মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘাতের জেরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বারবার মর্টারের গোলা পড়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এর সুরাহার জন্য শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ, শান্তি বিঘ্ন হোক তা আমরা কখনো চাই না।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের যে সীমান্ত লাইন তা মূলত বান্দরবান ও টেকনাফের দিকে। আমরা মনে করি, মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্যই নানাভাবে যুদ্ধে জড়িত হয়েছে। তবে আমরা এখনো সঠিকভাবে জানি না কার সঙ্গে তারা গোলাগুলি করছে কিংবা কাকে তারা প্রতিহত করছে। আমরা যেটুকু শুনেছি তাতে জানতে পেরেছি, আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বিরোধ। সেই বিরোধের জের ধরেই তারা গোলাগুলি ছুড়ছে।’  

সীমান্তের কাছাকাছি কিংবা সীমান্ত পার হয়ে দু-একটি আমাদের দেশেও এসে পড়েছে এতে আমাদের একজন মারা গেছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর জন্য কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের বিজিবি মিয়ানমারের বিজিপিকে বলেছে।’  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এর সুরাহার জন্য শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ, শান্তি বিঘ্ন হোক তা আমরা কখনো চাই না।’  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গাদের তাড়া করেছিল তখন নাফ নদী রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এ জন্য সারা বিশ্বে প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব হিউম্যানিটি বলা হয়। আমরা আর কোনো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে এখানে ঢুকতে দেব না। যে পরিমাণ রোহিঙ্গা এখন আমাদের দেশে রয়েছে তাদের নিয়েই এখন নানা জটিলতায় রয়েছি।’ 

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা প্রতিবাদ জানাব। যদি এতে কাজ না হয় জাতিসংঘে আমাদের অসুবিধার কথা উত্থাপিত করব। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সকল সমস্যার সমাধান করতে চাই।’