্ষেত্রে একদলীয় আধিপত্য যখন তৈরি হয়েছে, তা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহি না করে দলের কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এটা বদলাতে হবে। এ অবস্থায় রেখে সংসদে গণতন্ত্র চর্চা করা যাবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে একাধিক পদ রাখেন। তিনি সংসদ নেতা, দলের প্রধান। ফলে সবকিছু ৭০ অনুচ্ছেদের ওপর প্রভাব পড়ে। এগুলো বদলাতে হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারত সরকারকে পাঠানো কূটনৈতিক নোটের বিষয়ে কোনো জবাব না দিলে নয়াদিল্লিকে আরেকটি অনুস্মারক চিঠি পাঠাবে ঢাকা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান।
১৫ মিনিট আগে২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে সাত সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার। পিলখানার বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রকৃতি ও দায় নির্ধারণে এই তদন্ত কমিশন তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে...
১ ঘণ্টা আগেবড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো, এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ এই শব্দগুলো আমরা চাই না। এ দেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকব—এটা আমাদের স্বপ্ন...
১ ঘণ্টা আগেআশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম এবং চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
১ ঘণ্টা আগে