তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এগুলোর (ব্যাপারে) ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার আলোকে নির্ধারিত ফরমে পেশাদার চালকের বিভিন্ন বিষয় দেখা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত ফরম এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট ভুয়া বানানো হচ্ছে। সাধারণত বিআরটিএর সার্কেল অফিসের আশপাশে যেসব কম্পিউটার কম্পোজের দোকান রয়েছে, সেগুলোয় এ ধরনের ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ডাক্তারের নাম দিয়ে ফটোশপে এডিট করে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানানো হচ্ছে।
৮ হাসপাতালে হয় মেডিকেল পরীক্ষা
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল পরীক্ষায় জন্য বিআরটিএ ৮টি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে। তার মধ্যে আছে—কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (সাবেক পিজি), জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ।
এসব হাসপাতালের ডাক্তারের থেকে আনা সার্টিফিকেট মেডিকেল সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান মেডিকেল সার্টিফিকেটের কপি অনলাইনে জিমেইলের মাধ্যমে বিআরটিএকে পাঠায়। এই বিষয়ে বিআরটিএ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, মেডিকেল সার্টিফিকেট বিআরটিএকে অফিশিয়ালি মেইলে পাঠানোর জন্য।
বিআরটিএর বিভিন্ন সার্কেলের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ভুয়া কি না, সেটা প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ নেই আমাদের কাছে। তবে চোখের দেখায় বোঝা যায় যে সেটা ভুয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো ভেরিফাই করেছি। আমরা এই ধরনের ভুয়া সার্টিফিকেট বাতিলও করতে পারছি না। কারণ, সার্টিফিকেটে ডাক্তার ও হাসপাতালের সিল সবই আছে; সে ক্ষেত্রে অফিশিয়ালি বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। হাজার হাজার লাইসেন্স ম্যানুয়ালি ক্রস চেক করার সুযোগ কম; কারণ, একটি মাত্র হাসপাতাল সার্টিফিকেট আমাদের কাছে মেইলে পাঠায়, বাকি হাসপাতালগুলো পাঠায় না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুরসহ বিভিন্ন বিআরটিএ অফিসের পাশে গড়ে ওঠা কম্পিউটার কম্পোজের দোকানগুলোয় দেদার বানানো হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। টাকার বিনিময়ে হাসপাতাল, ডাক্তারের সিলসহ সই জাল করে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। এই কাজ বেশি করছেন একশ্রেণির দালাল; যাঁরা ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়ার চুক্তি করছেন গ্রাহকদের সঙ্গে।
মিরপুরে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে এসেছিলেন মো. আলিফ। তাঁর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সের কাজে অনেক ভেজাল (জটিল)। অনেকগুলো কাগজপত্র লাগে। এর মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট করানো একটা জটিলতা। হাসপাতালে ঘুরতে ঘরতে দিন শেষ। আমাদের এত সময় নেই। দোকানে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানিয়ে দেয়, সেটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছি।’ জাল মেডিকেল সার্টিফিকেটের কারণে যদি আবেদন বাতিল হয় তখন কী হবে-এ প্রশ্নে আলিফ বলেন, ‘জানি না আবেদনটি বাতিল হবে কিনা। তবে আমার পরিচিত অনেক চালক এইভাবে লাইসেন্স নিয়েছেন।’
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আসার পরে এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছি। আমাদের এডি (সহকারী পরিচালক) প্যানেলে যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ, এসব অ্যাটাচমেন্ট অনলাইনে আসে, সেখানে অনেক সময় ভুল দেয়। তাই অ্যাটাচমেন্টগুলো যাচাই করে সত্যতা পেলে তারপরে অনুমোদন দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি রিপোর্টটা আমাদের সার্ভারে আপলোড করে দিলে ভালো হতো।’
মেডিকেল পরীক্ষায় চালকের যেসব বিষয় দেখা হয়
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চালকের যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়, সেগুলো হলো—প্রার্থীর বয়স, দৃষ্টিশক্তির কোনো ত্রুটি আছে কি না, প্রার্থী সহজে লাল ও সবুজ রং চিহ্নিত করতে পারেন কি না, প্রার্থীর রাতকানা এবং বধিরতা রোগ আছে কি না, মোটর যান চালনায় অক্ষম এ রকম অঙ্গহানি প্রার্থী আছে কি না, মদ বা ড্রাগে আসক্তির কোনো লক্ষণ আছে কি না। এ ছাড়া প্রার্থীর শনাক্তকরণ চিহ্ন আছে কি না, তা-ও দেখা হয়ে থাকে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে অদক্ষ, মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পান এবং তিনি যদি সড়কে থাকেন, তাহলে সড়ক যতই মাখনের মতো করা হোক, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দুর্ঘটনার অন্যতম ফ্যাক্টর (কারণ) হলো হিউম্যান এরর (মানুষের ভুল)। শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং মাদকাসক্ত চালক যদি সড়কে থাকেন, অন্য চালক দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) গবেষণায় দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দুর্ঘটনায় জড়িত মাদকাসক্ত চালক ছিলেন ১২-১৪ শতাংশ। এই সংখ্যা ২০২০-২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ থেকে ২৪ শতাংশ। বর্তমান সময়ে এই সংখ্যা আরও ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি বাড়ার কারণ হচ্ছে, চালকদের জীবনমানের এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। সড়ক পরিবহন আইনে যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, তার কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি।
সমাধান মিলতে পারে প্রযুক্তিতে
বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, বিআরটিএর সার্ভারে বিএমডিসির রেজিস্টার্ড ডাক্তারদের যুক্ত করতে হবে। ডাক্তাররা যে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেবেন, সেটা বিআরটিএ সিস্টেমে চলে আসবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এতে ভুয়া সার্টিফিকেট ভেরিফাই করা সহজ হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেকনোলজি অনেক এগিয়ে গেছে, কিউআর কোডসংবলিত মেডিকেল সার্টিফিকেট করা উচিত। তাহলে যে কেউ কিউআর কোড স্ক্যান করে বুঝতে পারবেন, সার্টিফিকেটটা আসল নাকি নকল।’
আরও খবর পড়ুন:

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এগুলোর (ব্যাপারে) ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার আলোকে নির্ধারিত ফরমে পেশাদার চালকের বিভিন্ন বিষয় দেখা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত ফরম এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট ভুয়া বানানো হচ্ছে। সাধারণত বিআরটিএর সার্কেল অফিসের আশপাশে যেসব কম্পিউটার কম্পোজের দোকান রয়েছে, সেগুলোয় এ ধরনের ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ডাক্তারের নাম দিয়ে ফটোশপে এডিট করে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানানো হচ্ছে।
৮ হাসপাতালে হয় মেডিকেল পরীক্ষা
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল পরীক্ষায় জন্য বিআরটিএ ৮টি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে। তার মধ্যে আছে—কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (সাবেক পিজি), জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ।
এসব হাসপাতালের ডাক্তারের থেকে আনা সার্টিফিকেট মেডিকেল সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান মেডিকেল সার্টিফিকেটের কপি অনলাইনে জিমেইলের মাধ্যমে বিআরটিএকে পাঠায়। এই বিষয়ে বিআরটিএ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, মেডিকেল সার্টিফিকেট বিআরটিএকে অফিশিয়ালি মেইলে পাঠানোর জন্য।
বিআরটিএর বিভিন্ন সার্কেলের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ভুয়া কি না, সেটা প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ নেই আমাদের কাছে। তবে চোখের দেখায় বোঝা যায় যে সেটা ভুয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো ভেরিফাই করেছি। আমরা এই ধরনের ভুয়া সার্টিফিকেট বাতিলও করতে পারছি না। কারণ, সার্টিফিকেটে ডাক্তার ও হাসপাতালের সিল সবই আছে; সে ক্ষেত্রে অফিশিয়ালি বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। হাজার হাজার লাইসেন্স ম্যানুয়ালি ক্রস চেক করার সুযোগ কম; কারণ, একটি মাত্র হাসপাতাল সার্টিফিকেট আমাদের কাছে মেইলে পাঠায়, বাকি হাসপাতালগুলো পাঠায় না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুরসহ বিভিন্ন বিআরটিএ অফিসের পাশে গড়ে ওঠা কম্পিউটার কম্পোজের দোকানগুলোয় দেদার বানানো হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। টাকার বিনিময়ে হাসপাতাল, ডাক্তারের সিলসহ সই জাল করে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। এই কাজ বেশি করছেন একশ্রেণির দালাল; যাঁরা ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়ার চুক্তি করছেন গ্রাহকদের সঙ্গে।
মিরপুরে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে এসেছিলেন মো. আলিফ। তাঁর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সের কাজে অনেক ভেজাল (জটিল)। অনেকগুলো কাগজপত্র লাগে। এর মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট করানো একটা জটিলতা। হাসপাতালে ঘুরতে ঘরতে দিন শেষ। আমাদের এত সময় নেই। দোকানে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানিয়ে দেয়, সেটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছি।’ জাল মেডিকেল সার্টিফিকেটের কারণে যদি আবেদন বাতিল হয় তখন কী হবে-এ প্রশ্নে আলিফ বলেন, ‘জানি না আবেদনটি বাতিল হবে কিনা। তবে আমার পরিচিত অনেক চালক এইভাবে লাইসেন্স নিয়েছেন।’
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আসার পরে এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছি। আমাদের এডি (সহকারী পরিচালক) প্যানেলে যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ, এসব অ্যাটাচমেন্ট অনলাইনে আসে, সেখানে অনেক সময় ভুল দেয়। তাই অ্যাটাচমেন্টগুলো যাচাই করে সত্যতা পেলে তারপরে অনুমোদন দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি রিপোর্টটা আমাদের সার্ভারে আপলোড করে দিলে ভালো হতো।’
মেডিকেল পরীক্ষায় চালকের যেসব বিষয় দেখা হয়
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চালকের যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়, সেগুলো হলো—প্রার্থীর বয়স, দৃষ্টিশক্তির কোনো ত্রুটি আছে কি না, প্রার্থী সহজে লাল ও সবুজ রং চিহ্নিত করতে পারেন কি না, প্রার্থীর রাতকানা এবং বধিরতা রোগ আছে কি না, মোটর যান চালনায় অক্ষম এ রকম অঙ্গহানি প্রার্থী আছে কি না, মদ বা ড্রাগে আসক্তির কোনো লক্ষণ আছে কি না। এ ছাড়া প্রার্থীর শনাক্তকরণ চিহ্ন আছে কি না, তা-ও দেখা হয়ে থাকে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে অদক্ষ, মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পান এবং তিনি যদি সড়কে থাকেন, তাহলে সড়ক যতই মাখনের মতো করা হোক, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দুর্ঘটনার অন্যতম ফ্যাক্টর (কারণ) হলো হিউম্যান এরর (মানুষের ভুল)। শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং মাদকাসক্ত চালক যদি সড়কে থাকেন, অন্য চালক দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) গবেষণায় দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দুর্ঘটনায় জড়িত মাদকাসক্ত চালক ছিলেন ১২-১৪ শতাংশ। এই সংখ্যা ২০২০-২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ থেকে ২৪ শতাংশ। বর্তমান সময়ে এই সংখ্যা আরও ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি বাড়ার কারণ হচ্ছে, চালকদের জীবনমানের এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। সড়ক পরিবহন আইনে যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, তার কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি।
সমাধান মিলতে পারে প্রযুক্তিতে
বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, বিআরটিএর সার্ভারে বিএমডিসির রেজিস্টার্ড ডাক্তারদের যুক্ত করতে হবে। ডাক্তাররা যে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেবেন, সেটা বিআরটিএ সিস্টেমে চলে আসবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এতে ভুয়া সার্টিফিকেট ভেরিফাই করা সহজ হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেকনোলজি অনেক এগিয়ে গেছে, কিউআর কোডসংবলিত মেডিকেল সার্টিফিকেট করা উচিত। তাহলে যে কেউ কিউআর কোড স্ক্যান করে বুঝতে পারবেন, সার্টিফিকেটটা আসল নাকি নকল।’
আরও খবর পড়ুন:
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এগুলোর (ব্যাপারে) ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার আলোকে নির্ধারিত ফরমে পেশাদার চালকের বিভিন্ন বিষয় দেখা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত ফরম এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট ভুয়া বানানো হচ্ছে। সাধারণত বিআরটিএর সার্কেল অফিসের আশপাশে যেসব কম্পিউটার কম্পোজের দোকান রয়েছে, সেগুলোয় এ ধরনের ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ডাক্তারের নাম দিয়ে ফটোশপে এডিট করে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানানো হচ্ছে।
৮ হাসপাতালে হয় মেডিকেল পরীক্ষা
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল পরীক্ষায় জন্য বিআরটিএ ৮টি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে। তার মধ্যে আছে—কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (সাবেক পিজি), জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ।
এসব হাসপাতালের ডাক্তারের থেকে আনা সার্টিফিকেট মেডিকেল সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান মেডিকেল সার্টিফিকেটের কপি অনলাইনে জিমেইলের মাধ্যমে বিআরটিএকে পাঠায়। এই বিষয়ে বিআরটিএ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, মেডিকেল সার্টিফিকেট বিআরটিএকে অফিশিয়ালি মেইলে পাঠানোর জন্য।
বিআরটিএর বিভিন্ন সার্কেলের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ভুয়া কি না, সেটা প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ নেই আমাদের কাছে। তবে চোখের দেখায় বোঝা যায় যে সেটা ভুয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো ভেরিফাই করেছি। আমরা এই ধরনের ভুয়া সার্টিফিকেট বাতিলও করতে পারছি না। কারণ, সার্টিফিকেটে ডাক্তার ও হাসপাতালের সিল সবই আছে; সে ক্ষেত্রে অফিশিয়ালি বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। হাজার হাজার লাইসেন্স ম্যানুয়ালি ক্রস চেক করার সুযোগ কম; কারণ, একটি মাত্র হাসপাতাল সার্টিফিকেট আমাদের কাছে মেইলে পাঠায়, বাকি হাসপাতালগুলো পাঠায় না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুরসহ বিভিন্ন বিআরটিএ অফিসের পাশে গড়ে ওঠা কম্পিউটার কম্পোজের দোকানগুলোয় দেদার বানানো হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। টাকার বিনিময়ে হাসপাতাল, ডাক্তারের সিলসহ সই জাল করে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। এই কাজ বেশি করছেন একশ্রেণির দালাল; যাঁরা ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়ার চুক্তি করছেন গ্রাহকদের সঙ্গে।
মিরপুরে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে এসেছিলেন মো. আলিফ। তাঁর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সের কাজে অনেক ভেজাল (জটিল)। অনেকগুলো কাগজপত্র লাগে। এর মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট করানো একটা জটিলতা। হাসপাতালে ঘুরতে ঘরতে দিন শেষ। আমাদের এত সময় নেই। দোকানে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানিয়ে দেয়, সেটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছি।’ জাল মেডিকেল সার্টিফিকেটের কারণে যদি আবেদন বাতিল হয় তখন কী হবে-এ প্রশ্নে আলিফ বলেন, ‘জানি না আবেদনটি বাতিল হবে কিনা। তবে আমার পরিচিত অনেক চালক এইভাবে লাইসেন্স নিয়েছেন।’
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আসার পরে এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছি। আমাদের এডি (সহকারী পরিচালক) প্যানেলে যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ, এসব অ্যাটাচমেন্ট অনলাইনে আসে, সেখানে অনেক সময় ভুল দেয়। তাই অ্যাটাচমেন্টগুলো যাচাই করে সত্যতা পেলে তারপরে অনুমোদন দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি রিপোর্টটা আমাদের সার্ভারে আপলোড করে দিলে ভালো হতো।’
মেডিকেল পরীক্ষায় চালকের যেসব বিষয় দেখা হয়
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চালকের যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়, সেগুলো হলো—প্রার্থীর বয়স, দৃষ্টিশক্তির কোনো ত্রুটি আছে কি না, প্রার্থী সহজে লাল ও সবুজ রং চিহ্নিত করতে পারেন কি না, প্রার্থীর রাতকানা এবং বধিরতা রোগ আছে কি না, মোটর যান চালনায় অক্ষম এ রকম অঙ্গহানি প্রার্থী আছে কি না, মদ বা ড্রাগে আসক্তির কোনো লক্ষণ আছে কি না। এ ছাড়া প্রার্থীর শনাক্তকরণ চিহ্ন আছে কি না, তা-ও দেখা হয়ে থাকে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে অদক্ষ, মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পান এবং তিনি যদি সড়কে থাকেন, তাহলে সড়ক যতই মাখনের মতো করা হোক, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দুর্ঘটনার অন্যতম ফ্যাক্টর (কারণ) হলো হিউম্যান এরর (মানুষের ভুল)। শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং মাদকাসক্ত চালক যদি সড়কে থাকেন, অন্য চালক দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) গবেষণায় দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দুর্ঘটনায় জড়িত মাদকাসক্ত চালক ছিলেন ১২-১৪ শতাংশ। এই সংখ্যা ২০২০-২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ থেকে ২৪ শতাংশ। বর্তমান সময়ে এই সংখ্যা আরও ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি বাড়ার কারণ হচ্ছে, চালকদের জীবনমানের এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। সড়ক পরিবহন আইনে যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, তার কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি।
সমাধান মিলতে পারে প্রযুক্তিতে
বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, বিআরটিএর সার্ভারে বিএমডিসির রেজিস্টার্ড ডাক্তারদের যুক্ত করতে হবে। ডাক্তাররা যে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেবেন, সেটা বিআরটিএ সিস্টেমে চলে আসবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এতে ভুয়া সার্টিফিকেট ভেরিফাই করা সহজ হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেকনোলজি অনেক এগিয়ে গেছে, কিউআর কোডসংবলিত মেডিকেল সার্টিফিকেট করা উচিত। তাহলে যে কেউ কিউআর কোড স্ক্যান করে বুঝতে পারবেন, সার্টিফিকেটটা আসল নাকি নকল।’
আরও খবর পড়ুন:

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এগুলোর (ব্যাপারে) ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার আলোকে নির্ধারিত ফরমে পেশাদার চালকের বিভিন্ন বিষয় দেখা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত ফরম এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট ভুয়া বানানো হচ্ছে। সাধারণত বিআরটিএর সার্কেল অফিসের আশপাশে যেসব কম্পিউটার কম্পোজের দোকান রয়েছে, সেগুলোয় এ ধরনের ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ডাক্তারের নাম দিয়ে ফটোশপে এডিট করে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানানো হচ্ছে।
৮ হাসপাতালে হয় মেডিকেল পরীক্ষা
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল পরীক্ষায় জন্য বিআরটিএ ৮টি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে। তার মধ্যে আছে—কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (সাবেক পিজি), জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ।
এসব হাসপাতালের ডাক্তারের থেকে আনা সার্টিফিকেট মেডিকেল সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান মেডিকেল সার্টিফিকেটের কপি অনলাইনে জিমেইলের মাধ্যমে বিআরটিএকে পাঠায়। এই বিষয়ে বিআরটিএ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, মেডিকেল সার্টিফিকেট বিআরটিএকে অফিশিয়ালি মেইলে পাঠানোর জন্য।
বিআরটিএর বিভিন্ন সার্কেলের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ভুয়া কি না, সেটা প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ নেই আমাদের কাছে। তবে চোখের দেখায় বোঝা যায় যে সেটা ভুয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো ভেরিফাই করেছি। আমরা এই ধরনের ভুয়া সার্টিফিকেট বাতিলও করতে পারছি না। কারণ, সার্টিফিকেটে ডাক্তার ও হাসপাতালের সিল সবই আছে; সে ক্ষেত্রে অফিশিয়ালি বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। হাজার হাজার লাইসেন্স ম্যানুয়ালি ক্রস চেক করার সুযোগ কম; কারণ, একটি মাত্র হাসপাতাল সার্টিফিকেট আমাদের কাছে মেইলে পাঠায়, বাকি হাসপাতালগুলো পাঠায় না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুরসহ বিভিন্ন বিআরটিএ অফিসের পাশে গড়ে ওঠা কম্পিউটার কম্পোজের দোকানগুলোয় দেদার বানানো হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। টাকার বিনিময়ে হাসপাতাল, ডাক্তারের সিলসহ সই জাল করে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেডিকেল সার্টিফিকেট। এই কাজ বেশি করছেন একশ্রেণির দালাল; যাঁরা ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়ার চুক্তি করছেন গ্রাহকদের সঙ্গে।
মিরপুরে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে এসেছিলেন মো. আলিফ। তাঁর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সের কাজে অনেক ভেজাল (জটিল)। অনেকগুলো কাগজপত্র লাগে। এর মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট করানো একটা জটিলতা। হাসপাতালে ঘুরতে ঘরতে দিন শেষ। আমাদের এত সময় নেই। দোকানে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানিয়ে দেয়, সেটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছি।’ জাল মেডিকেল সার্টিফিকেটের কারণে যদি আবেদন বাতিল হয় তখন কী হবে-এ প্রশ্নে আলিফ বলেন, ‘জানি না আবেদনটি বাতিল হবে কিনা। তবে আমার পরিচিত অনেক চালক এইভাবে লাইসেন্স নিয়েছেন।’
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আসার পরে এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছি। আমাদের এডি (সহকারী পরিচালক) প্যানেলে যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ, এসব অ্যাটাচমেন্ট অনলাইনে আসে, সেখানে অনেক সময় ভুল দেয়। তাই অ্যাটাচমেন্টগুলো যাচাই করে সত্যতা পেলে তারপরে অনুমোদন দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি রিপোর্টটা আমাদের সার্ভারে আপলোড করে দিলে ভালো হতো।’
মেডিকেল পরীক্ষায় চালকের যেসব বিষয় দেখা হয়
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেডিকেল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চালকের যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়, সেগুলো হলো—প্রার্থীর বয়স, দৃষ্টিশক্তির কোনো ত্রুটি আছে কি না, প্রার্থী সহজে লাল ও সবুজ রং চিহ্নিত করতে পারেন কি না, প্রার্থীর রাতকানা এবং বধিরতা রোগ আছে কি না, মোটর যান চালনায় অক্ষম এ রকম অঙ্গহানি প্রার্থী আছে কি না, মদ বা ড্রাগে আসক্তির কোনো লক্ষণ আছে কি না। এ ছাড়া প্রার্থীর শনাক্তকরণ চিহ্ন আছে কি না, তা-ও দেখা হয়ে থাকে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে অদক্ষ, মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পান এবং তিনি যদি সড়কে থাকেন, তাহলে সড়ক যতই মাখনের মতো করা হোক, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দুর্ঘটনার অন্যতম ফ্যাক্টর (কারণ) হলো হিউম্যান এরর (মানুষের ভুল)। শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং মাদকাসক্ত চালক যদি সড়কে থাকেন, অন্য চালক দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) গবেষণায় দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দুর্ঘটনায় জড়িত মাদকাসক্ত চালক ছিলেন ১২-১৪ শতাংশ। এই সংখ্যা ২০২০-২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ থেকে ২৪ শতাংশ। বর্তমান সময়ে এই সংখ্যা আরও ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি বাড়ার কারণ হচ্ছে, চালকদের জীবনমানের এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। সড়ক পরিবহন আইনে যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, তার কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি।
সমাধান মিলতে পারে প্রযুক্তিতে
বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, বিআরটিএর সার্ভারে বিএমডিসির রেজিস্টার্ড ডাক্তারদের যুক্ত করতে হবে। ডাক্তাররা যে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেবেন, সেটা বিআরটিএ সিস্টেমে চলে আসবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এতে ভুয়া সার্টিফিকেট ভেরিফাই করা সহজ হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেকনোলজি অনেক এগিয়ে গেছে, কিউআর কোডসংবলিত মেডিকেল সার্টিফিকেট করা উচিত। তাহলে যে কেউ কিউআর কোড স্ক্যান করে বুঝতে পারবেন, সার্টিফিকেটটা আসল নাকি নকল।’
আরও খবর পড়ুন:

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৩ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
৭ মিনিট আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১৩ মিনিট আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
গতকাল বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কেরানীপাড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় হালিমার ঘোড়াটি। হালিমা আক্তার নওগাঁর ধামরাই এলাকার ওয়াবদুল ইসলামের মেয়ে। বাবা-মেয়েসহ পরিবারটি ঘোড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে হঠাৎ ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেও তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে ঘোড়াটির অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। পরে দ্রুত তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘোড়াটি মারা যায়।
এই ঘোড়া দিয়েই হালিমার বড় বোন তাসমিনা আক্তার একসময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। বড় বোনের হাত ধরে হালিমার ঘোড়দৌড়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। অন্যের ঘোড়া দিয়ে শুরু হলেও পরে বিভিন্ন মানুষের সহায়তায় পরিবারটি নিজস্ব একটি ঘোড়া পায়। সেই ঘোড়াই ছিল তাঁদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস।
হালিমার বাবা ওয়াবদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোড়াটি দিয়ে আমাদের সংসার চলত। প্রতিযোগিতা, মালপত্র বহন সবই এই ঘোড়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। সুস্থ অবস্থায় নওগাঁ থেকে নিয়ে এসেছিলাম। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় আমরা এখন সম্পূর্ণ অসহায়।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে হালিমা আক্তার বলেন, ‘এই ঘোড়াটা আমরা নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। ওকে নিয়ে খেলায় যেতাম, সংসার চলত। এখন ঘোড়াটা নেই, আমাদেরও কিছু নেই। কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।’
ঘোড়দৌড় দেখতে আসা দর্শক মিজু সরকার হৃদয় বলেন, ‘হালিমা বেগম ও তাঁর ঘোড়াকে আমরা প্রায়ই প্রতিযোগিতায় দেখতাম। তাঁদের জীবিকার একমাত্র ভরসাটা হারিয়ে গেছে। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।’
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ইসরাতুজ্জাহান ইমা বলেন, ‘ঘোড়াটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমাদের কাছে আনা হয়। প্রচণ্ড জ্বর ও ব্যথায় ভুগছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
গতকাল বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কেরানীপাড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় হালিমার ঘোড়াটি। হালিমা আক্তার নওগাঁর ধামরাই এলাকার ওয়াবদুল ইসলামের মেয়ে। বাবা-মেয়েসহ পরিবারটি ঘোড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে হঠাৎ ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেও তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে ঘোড়াটির অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। পরে দ্রুত তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘোড়াটি মারা যায়।
এই ঘোড়া দিয়েই হালিমার বড় বোন তাসমিনা আক্তার একসময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। বড় বোনের হাত ধরে হালিমার ঘোড়দৌড়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। অন্যের ঘোড়া দিয়ে শুরু হলেও পরে বিভিন্ন মানুষের সহায়তায় পরিবারটি নিজস্ব একটি ঘোড়া পায়। সেই ঘোড়াই ছিল তাঁদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস।
হালিমার বাবা ওয়াবদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোড়াটি দিয়ে আমাদের সংসার চলত। প্রতিযোগিতা, মালপত্র বহন সবই এই ঘোড়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। সুস্থ অবস্থায় নওগাঁ থেকে নিয়ে এসেছিলাম। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় আমরা এখন সম্পূর্ণ অসহায়।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে হালিমা আক্তার বলেন, ‘এই ঘোড়াটা আমরা নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। ওকে নিয়ে খেলায় যেতাম, সংসার চলত। এখন ঘোড়াটা নেই, আমাদেরও কিছু নেই। কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।’
ঘোড়দৌড় দেখতে আসা দর্শক মিজু সরকার হৃদয় বলেন, ‘হালিমা বেগম ও তাঁর ঘোড়াকে আমরা প্রায়ই প্রতিযোগিতায় দেখতাম। তাঁদের জীবিকার একমাত্র ভরসাটা হারিয়ে গেছে। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।’
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ইসরাতুজ্জাহান ইমা বলেন, ‘ঘোড়াটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমাদের কাছে আনা হয়। প্রচণ্ড জ্বর ও ব্যথায় ভুগছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
৭ মিনিট আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১৩ মিনিট আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বিথীকে ৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে ১৫ ডিসেম্বর খাদিজাকে আটক করা হয়। পরদিন তাঁকে আরিফ সিকদার হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ওই মামলায় খাদিজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম।
তবে মামলার মূল নথি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না থাকায় সেদিন খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়।
খাদিজাকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর মেয়ে খাদিজা মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। যুবদল নেতা আরিফকে তাঁরা প্রতিপক্ষ মনে করতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পরিকল্পনায় আরিফকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আসামি খাদিজা জড়িত ছিল বলে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির দি ঝিল ক্যাফের সামনে আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মারা যান ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক।
এ ঘটনায় নিহতের বোন রিমা আক্তার সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বিথীকে ৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে ১৫ ডিসেম্বর খাদিজাকে আটক করা হয়। পরদিন তাঁকে আরিফ সিকদার হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ওই মামলায় খাদিজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম।
তবে মামলার মূল নথি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না থাকায় সেদিন খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়।
খাদিজাকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর মেয়ে খাদিজা মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। যুবদল নেতা আরিফকে তাঁরা প্রতিপক্ষ মনে করতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পরিকল্পনায় আরিফকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আসামি খাদিজা জড়িত ছিল বলে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির দি ঝিল ক্যাফের সামনে আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মারা যান ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক।
এ ঘটনায় নিহতের বোন রিমা আক্তার সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৩ মিনিট আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১৩ মিনিট আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেআক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিরা বাজারে এক ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডল (মাইক্রোবাসচালক) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সুজন মণ্ডলের স্ত্রী মারুফা আক্তারের অভিযোগ, টাকা চুরির অভিযোগে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন তাঁর স্বামীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। পরে ঘটনাটি আড়াল করতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা বলেন, ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ব্যান্ডেজ ও শরীরের পেছনের অংশে কালশিটে দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মারধরের আলামত পাওয়া গেছে।
নিহত সুজন মণ্ডল উপজেলার কাশিরা পুকুরিয়া গ্রামের ওসমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চুরির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার পাকুরদাড়িয়া গ্রামে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন বিকেলে সুজন মণ্ডল তাঁর খালাতো বোন সোনাভানের বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ৭০ হাজার টাকা চুরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সন্ধ্যার দিকে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে সুজন টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন এবং চুরি হওয়া টাকার ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন।
এরপর ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন সুজন মণ্ডলকে কাশিরা বাজারে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। তিনি থানায় খবর দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাস্তি দেওয়ার কথা জানান। তবে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় দুজন গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাঁকে কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়।
আজ সকালে সুজন মণ্ডল তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিছু সময় পর পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশরা তাঁর আত্মহত্যার খবর দেন। পরে স্বজনেরা গিয়ে দেখেন, কার্যালয়ের ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় সুজন মণ্ডলের লাশ ঝুলে আছে।
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ‘সুজন টাকা চুরি করেছিল। গ্রামবাসী তাকে মারধর করেছে। পরে তাকে আমার কার্যালয়ে এনে রাত ১০টার পর পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত হবে না জানালে দুজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় রেখে আমি বাড়িতে চলে যাই। পাহারার দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে সে আত্মহত্যা করে।’
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে কাউকে আটকে রাখার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। ইউপি সদস্যের এমন ক্ষমতা নেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখি।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, সকালে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিরা বাজারে এক ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডল (মাইক্রোবাসচালক) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সুজন মণ্ডলের স্ত্রী মারুফা আক্তারের অভিযোগ, টাকা চুরির অভিযোগে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন তাঁর স্বামীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। পরে ঘটনাটি আড়াল করতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা বলেন, ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ব্যান্ডেজ ও শরীরের পেছনের অংশে কালশিটে দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মারধরের আলামত পাওয়া গেছে।
নিহত সুজন মণ্ডল উপজেলার কাশিরা পুকুরিয়া গ্রামের ওসমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চুরির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার পাকুরদাড়িয়া গ্রামে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন বিকেলে সুজন মণ্ডল তাঁর খালাতো বোন সোনাভানের বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ৭০ হাজার টাকা চুরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সন্ধ্যার দিকে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে সুজন টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন এবং চুরি হওয়া টাকার ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন।
এরপর ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন সুজন মণ্ডলকে কাশিরা বাজারে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। তিনি থানায় খবর দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাস্তি দেওয়ার কথা জানান। তবে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় দুজন গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাঁকে কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়।
আজ সকালে সুজন মণ্ডল তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিছু সময় পর পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশরা তাঁর আত্মহত্যার খবর দেন। পরে স্বজনেরা গিয়ে দেখেন, কার্যালয়ের ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় সুজন মণ্ডলের লাশ ঝুলে আছে।
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ‘সুজন টাকা চুরি করেছিল। গ্রামবাসী তাকে মারধর করেছে। পরে তাকে আমার কার্যালয়ে এনে রাত ১০টার পর পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত হবে না জানালে দুজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় রেখে আমি বাড়িতে চলে যাই। পাহারার দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে সে আত্মহত্যা করে।’
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে কাউকে আটকে রাখার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। ইউপি সদস্যের এমন ক্ষমতা নেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখি।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, সকালে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৩ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
৭ মিনিট আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ফলে নগরীসহ জেলার অন্তত ৪০টি সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, আইদি পরিবহন প্রয়োজনীয় রুট পারমিট ছাড়াই কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাইছে, যা পরিবহন আইন ও বিদ্যমান নিয়মের পরিপন্থী।
আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে তাঁদের বাস চলাচল শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তাঁদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। তিনি দাবি করেন, এসব বাধার কারণেই কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে রুট পারমিট ও অনাপত্তিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার বন্ধ রেখে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি থাকলেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রুট পারমিট ছাড়া কোনো পরিবহন কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারে না। এর আগেও আমরা তাদের একাধিকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু বিজয় দিবস ও বুধবার হঠাৎ প্রভাব বিস্তার করে টার্মিনালে বাস ঢুকিয়ে চলাচল শুরু করে। বৃহস্পতিবার আবার একই চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালন করা হয়।’
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। অনেকে নিরুপায় হয়ে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস কিংবা অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে রওনা হন। শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ পায়।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত না এলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যার সরাসরি ভুক্তভোগী হবে সাধারণ যাত্রীরা।

অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ফলে নগরীসহ জেলার অন্তত ৪০টি সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, আইদি পরিবহন প্রয়োজনীয় রুট পারমিট ছাড়াই কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাইছে, যা পরিবহন আইন ও বিদ্যমান নিয়মের পরিপন্থী।
আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে তাঁদের বাস চলাচল শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তাঁদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। তিনি দাবি করেন, এসব বাধার কারণেই কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে রুট পারমিট ও অনাপত্তিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার বন্ধ রেখে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি থাকলেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রুট পারমিট ছাড়া কোনো পরিবহন কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারে না। এর আগেও আমরা তাদের একাধিকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু বিজয় দিবস ও বুধবার হঠাৎ প্রভাব বিস্তার করে টার্মিনালে বাস ঢুকিয়ে চলাচল শুরু করে। বৃহস্পতিবার আবার একই চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালন করা হয়।’
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। অনেকে নিরুপায় হয়ে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস কিংবা অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে রওনা হন। শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ পায়।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত না এলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যার সরাসরি ভুক্তভোগী হবে সাধারণ যাত্রীরা।

পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৩ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
৭ মিনিট আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১৩ মিনিট আগে