নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার বাসিন্দা রওশনারা বেগম। তিনি ৯ সন্তানের জননী। নিজে তেমন পড়াশোনা করতে না পারলেও সন্তানদের পড়াশোনায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়ে দেশে-বিদেশে আলোকিত ও বিকশিত করে তুলেছেন তিনি। তাঁর সন্তানদের কেউ হয়েছেন থানা শিক্ষা অফিসার, কেউ হয়েছেন পুলিশ সুপার আবার কেউ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
নিজের সব সন্তানকেই উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করার কঠোর লড়াইয়ে সফল হয়েছেন এই মা। শুধু কুমিল্লার রওশনারা বেগম নন, মা দিবস উপলক্ষে আজ রোববার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টার মিলনায়তনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এ রকম সফল ৩৮ মায়ের হাতে ‘রত্নগর্ভা মা-২০২১’ পুরস্কার তুলে দিয়েছে আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড।
৩৮ মায়ের মধ্যে ১৩ জনকে বিশেষ ও ২৫ জনকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিশেষ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া রত্নগর্ভা মা হলেন—হামিদা বেগম, মাহমুদা বেগম, জাহানারা বেগম, সফুরা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, মাইমুনা আক্তার খাতুন, মাজেদা বেগম, আশা বড়ুয়া, খালেদা খানম, মাফিয়া বেগম, জাহানারা হোসেন, নাজিমা বেগম ও জান্নাতুল ফেরদৌসী।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ২৫ মা হলেন—আমেনা বেগম, লতিফা খানম, পুনুয়ারা বেগম, মর্জিনা সাখাওয়াত, সামসুন নাহার, আয়েশা খাতুন, রোকশানা আহম্মেদ, নাফিসা বেগম, ফারমিদা সাত্তার, সেলিমা খাতুন, রেহানা শফিক, অ্যাডভোকেট হাজেরা পারভীন, সুরাইয়া খানম, মাফিয়া আখতার, খোশনূর, পারুল বেগম, নাজমা আনিস, ফরিদা ইয়াসমিন, রওশনারা বেগম, ওয়াজিফা খাতুন, সিদ্দিকা বেগম, শাতিল আবেদা, ফয়জুন্নেছা বেগম, মমতাজ খানম ও মমতাজ বেগম।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ারকে ‘মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘এই দিনে সব মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আমাদের দেশে আমরা মায়েদের করুণা করি, তাঁদের অধিকার তাঁদের দিই না। মা সেবা দিয়েছেন তাই করুণা করি। অধিকার না দিলে উন্নতি হয় না।’
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘আগে মেট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ছেলেরা প্রথম হতো আর এখন মেয়েরা প্রথম হচ্ছে। মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, নারীদের অগ্রাধিকার হচ্ছে। আজ যে নারীদের অগ্রযাত্রা—এর পেছনে কাজ করে যাচ্ছেন আরেক মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
অনুষ্ঠানে রত্নগর্ভা মায়েদের স্বামী-সন্তান ও নাতি-নাতনিরা উপস্থিত ছিলেন। সফল হওয়া সন্তানেরা তাঁদের মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রম স্মৃতিচারণা করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার, ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উদ্যোক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার বাসিন্দা রওশনারা বেগম। তিনি ৯ সন্তানের জননী। নিজে তেমন পড়াশোনা করতে না পারলেও সন্তানদের পড়াশোনায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়ে দেশে-বিদেশে আলোকিত ও বিকশিত করে তুলেছেন তিনি। তাঁর সন্তানদের কেউ হয়েছেন থানা শিক্ষা অফিসার, কেউ হয়েছেন পুলিশ সুপার আবার কেউ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
নিজের সব সন্তানকেই উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করার কঠোর লড়াইয়ে সফল হয়েছেন এই মা। শুধু কুমিল্লার রওশনারা বেগম নন, মা দিবস উপলক্ষে আজ রোববার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টার মিলনায়তনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এ রকম সফল ৩৮ মায়ের হাতে ‘রত্নগর্ভা মা-২০২১’ পুরস্কার তুলে দিয়েছে আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড।
৩৮ মায়ের মধ্যে ১৩ জনকে বিশেষ ও ২৫ জনকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিশেষ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া রত্নগর্ভা মা হলেন—হামিদা বেগম, মাহমুদা বেগম, জাহানারা বেগম, সফুরা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, মাইমুনা আক্তার খাতুন, মাজেদা বেগম, আশা বড়ুয়া, খালেদা খানম, মাফিয়া বেগম, জাহানারা হোসেন, নাজিমা বেগম ও জান্নাতুল ফেরদৌসী।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ২৫ মা হলেন—আমেনা বেগম, লতিফা খানম, পুনুয়ারা বেগম, মর্জিনা সাখাওয়াত, সামসুন নাহার, আয়েশা খাতুন, রোকশানা আহম্মেদ, নাফিসা বেগম, ফারমিদা সাত্তার, সেলিমা খাতুন, রেহানা শফিক, অ্যাডভোকেট হাজেরা পারভীন, সুরাইয়া খানম, মাফিয়া আখতার, খোশনূর, পারুল বেগম, নাজমা আনিস, ফরিদা ইয়াসমিন, রওশনারা বেগম, ওয়াজিফা খাতুন, সিদ্দিকা বেগম, শাতিল আবেদা, ফয়জুন্নেছা বেগম, মমতাজ খানম ও মমতাজ বেগম।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ারকে ‘মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘এই দিনে সব মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আমাদের দেশে আমরা মায়েদের করুণা করি, তাঁদের অধিকার তাঁদের দিই না। মা সেবা দিয়েছেন তাই করুণা করি। অধিকার না দিলে উন্নতি হয় না।’
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘আগে মেট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ছেলেরা প্রথম হতো আর এখন মেয়েরা প্রথম হচ্ছে। মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, নারীদের অগ্রাধিকার হচ্ছে। আজ যে নারীদের অগ্রযাত্রা—এর পেছনে কাজ করে যাচ্ছেন আরেক মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
অনুষ্ঠানে রত্নগর্ভা মায়েদের স্বামী-সন্তান ও নাতি-নাতনিরা উপস্থিত ছিলেন। সফল হওয়া সন্তানেরা তাঁদের মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রম স্মৃতিচারণা করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার, ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উদ্যোক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ আলী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
১৩ ঘণ্টা আগে