বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সীমা লঙ্ঘন না করার আহ্বান সরকারের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ২০: ৫৬
Thumbnail image

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানান। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিরা কথা বলছেন, এটি সরকার পছন্দ করে না। এরপরও কূটনীতিকদের “কালচারাল স্পেস” দেওয়া হয়েছে। কারণ, এমন সংস্কৃতি বাংলাদেশে আছে অনেক দিন থেকে। সরকার চায়, কূটনীতিকেরা এই সংস্কৃতি থেকে সরে আসবে।’ 

নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না, এমনটি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নেবে।’ কূটনীতিকদের জন্য নির্ধারিত ভিয়েনা কনভেনশনের বাইরে গিয়ে কোনো রাষ্ট্রদূত যেন সীমা লঙ্ঘন না করেন, সে আহ্বান জানান তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বিদেশি কূটনীতিকেরা নির্বাচনের আগে আগের তুলনায় বেশি সতর্ক থাকবেন। তাঁরা ছয় মাস আগে যা বলেছেন, এখন একই কথা বলতে গেলে তার প্রভাব অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, এখন সবাই নির্বাচনমুখী হয়েছেন। যাঁরা আন্দোলনে আছেন, তাঁরাও নিজেদের ভাষায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। 

এমন অবস্থায় কোনো মন্তব্যের জন্য কোনো রাষ্ট্রদূতকে তলবের প্রয়োজন হবে না, এমন আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোনো রাষ্ট্রদূতকে তলবের প্রয়োজন যদি দেখা দেয়, তবে তা দুঃখজনক ব্যাপার হবে।’ 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো রাষ্ট্রদূত যতই সীমা লঙ্ঘন করুন না কেন, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন। কিন্তু সবারই আচরণ, কথাবার্তা, অভিব্যক্তি, এমনকি লেখালেখিও সহনীয় হওয়ার প্রয়োজন আছে।’ 

এর আগে কিছু রাষ্ট্রদূতকে একা ডেকে তাঁদের কার্যপরিধির বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারের আইন প্রয়োগেরও সুযোগ আছে। অন্য উপায় না থাকলে, যেটি সঠিক সেটি সরকারকে করতে হবে।’ 

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে দেশটির সরকারের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

১৩ নভেম্বর জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর শুনানি আছে। সেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর কোনো তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হলে, সরকার তা গ্রহণ করবে না বলেও জানিয়ে দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, অন্যদের তথ্যকে স্বাগত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত