বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মুনাফার নতুন হার প্রযোজ্য হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাপনায় জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, সরকারের দায় কমাতেই মুনাফার হার কমানো হয়েছে। আর অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বিনিয়োগের নিরাপদ ক্ষেত্র প্রস্তুত না করে আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়বে।
সাধারণ মানুষের নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের ক্ষেত্র বলতে কেবল সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকে আমানত রাখলে ৫ শতাংশের নিচে মুনাফা। ফলে এত কম লাভে ব্যাংকে টাকা রাখায় আগ্রহী নয় সাধারণ মানুষ। পুঁজিবাজারে কোনো স্থিতিশীলতা নেই। পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে চরম ঝুঁকি। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগই সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হন না।
এসব কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তের বিনিয়োগের পছন্দের জায়গা সঞ্চয়পত্র। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, প্রবাসী বা সাধারণ মানুষ তাঁদের শেষ সম্বল এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে ওই মুনাফা দিয়ে সংসার চালান।
অথচ আকস্মিকই সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় লাগাম টেনে ধরল। বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে আগের মতোই মুনাফা পাওয়া যাবে। আর ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখের বেশি যাঁরা বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা কম হারে লাভ পাবেন।
এ ব্যাপারে সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা সরকার করেছে। এর প্রভাব কী হবে, তা কিছুদিন পরে বোঝা যাবে। আসলে সঞ্চয়পত্রের পেছনে সরকারকে প্রচুর টাকা সুদ দিতে হচ্ছে। মূলত সুদের এ বোঝাটা কমানোর জন্যই সরকার হয়তো এ পথে হেঁটেছে। তবে সরকারের চাওয়া হলো, যারা নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত তারা যেন বিনিয়োগ করে। ধনীদের জন্য এ প্রকল্প নয়। এখানে শুধু যারা বেশি টাকা বিনিয়োগ করছে, তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য তাদের লাভের অংশ কমানো হয়েছে। যারা কম বিনিয়োগ করবে তাদের কমানো হয়নি।
এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে সরকারের দায় বাড়ছে, এটাও ঠিক। তাই ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে একটা ভারসাম্য থাকা দরকার, এটা হচ্ছে অর্থনীতির একটা সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, সাধারণ মধ্যবিত্তের নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুবই সীমিত। তাই তারা সঞ্চয়পত্রকেই বিনিয়োগের লাভজনক ক্ষেত্র মনে করে। সুতরাং মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের টাকাটা বিনিয়োগের বিশ্বস্ত ক্ষেত্র তৈরি না করে, শুধু অর্থনীতির নিয়মের খাতিরে আকস্মিক লাভ কাটছাঁট করা হলো। এটা আসলে সরকারের শক্তিশালী যুক্তি না। এতে মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জানা যায়, ছয় বছর পর সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করেছে। এর আগে ২০১৫ সালে মুনাফা কমানো হয়। বাংলাদেশে মোট ছয় ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয়ের ব্যাংক-সাধারণ হিসাব ছাড়া সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। একই সময়ে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফা-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। মোট বিক্রি থেকে মুনাফা ও আসল বাবদ পরিশোধ করা অর্থ বাদ দিয়ে এ নিট হিসাব করা হয়।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছিল। বিক্রি অস্বাভাবিক বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি।
সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে প্রথম বছরে মুনাফার হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ থেকে ৩০ লাখ হলে মুনাফার হার হবে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। এভাবে দুই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফার হার কিছুটা বাড়বে।
এ ছাড়া তিন মাস মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্র ছাড়াও ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মুনাফার হার কমানো হয়েছে। ৬ মাস পর কিন্তু ১২ মাসের আগে মুনাফার হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ লাখের বেশি হলে মুনাফার হার হবে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০ লাখের বেশি হলে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এই বন্ডের অন্য মেয়াদের ক্ষেত্রেও হার কমানো হয়েছে। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মুনাফার নতুন হার প্রযোজ্য হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাপনায় জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, সরকারের দায় কমাতেই মুনাফার হার কমানো হয়েছে। আর অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বিনিয়োগের নিরাপদ ক্ষেত্র প্রস্তুত না করে আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়বে।
সাধারণ মানুষের নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের ক্ষেত্র বলতে কেবল সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকে আমানত রাখলে ৫ শতাংশের নিচে মুনাফা। ফলে এত কম লাভে ব্যাংকে টাকা রাখায় আগ্রহী নয় সাধারণ মানুষ। পুঁজিবাজারে কোনো স্থিতিশীলতা নেই। পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে চরম ঝুঁকি। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগই সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হন না।
এসব কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তের বিনিয়োগের পছন্দের জায়গা সঞ্চয়পত্র। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, প্রবাসী বা সাধারণ মানুষ তাঁদের শেষ সম্বল এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে ওই মুনাফা দিয়ে সংসার চালান।
অথচ আকস্মিকই সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় লাগাম টেনে ধরল। বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে আগের মতোই মুনাফা পাওয়া যাবে। আর ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখের বেশি যাঁরা বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা কম হারে লাভ পাবেন।
এ ব্যাপারে সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা সরকার করেছে। এর প্রভাব কী হবে, তা কিছুদিন পরে বোঝা যাবে। আসলে সঞ্চয়পত্রের পেছনে সরকারকে প্রচুর টাকা সুদ দিতে হচ্ছে। মূলত সুদের এ বোঝাটা কমানোর জন্যই সরকার হয়তো এ পথে হেঁটেছে। তবে সরকারের চাওয়া হলো, যারা নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত তারা যেন বিনিয়োগ করে। ধনীদের জন্য এ প্রকল্প নয়। এখানে শুধু যারা বেশি টাকা বিনিয়োগ করছে, তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য তাদের লাভের অংশ কমানো হয়েছে। যারা কম বিনিয়োগ করবে তাদের কমানো হয়নি।
এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে সরকারের দায় বাড়ছে, এটাও ঠিক। তাই ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে একটা ভারসাম্য থাকা দরকার, এটা হচ্ছে অর্থনীতির একটা সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, সাধারণ মধ্যবিত্তের নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুবই সীমিত। তাই তারা সঞ্চয়পত্রকেই বিনিয়োগের লাভজনক ক্ষেত্র মনে করে। সুতরাং মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের টাকাটা বিনিয়োগের বিশ্বস্ত ক্ষেত্র তৈরি না করে, শুধু অর্থনীতির নিয়মের খাতিরে আকস্মিক লাভ কাটছাঁট করা হলো। এটা আসলে সরকারের শক্তিশালী যুক্তি না। এতে মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জানা যায়, ছয় বছর পর সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করেছে। এর আগে ২০১৫ সালে মুনাফা কমানো হয়। বাংলাদেশে মোট ছয় ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয়ের ব্যাংক-সাধারণ হিসাব ছাড়া সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। একই সময়ে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফা-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। মোট বিক্রি থেকে মুনাফা ও আসল বাবদ পরিশোধ করা অর্থ বাদ দিয়ে এ নিট হিসাব করা হয়।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছিল। বিক্রি অস্বাভাবিক বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি।
সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে প্রথম বছরে মুনাফার হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ থেকে ৩০ লাখ হলে মুনাফার হার হবে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। এভাবে দুই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফার হার কিছুটা বাড়বে।
এ ছাড়া তিন মাস মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্র ছাড়াও ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মুনাফার হার কমানো হয়েছে। ৬ মাস পর কিন্তু ১২ মাসের আগে মুনাফার হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ লাখের বেশি হলে মুনাফার হার হবে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০ লাখের বেশি হলে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এই বন্ডের অন্য মেয়াদের ক্ষেত্রেও হার কমানো হয়েছে। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) নির্বাহী কমিটির সকল কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক তানিয়া শার্মী এ আদেশ দেন...
৪০ মিনিট আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ৫ হাজার ৯১৫ কোটি ৯৯ টাকা ব্যয়ের ৫টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৯৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৪ হাজার ৭৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেকের...
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা নতুন মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ গতকাল রোববার রাতে অধ্যাদেশের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে