সর্বনিম্ন ভোট মিরসরাইয়ে, সর্বোচ্চ ক্ষেতলালে ৭৩.১৬%

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৪, ১১: ৪৩
আপডেট : ১০ মে ২০২৪, ১২: ১৯

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট সম্পন্ন হয়েছে গত বুধবার। এতে গড়ে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায়, ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম, ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায়। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ভোট পড়ার হার কম হওয়ার কারণ হিসেবে মো. আলমগীর জানান, এখন ধান কাটার মৌসুম, বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান কাটা হচ্ছে। মাঠ প্রশাসন আগেই বলেছে যে, ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় তাদের অনুসারীরাও ভোট দেননি। ভোট কম পড়ার আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকেরা বলতে পারেন।

ধারাবাহিকভাবে ভোট পড়ার হার কমার কারণ জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর কারণ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের ওপর ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনার ওপর মানুষের আস্থাহীনতা। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন আছে। অনেক ভোটারের মধ্যে এই আশঙ্কা আছে যে তাঁরা চাইলেও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন কি না। ভোট দিতে পারলেও সুষ্ঠুভাবে গণনা করা হবে কি না।

এদিকে মাঠপর্যায় থেকে ইসিতে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধান হয়েছে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়। এই উপজেলা বিজয়ী প্রার্থী মাথোআইয়ং মারমা পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুপার যতি চাকমা পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান ১২৬টি। আর সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধান হয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলা বিজয়ী প্রার্থী শাহিন আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলতাফ হোসেন বিপ্লব পেয়েছেন ৬০ হাজার ২৯৩ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৬ হাজার ৫৪৩টি। এ ছাড়া ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থী মো. হারুন মজুমদার পেয়েছেন ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাফর উল্লাহ ভূঁইয়া পেয়েছেন মাত্র ৭৭৫ ভোট। তবে বেশির ভাগ উপজেলাতেই বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থীর মধ্যে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত