অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অতি সম্প্রতি বৈঠক করেছেন। গতকাল রোববার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স তথা ভারত মহাসাগর সম্মেলনের ফাঁকে তাঁরা বৈঠক করেন। এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থানের কারণে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর বলেছেন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) অধীনে সহযোগিতা। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে তৌহিদ হোসেন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আহ্বানে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০১৬ সালে উরি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনের প্রতিবাদে সার্কের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকে এই কমিটির আর কোনো বৈঠক হয়নি। সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রসচিবরা থাকেন।
সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ভারতের কাছে সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে।
জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে তৌহিদ হোসেন গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে নিয়েছে এবং এসব সমস্যা সমাধানে যৌথভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে।
ঢাকার মতে, এ সপ্তাহে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনার আগে আশা করা হচ্ছে যে, সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় এই বৈঠকে আলোচিত ও সমাধান করা হবে। বাংলাদেশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ স্বীকার করেছে যে, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেগুলো সমাধানে একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।
জয়শঙ্কর মাসকাটে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের, বিশেষ করে নেপাল ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ভারত আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য এই সংস্থাটিকে সার্কের তুলনায় বেশি প্রাসঙ্গিক মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, কারণ সার্ক কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
জয়শঙ্করের বক্তব্যে বিমসটেকের উল্লেখ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। বিমসটেকের মহাসচিব আইএম পাণ্ডে গত সপ্তাহে বলেন, ‘চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ বিমসটেকের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাবে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মিলে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার উদ্যোগ নিতে পারবে এবং এটি হবে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনরায় তুলে ধরার একটি সুযোগ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমসটেকের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি অটুট রেখেছে।’
জয়শঙ্কর ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ইতিবাচক পরিবেশে গঠনমূলক ও পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। ভারত গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত দেওয়া বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা দুঃখজনক, যেখানে অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন ইস্যুর জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী ৩-৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারত বিমসটেককে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, কারণ এই সংস্থাটিতে পাকিস্তান নেই।
যদি এই বৈঠক হয়, তবে ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি হবে দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। মোদি ও ইউনূস উভয়েই বিমসটেক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোদি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অতি সম্প্রতি বৈঠক করেছেন। গতকাল রোববার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স তথা ভারত মহাসাগর সম্মেলনের ফাঁকে তাঁরা বৈঠক করেন। এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থানের কারণে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর বলেছেন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) অধীনে সহযোগিতা। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে তৌহিদ হোসেন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আহ্বানে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০১৬ সালে উরি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনের প্রতিবাদে সার্কের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকে এই কমিটির আর কোনো বৈঠক হয়নি। সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রসচিবরা থাকেন।
সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ভারতের কাছে সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে।
জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে তৌহিদ হোসেন গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে নিয়েছে এবং এসব সমস্যা সমাধানে যৌথভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে।
ঢাকার মতে, এ সপ্তাহে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনার আগে আশা করা হচ্ছে যে, সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় এই বৈঠকে আলোচিত ও সমাধান করা হবে। বাংলাদেশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ স্বীকার করেছে যে, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেগুলো সমাধানে একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।
জয়শঙ্কর মাসকাটে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের, বিশেষ করে নেপাল ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ভারত আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য এই সংস্থাটিকে সার্কের তুলনায় বেশি প্রাসঙ্গিক মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, কারণ সার্ক কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
জয়শঙ্করের বক্তব্যে বিমসটেকের উল্লেখ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। বিমসটেকের মহাসচিব আইএম পাণ্ডে গত সপ্তাহে বলেন, ‘চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ বিমসটেকের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাবে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মিলে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার উদ্যোগ নিতে পারবে এবং এটি হবে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনরায় তুলে ধরার একটি সুযোগ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমসটেকের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি অটুট রেখেছে।’
জয়শঙ্কর ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ইতিবাচক পরিবেশে গঠনমূলক ও পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। ভারত গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত দেওয়া বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা দুঃখজনক, যেখানে অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন ইস্যুর জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী ৩-৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারত বিমসটেককে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, কারণ এই সংস্থাটিতে পাকিস্তান নেই।
যদি এই বৈঠক হয়, তবে ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি হবে দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। মোদি ও ইউনূস উভয়েই বিমসটেক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোদি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আজ রোববার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনায় চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এবারের সফরে। তবে বিশ্লেষকেরা তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর তাগিদ দিয়েছেন।
৩৭ মিনিট আগেবাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর তথা স্টেট ডিপার্টমেন্ট। বাংলাদেশি নারীদের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা বদলে যাচ্ছে। প্রার্থীর প্রচারে পোস্টার ব্যবহার বাতিল করে শুধু কাপড়ের ব্যানার বহাল রাখা হচ্ছে। আচরণবিধিতে প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার।
৪ ঘণ্টা আগে