নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের দুই জেলার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ শিশু বাংলা বইয়ের একটি বর্ণও পড়তে পারে না। এর মধ্যে রয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ ছেলে শিশু ও ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ মেয়ে শিশু, যার গড় দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর বাইরে ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ শিশু পাঁচটির মধ্যে কমপক্ষে চারটি শব্দ শনাক্ত করতে পারে। আর ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ছেলে শিশু এবং ৫৩ দশমিক ১৪ শিশু মেয়ে শিক্ষার্থী তিনটি বা তার কম ভুল উচ্চারণসহ একটি কাহিনি সাবলীলভাবে পড়তে পারে।
আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সংলাপে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েব ফাউন্ডেশনসহ চারটি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে। খুলনা ও রাজশাহী জেলায় ৮৮টি গ্রামের ৭১টি বিদ্যালয়ে এবং ১ হাজার ৭৬০টি পরিবারের ১ হাজার ৫৩৩ জন শিশুর ওপর সিটিজেন লেড অ্যাসেসমেন্ট নামক জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ’ আমাদের এখন শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র আয় বাড়লে শিক্ষার উন্নতি হবে, তা নয়। তাহলে তো সিলেট সবচেয়ে এগিয়ে থাকার কথা। কিন্তু, তা হয়নি। এখানে গবেষণা ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। আমার আহ্বান, ভবিষ্যতে যেন গবেষণার পাশাপাশি সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে ধরা হয়।’
জরিপের তথ্য বলছে, গণিতেও ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ শিশু একক অঙ্কবিশিষ্ট সংখ্যা শনাক্ত করতে পারেনি। শুধু ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিশু দুটি যোগ সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দুটি বিয়োগ ও দুটি ভাগ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি পর্যায়ক্রমে ৭৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ৯৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিশু।
আরও জানা যায়, সব থেকে করুণ অবস্থা ইংরেজিতে। এ বিষয়ে ছেলে শিশুর মধ্যে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং মেয়ে শিশুর মধ্যে ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের একটি বর্ণও পড়তে পারে না। ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিশু পাঁচটির মধ্যে কমপক্ষে চারটি ইংরেজি শব্দ শনাক্ত করতে পেরেছ। আর ৮৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ছেলে শিশু এবং ৮২ দশমিক ৮৬ শতাংশ মেয়ে শিশু তিনটি বা তার কম ভুল উচ্চারণসহ একটি কাহিনি সাবলীলভাবে পড়তে পারে না।
জরিপে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও যাচাই করা হয়। বলা হয়, যেসব শিশুর পিতা-মাতার মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ছিল, তারা ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রে ভালো করেছে, তাদের তুলনায় স্বল্প শিক্ষিত পিতা-মাতার শিশুদের ভাষার দক্ষতা সন্তোষজনক ছিল না। যেসব শিশুর পিতা-মাতার মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ছিল, তাদের মধ্যে ৪৫৯টি শিশু বাংলায় এবং ১৯২টি শিশু ইংরেজিতে কাহিনি পড়তে পেরেছে। আর যেসব অভিভাবকের প্রাথমিক বা কম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, তাদের শিশুদের মধ্যে মাত্র ২৩টি শিশু বাংলায় এবং ৭৮টি শিশু ইংরেজিতে অক্ষর শনাক্ত করতে পেরেছে।
সংলাপে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ১১ দফা সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার, শ্রেণির পড়া শ্রেণিতেই সম্পন্ন করার উদ্যোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস এম জুলফিকার আলী, স্ট্রিট চাইল্ডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইমতিয়াজ হৃদয়সহ আরও অনেকে।
দেশের দুই জেলার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ শিশু বাংলা বইয়ের একটি বর্ণও পড়তে পারে না। এর মধ্যে রয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ ছেলে শিশু ও ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ মেয়ে শিশু, যার গড় দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর বাইরে ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ শিশু পাঁচটির মধ্যে কমপক্ষে চারটি শব্দ শনাক্ত করতে পারে। আর ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ছেলে শিশু এবং ৫৩ দশমিক ১৪ শিশু মেয়ে শিক্ষার্থী তিনটি বা তার কম ভুল উচ্চারণসহ একটি কাহিনি সাবলীলভাবে পড়তে পারে।
আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সংলাপে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েব ফাউন্ডেশনসহ চারটি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে। খুলনা ও রাজশাহী জেলায় ৮৮টি গ্রামের ৭১টি বিদ্যালয়ে এবং ১ হাজার ৭৬০টি পরিবারের ১ হাজার ৫৩৩ জন শিশুর ওপর সিটিজেন লেড অ্যাসেসমেন্ট নামক জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ’ আমাদের এখন শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র আয় বাড়লে শিক্ষার উন্নতি হবে, তা নয়। তাহলে তো সিলেট সবচেয়ে এগিয়ে থাকার কথা। কিন্তু, তা হয়নি। এখানে গবেষণা ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। আমার আহ্বান, ভবিষ্যতে যেন গবেষণার পাশাপাশি সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে ধরা হয়।’
জরিপের তথ্য বলছে, গণিতেও ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ শিশু একক অঙ্কবিশিষ্ট সংখ্যা শনাক্ত করতে পারেনি। শুধু ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিশু দুটি যোগ সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দুটি বিয়োগ ও দুটি ভাগ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি পর্যায়ক্রমে ৭৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ৯৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিশু।
আরও জানা যায়, সব থেকে করুণ অবস্থা ইংরেজিতে। এ বিষয়ে ছেলে শিশুর মধ্যে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং মেয়ে শিশুর মধ্যে ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের একটি বর্ণও পড়তে পারে না। ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিশু পাঁচটির মধ্যে কমপক্ষে চারটি ইংরেজি শব্দ শনাক্ত করতে পেরেছ। আর ৮৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ছেলে শিশু এবং ৮২ দশমিক ৮৬ শতাংশ মেয়ে শিশু তিনটি বা তার কম ভুল উচ্চারণসহ একটি কাহিনি সাবলীলভাবে পড়তে পারে না।
জরিপে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও যাচাই করা হয়। বলা হয়, যেসব শিশুর পিতা-মাতার মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ছিল, তারা ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রে ভালো করেছে, তাদের তুলনায় স্বল্প শিক্ষিত পিতা-মাতার শিশুদের ভাষার দক্ষতা সন্তোষজনক ছিল না। যেসব শিশুর পিতা-মাতার মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ছিল, তাদের মধ্যে ৪৫৯টি শিশু বাংলায় এবং ১৯২টি শিশু ইংরেজিতে কাহিনি পড়তে পেরেছে। আর যেসব অভিভাবকের প্রাথমিক বা কম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, তাদের শিশুদের মধ্যে মাত্র ২৩টি শিশু বাংলায় এবং ৭৮টি শিশু ইংরেজিতে অক্ষর শনাক্ত করতে পেরেছে।
সংলাপে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ১১ দফা সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার, শ্রেণির পড়া শ্রেণিতেই সম্পন্ন করার উদ্যোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস এম জুলফিকার আলী, স্ট্রিট চাইল্ডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইমতিয়াজ হৃদয়সহ আরও অনেকে।
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৭ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
৯ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
৯ ঘণ্টা আগে