ডয়চে ভেলে

চার দিন পর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কিন্তু এবার পূজা শুরুর বেশ আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বেশ কিছু ঘটনায় নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ঘিরেও ঘটেছে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা; পূজামণ্ডপ বা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে৷ তাই, উৎসবের তেমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। পূজা নির্বিঘ্ন করতে সরকার উদ্যোগের আশ্বাস দিলেও ভরসা পাচ্ছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তার ওপর কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যাও পূজার আয়োজনকে ম্লান করেছে৷ সব মিলে উদ্বেগ-আশ্বাসের দোলাচলের মধ্যে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘বিগত সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকারেরও পূজার নিরাপত্তা দেওয়ার একধরনের চেষ্টা আছে৷ আবার পূজা না করতে দেওয়ার হুমকিও আছে৷ এর মধ্যে গত ১৩ দিনে ১৩টি জেলায় ১৭টি মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পূজা করা সম্ভব সেটা বোঝাই যায়৷ অনেক সার্বজনীন মণ্ডপে এবার শুধু ঘট পূজা হচ্ছে৷’
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় দুজন ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ বলেন, ‘এখন শুধু থানার ওসিকে বদলানোতেই তো দুর্বৃত্তদের থামানো যাবে না৷ বরং তাদের গ্রেপ্তার না করায় তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে৷’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর নিরাপত্তার বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে৷ সরকারের সেই চেষ্টাও আমরা দেখছি৷ আমরা নিজেরাও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷’
এবার পূজায় স্বতঃস্ফূর্ততা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে৷ কেউ যদি মানসিকভাবে ভালো না থাকেন, তাহলে তো তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পূজা করতে পারবেন না৷ আবার কেউ ভালো থাকলে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে করবেন৷ তবে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের সবারই মন খারাপ৷ আসলে মন্দিরে হামলার বিচার না হওয়ায় এসব ঘটনা কমছে না৷’
যেসব স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা
গত তিন দিনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায় দুর্গাপূজার সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে৷ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শ্যামপুর দেউরীবাড়ি সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে৷ এ ঘটনার পর বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পাবনার সুজানগরে চার দিনের ব্যবধানে দুটি মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্গাপূজা উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷ এ ঘটনার পর সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আজমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ কিন্তু এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি৷
যারা প্রতিমা ভাঙচুর করছে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর জানান, তাঁরা দায়ীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "পূজার নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ আইজিপি প্রতিদিনই এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন৷ কোথাও কোনো ঘটনার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে ওসিদের প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ পাশাপাশি অপরাধীদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কাজ করছে৷’’
পূজামণ্ডপকেন্দ্রিক পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে দুর্গাপূজা ঘিরে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি৷
কয়েক দিন আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হরি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর হয়৷ সেখানে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায় সে ভারতীয় নাগরিক৷ যদিও পরে ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানে জানা যায় তিনি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা৷ এখন ওই মন্দিরের অবস্থা কী, কতটা নিরাপত্তা সেখানে নিশ্চিত হয়েছে জানতে চাইলে ভাঙ্গা বাজার হরি মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন সাহা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গতকালও পুলিশের ডিআইজি আমাদের এখানে এসেছিলেন৷ তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন৷ আমরা নিজেরাও নিয়মিত পাহারা দিচ্ছি৷ এখন পর্যন্ত নতুন করে আর কোনো সংকট হয়নি৷ তার পরও সভাপতির মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে অন্যরা তো শঙ্কিত৷ তাঁদের মধ্যে একধরনের শঙ্কা আছে৷ আসলে যত কথাই বলেন, পূজা হচ্ছে, কিন্তু আমাদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা নেই৷ একধরনের উৎকণ্ঠা আছে৷”
পূজার প্রস্তুতি
মন্দির-মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা নির্মাণ, প্যান্ডেল-মঞ্চ স্থাপন, সাজসজ্জাসহ নানা ধরনের প্রস্তুতি চলছে৷ হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব ৯ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত৷ ২ অক্টোবর দুর্গাদেবীর আবাহন তথা মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর আরাধনা৷ এর এক সপ্তাহ পর ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা৷ সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন; যার ফল হচ্ছে মড়ক৷ এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে৷ দেবী স্বর্গলোকে বিদায় (গমন) নেবেন গজে (হাতি) চড়ে; যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে৷
এবার বাংলাদেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা কিছুটা কমার কথা বলছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ৷ যদিও পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এবার পূজা হচ্ছে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে৷ গত বছর ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে৷ তাদের হিসাবে ঢাকায় গত বছর ২৫৩টি মণ্ডপে পূজা হলেও এবার হচ্ছে ২৬০টি মণ্ডপে৷
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘সারা দেশে এবার কত মণ্ডপে পূজা হচ্ছে, সেটা এখনো আমরা নিশ্চিত নই৷ দুই-এক দিনের মধ্যে পুরো তালিকা চলে আসবে৷ পুলিশ সদর দপ্তর আমাদের জানিয়েছে, ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে৷ তবে অনেক এলাকায় পূজার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না৷ যেমন বন্যদুর্গত এলাকাগুলোতে তো আর পূজার কোনো অবস্থাই নেই৷ সেই হিসাবে কিছু কমে যাবে৷ ফলে পুরো তালিকা পেতে আমাদের আরও দুই-এক দিন অপেক্ষা করতে হবে৷”
সাম্প্রতিক ঘটনায় অনেকে মণ্ডপেই পূজার আয়োজনে কাটছাঁট করছেন আয়োজকেরা৷ অনেকেই এবারের উৎসব কমিয়ে পূজাকে শুধু ঘট পূজায় নিয়ে গেছেন৷
রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের পূজামণ্ডপ নিরাপত্তাজনিত কারণে এবার কুমারি পূজার আয়োজন না করার ঘোষণা দিয়েছিল৷ তবে শনিবার রাতে সেনা কর্মকর্তারা মঠ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে কুমারি পূজা আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানায় রামকৃষ্ণ মিশন৷৷
আট দফা দাবি
এদিকে বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের নেতারা৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন৷ গত শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট আয়োজিত এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন জোটের নেতারা৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে এই জোট গঠিত৷ দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, দখল, হত্যা, ধর্ষণ, দেশত্যাগের হুমকি, মব জাস্টিসের নামে আইনবহির্ভূতভাবে হত্যাচেষ্টাসহ সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধকরণপূর্বক প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রদান, দোষীদের দ্রুতবিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারের কাছে পেশকৃত আট দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ১৩ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট দফা দাবি পেশ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা৷
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য
এদিকে বাংলাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এবং সামাজিক সম্প্রীতির বিষয়ে সঠিক বার্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারত বারবার বাংলাদেশকে জানিয়েছে এবং বলেছে যে সেখানে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার প্রয়োজন৷ এটা আমাদের প্রত্যাশা যে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া উচিত৷ দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার বিষয়টি বাংলাদেশের আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে দেখা উচিত৷’
দিল্লির এমন মন্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বাড়ার প্রেক্ষাপটে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত৷

চার দিন পর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কিন্তু এবার পূজা শুরুর বেশ আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বেশ কিছু ঘটনায় নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ঘিরেও ঘটেছে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা; পূজামণ্ডপ বা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে৷ তাই, উৎসবের তেমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। পূজা নির্বিঘ্ন করতে সরকার উদ্যোগের আশ্বাস দিলেও ভরসা পাচ্ছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তার ওপর কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যাও পূজার আয়োজনকে ম্লান করেছে৷ সব মিলে উদ্বেগ-আশ্বাসের দোলাচলের মধ্যে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘বিগত সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকারেরও পূজার নিরাপত্তা দেওয়ার একধরনের চেষ্টা আছে৷ আবার পূজা না করতে দেওয়ার হুমকিও আছে৷ এর মধ্যে গত ১৩ দিনে ১৩টি জেলায় ১৭টি মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পূজা করা সম্ভব সেটা বোঝাই যায়৷ অনেক সার্বজনীন মণ্ডপে এবার শুধু ঘট পূজা হচ্ছে৷’
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় দুজন ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ বলেন, ‘এখন শুধু থানার ওসিকে বদলানোতেই তো দুর্বৃত্তদের থামানো যাবে না৷ বরং তাদের গ্রেপ্তার না করায় তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে৷’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর নিরাপত্তার বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে৷ সরকারের সেই চেষ্টাও আমরা দেখছি৷ আমরা নিজেরাও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷’
এবার পূজায় স্বতঃস্ফূর্ততা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে৷ কেউ যদি মানসিকভাবে ভালো না থাকেন, তাহলে তো তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পূজা করতে পারবেন না৷ আবার কেউ ভালো থাকলে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে করবেন৷ তবে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের সবারই মন খারাপ৷ আসলে মন্দিরে হামলার বিচার না হওয়ায় এসব ঘটনা কমছে না৷’
যেসব স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা
গত তিন দিনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায় দুর্গাপূজার সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে৷ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শ্যামপুর দেউরীবাড়ি সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে৷ এ ঘটনার পর বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পাবনার সুজানগরে চার দিনের ব্যবধানে দুটি মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্গাপূজা উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷ এ ঘটনার পর সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আজমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ কিন্তু এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি৷
যারা প্রতিমা ভাঙচুর করছে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর জানান, তাঁরা দায়ীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "পূজার নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ আইজিপি প্রতিদিনই এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন৷ কোথাও কোনো ঘটনার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে ওসিদের প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ পাশাপাশি অপরাধীদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কাজ করছে৷’’
পূজামণ্ডপকেন্দ্রিক পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে দুর্গাপূজা ঘিরে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি৷
কয়েক দিন আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হরি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর হয়৷ সেখানে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায় সে ভারতীয় নাগরিক৷ যদিও পরে ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানে জানা যায় তিনি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা৷ এখন ওই মন্দিরের অবস্থা কী, কতটা নিরাপত্তা সেখানে নিশ্চিত হয়েছে জানতে চাইলে ভাঙ্গা বাজার হরি মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন সাহা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গতকালও পুলিশের ডিআইজি আমাদের এখানে এসেছিলেন৷ তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন৷ আমরা নিজেরাও নিয়মিত পাহারা দিচ্ছি৷ এখন পর্যন্ত নতুন করে আর কোনো সংকট হয়নি৷ তার পরও সভাপতির মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে অন্যরা তো শঙ্কিত৷ তাঁদের মধ্যে একধরনের শঙ্কা আছে৷ আসলে যত কথাই বলেন, পূজা হচ্ছে, কিন্তু আমাদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা নেই৷ একধরনের উৎকণ্ঠা আছে৷”
পূজার প্রস্তুতি
মন্দির-মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা নির্মাণ, প্যান্ডেল-মঞ্চ স্থাপন, সাজসজ্জাসহ নানা ধরনের প্রস্তুতি চলছে৷ হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব ৯ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত৷ ২ অক্টোবর দুর্গাদেবীর আবাহন তথা মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর আরাধনা৷ এর এক সপ্তাহ পর ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা৷ সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন; যার ফল হচ্ছে মড়ক৷ এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে৷ দেবী স্বর্গলোকে বিদায় (গমন) নেবেন গজে (হাতি) চড়ে; যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে৷
এবার বাংলাদেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা কিছুটা কমার কথা বলছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ৷ যদিও পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এবার পূজা হচ্ছে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে৷ গত বছর ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে৷ তাদের হিসাবে ঢাকায় গত বছর ২৫৩টি মণ্ডপে পূজা হলেও এবার হচ্ছে ২৬০টি মণ্ডপে৷
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘সারা দেশে এবার কত মণ্ডপে পূজা হচ্ছে, সেটা এখনো আমরা নিশ্চিত নই৷ দুই-এক দিনের মধ্যে পুরো তালিকা চলে আসবে৷ পুলিশ সদর দপ্তর আমাদের জানিয়েছে, ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে৷ তবে অনেক এলাকায় পূজার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না৷ যেমন বন্যদুর্গত এলাকাগুলোতে তো আর পূজার কোনো অবস্থাই নেই৷ সেই হিসাবে কিছু কমে যাবে৷ ফলে পুরো তালিকা পেতে আমাদের আরও দুই-এক দিন অপেক্ষা করতে হবে৷”
সাম্প্রতিক ঘটনায় অনেকে মণ্ডপেই পূজার আয়োজনে কাটছাঁট করছেন আয়োজকেরা৷ অনেকেই এবারের উৎসব কমিয়ে পূজাকে শুধু ঘট পূজায় নিয়ে গেছেন৷
রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের পূজামণ্ডপ নিরাপত্তাজনিত কারণে এবার কুমারি পূজার আয়োজন না করার ঘোষণা দিয়েছিল৷ তবে শনিবার রাতে সেনা কর্মকর্তারা মঠ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে কুমারি পূজা আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানায় রামকৃষ্ণ মিশন৷৷
আট দফা দাবি
এদিকে বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের নেতারা৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন৷ গত শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট আয়োজিত এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন জোটের নেতারা৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে এই জোট গঠিত৷ দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, দখল, হত্যা, ধর্ষণ, দেশত্যাগের হুমকি, মব জাস্টিসের নামে আইনবহির্ভূতভাবে হত্যাচেষ্টাসহ সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধকরণপূর্বক প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রদান, দোষীদের দ্রুতবিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারের কাছে পেশকৃত আট দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ১৩ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট দফা দাবি পেশ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা৷
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য
এদিকে বাংলাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এবং সামাজিক সম্প্রীতির বিষয়ে সঠিক বার্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারত বারবার বাংলাদেশকে জানিয়েছে এবং বলেছে যে সেখানে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার প্রয়োজন৷ এটা আমাদের প্রত্যাশা যে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া উচিত৷ দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার বিষয়টি বাংলাদেশের আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে দেখা উচিত৷’
দিল্লির এমন মন্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বাড়ার প্রেক্ষাপটে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত৷

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ঘিরেও ঘটেছে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা; পূজামণ্ডপ বা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে৷ তাই উৎসবের তেমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। পূজা নির্বিঘ্ন করতে সরকার উদ্যোগের আশ্বাস দিলেও ভরসা পাচ্ছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তার ওপর, কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যাও পূজার আয়োজনকে ম্লান করেছে৷
০৬ অক্টোবর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ঘিরেও ঘটেছে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা; পূজামণ্ডপ বা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে৷ তাই উৎসবের তেমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। পূজা নির্বিঘ্ন করতে সরকার উদ্যোগের আশ্বাস দিলেও ভরসা পাচ্ছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তার ওপর, কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যাও পূজার আয়োজনকে ম্লান করেছে৷
০৬ অক্টোবর ২০২৪
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তাঁকে তলব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, ঢাকায় কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশেপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক—এমনটাই প্রত্যাশিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘মিথ্যা বয়ান’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের সঙ্গে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রেখে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন এবং অন্যান্য বিদেশি পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে, এই তলবের মূল কারণ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য বলে উল্লেখ করা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গ আনা হয়নি।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তাঁকে তলব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, ঢাকায় কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশেপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক—এমনটাই প্রত্যাশিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘মিথ্যা বয়ান’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের সঙ্গে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রেখে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন এবং অন্যান্য বিদেশি পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে, এই তলবের মূল কারণ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য বলে উল্লেখ করা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গ আনা হয়নি।

দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ঘিরেও ঘটেছে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা; পূজামণ্ডপ বা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে৷ তাই উৎসবের তেমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। পূজা নির্বিঘ্ন করতে সরকার উদ্যোগের আশ্বাস দিলেও ভরসা পাচ্ছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তার ওপর, কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যাও পূজার আয়োজনকে ম্লান করেছে৷
০৬ অক্টোবর ২০২৪
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের মালপত্রের (ব্যাগেজ) নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট (জিএইচএ) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানটি ব্যাগেজ পরিবহনপ্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ট্রাফিক স্টাফদের জন্য বডি ক্যামেরা সংযোজন করেছে।
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি যেসব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেয়, তাদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, বডি ক্যামেরা সংযোজনের ফলে ব্যাগেজ চুরি, হারানো কিংবা ক্ষতির অভিযোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব হবে। কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা যাবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আস্থা ও সন্তুষ্টি আরও সুদৃঢ় হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবার একটি অভিন্ন কাঠামো প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বডি ক্যামেরা উদ্যোগটি বিবেচিত হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ও আস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যকর ও আধুনিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের মালপত্রের (ব্যাগেজ) নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট (জিএইচএ) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানটি ব্যাগেজ পরিবহনপ্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ট্রাফিক স্টাফদের জন্য বডি ক্যামেরা সংযোজন করেছে।
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি যেসব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেয়, তাদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, বডি ক্যামেরা সংযোজনের ফলে ব্যাগেজ চুরি, হারানো কিংবা ক্ষতির অভিযোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব হবে। কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা যাবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আস্থা ও সন্তুষ্টি আরও সুদৃঢ় হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবার একটি অভিন্ন কাঠামো প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বডি ক্যামেরা উদ্যোগটি বিবেচিত হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ও আস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যকর ও আধুনিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ঘিরেও ঘটেছে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা; পূজামণ্ডপ বা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে৷ তাই উৎসবের তেমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। পূজা নির্বিঘ্ন করতে সরকার উদ্যোগের আশ্বাস দিলেও ভরসা পাচ্ছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তার ওপর, কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যাও পূজার আয়োজনকে ম্লান করেছে৷
০৬ অক্টোবর ২০২৪
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে