নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি হিসাবে প্রতিবছরই বাড়ছে সাক্ষরতার হার। এর পরও দেশের সাত বছরের বেশি বয়সী ৩ কোটির বেশি মানুষ এখনো নিরক্ষর। এমন বাস্তবতায় ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই হিসাবে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাক্ষরতা ও উন্নয়ন নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি চিন্তা করা যায় না। বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে আগের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শতভাগ জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান দিতে বর্তমান সরকারের নিরলস প্রয়াস অব্যাহত আছে।
জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে চায় বাংলাদেশ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও সাক্ষরতা অর্জনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু এসব লক্ষ্য অর্জনে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। এমন বাস্তবতায় আজ ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, সাক্ষরতা বলতে শুধু অক্ষরজ্ঞান বা স্বাক্ষর করতে পারা নয়। সাক্ষরতা বলতে মাতৃভাষায় পড়তে পারা, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারা, যোগাযোগ স্থাপন করতে পারা এবং গণনা করতে পারা বোঝায়।
দেশে সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম চালানো সরকারি প্রতিষ্ঠান উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বলছে, দেশে এখনো নিরক্ষর তিন কোটির বেশি মানুষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যুরোর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই জনগোষ্ঠীকে ২০২৫ সালের মধ্যে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
কিন্তু এ নিয়ে কোনো কার্যক্রমই চলছে না। কারণ, সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য পরিচালিত মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প গত বছরের জুনে শেষ হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকারও করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য পরিচালিত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের জুনে। নতুন করে আরও ১০টি প্রকল্প নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। প্রকল্প না থাকায় বর্তমানে সাক্ষরতা নিয়ে কোনো কার্যক্রম চলমান নেই।
চলতি বছরের জুনে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ; ২০১৯ সালে ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ; ২০২০ সালে ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ; ২০২১ সালে ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই হিসাবে নিরক্ষরতার হার ছিল ২০১৮ সালে ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ; ২০১৯ সালে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ; ২০২০ সালে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ; ২০২১ সালে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ।
নিরক্ষরতা কমাতে সরকারের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, সরকারের উচিত এ বিষয়ে জোরদার কর্মসূচি নেওয়া। না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষর বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য, তা পূরণ হবে না।
সরকারি হিসাবে প্রতিবছরই বাড়ছে সাক্ষরতার হার। এর পরও দেশের সাত বছরের বেশি বয়সী ৩ কোটির বেশি মানুষ এখনো নিরক্ষর। এমন বাস্তবতায় ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই হিসাবে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাক্ষরতা ও উন্নয়ন নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি চিন্তা করা যায় না। বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে আগের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শতভাগ জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান দিতে বর্তমান সরকারের নিরলস প্রয়াস অব্যাহত আছে।
জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে চায় বাংলাদেশ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও সাক্ষরতা অর্জনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু এসব লক্ষ্য অর্জনে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। এমন বাস্তবতায় আজ ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, সাক্ষরতা বলতে শুধু অক্ষরজ্ঞান বা স্বাক্ষর করতে পারা নয়। সাক্ষরতা বলতে মাতৃভাষায় পড়তে পারা, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারা, যোগাযোগ স্থাপন করতে পারা এবং গণনা করতে পারা বোঝায়।
দেশে সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম চালানো সরকারি প্রতিষ্ঠান উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বলছে, দেশে এখনো নিরক্ষর তিন কোটির বেশি মানুষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যুরোর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই জনগোষ্ঠীকে ২০২৫ সালের মধ্যে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
কিন্তু এ নিয়ে কোনো কার্যক্রমই চলছে না। কারণ, সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য পরিচালিত মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প গত বছরের জুনে শেষ হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকারও করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য পরিচালিত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের জুনে। নতুন করে আরও ১০টি প্রকল্প নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। প্রকল্প না থাকায় বর্তমানে সাক্ষরতা নিয়ে কোনো কার্যক্রম চলমান নেই।
চলতি বছরের জুনে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ; ২০১৯ সালে ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ; ২০২০ সালে ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ; ২০২১ সালে ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই হিসাবে নিরক্ষরতার হার ছিল ২০১৮ সালে ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ; ২০১৯ সালে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ; ২০২০ সালে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ; ২০২১ সালে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ।
নিরক্ষরতা কমাতে সরকারের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, সরকারের উচিত এ বিষয়ে জোরদার কর্মসূচি নেওয়া। না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষর বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য, তা পূরণ হবে না।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে