কয়লা বিদ্যুৎ থেকে সরে আসছে সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২১, ২২: ৪০
আপডেট : ০৩ জুন ২০২১, ০২: ২৭

ঢাকা: পরিবেশের কথা বিবেচনায় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ও কেন্দ্রের সক্ষমতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিছু চলমান প্রকল্পকে ছোট করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এর সভাপতি অলোক শর্মার বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে কপ-২৬ এর সভাপতি অলোক শর্মা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

বাংলাদেশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন করলে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এর সভাপতি অলোক শর্মা বলেন, আমরা এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশ জানিয়েছে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনেকগুলোই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বাংলাদেশকে বিষয়টি পরিকল্পনায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছি। তবে অবশ্যই যেহেতু এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে না। ফলে অন্য উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি সামনে আনতে হবে। আর বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ গিগা ওয়াট বিদ্যুৎ সৌরের মাধ্যমে উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া বায়ু বিদ্যুৎও এ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশে বিদ্যুতে পরিবর্তন দেখতে আমরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।

এ সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কমিয়ে নিয়ে আসছি। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আসবে। দীর্ঘ মেয়াদে আমরা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসব। এমনকি আমাদের কিছু চলমান কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা হয়েছে। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে প্রযুক্তি ও সহায়তা চাই বলেও জানান তিনি।

সুন্দরবন নিয়ে কোন উদ্বেগ রয়েছে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে অলোক শর্মা বলেন, সাধারণ বনের থেকে ম্যানগ্রোভ চার গুন বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। আমরা সুন্দরবনে নতুন আরও সুরক্ষা কার্যক্রম দেখতে চাই।

এ নিয়ে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা সুন্দরবনকে সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নীত করতে চাই। উপকূল এলাকাতে ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির মাধ্যমে বাধ তৈরি করতে চাই। আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে চাই। সমুদ্রে যে বাধ রয়েছে, তা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এটি আরও উঁচু করতে চাই। উপকূল ধরে রাস্তা নির্মাণ করে রাস্তার দুই দিকে গাছ লাগিয়ে প্রাকৃতিক বাধ নির্মাণ করবে বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে অলোক শর্মা জানান যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল জোগাড় করা কঠিন হবে না। আর দাতা দেশগুলো এতে একমত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত