সম্পাদকীয়
ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রূপা হক একটি ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন। বিটিএমএর এক আয়োজনে অন্য অনেক বিষয়ের সঙ্গে তিনি পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে কিছু কথা বলেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তিনি বলেছেন, একজন নেতার কন্যা, আরেকজন নেতার বেগম এবং তাঁদের ছেলেরা সবকিছুতে আধিপত্য দেখাবে—এ প্রবণতার পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রায় ৫৪ বছরের এ বাস্তবতা থেকে বের হয়ে আসতে একটা পরিচ্ছন্নতা অভিযান দরকার। এ কথা বলে তিনি লেজিসলেশন করে (আইন প্রণয়ন) নতুন কিছু করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন।
কথাগুলো নতুন নয়। আমাদের দেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র যে একটা বিষয়, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সারা বিশ্বের বহু দেশেই কখনো না কখনো পরিবারতন্ত্রের উত্থান দেখা গেছে। তবে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য পরিবারতন্ত্র যেন ললাটলিখনে পরিণত হয়েছে। ভারতে নেহরু পরিবার, শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষে পরিবার, পাকিস্তানে ভুট্টো পরিবার, নওয়াজ শরিফ পরিবার, বাংলাদেশে মুজিব পরিবার ও জিয়া পরিবারের হাতে ক্ষমতা এসেছে এবং ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মও ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন। এখনো এই দেশগুলোর রাজনীতিতে শক্তিশালী হয়ে আছে পরিবার। পরিবারতন্ত্র তাই এখানে নতুন কিছু নয়।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এলে পরিবারতন্ত্র নিয়ে নানা কথা বলা যায়। কেউ একটু খেয়াল করলেই দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সুশোভিত পোস্টারগুলোতেই পরিবারতন্ত্রের প্রভাব দেখতে পাবেন। ওপর দিকে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার ছবি ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো পোস্টার কি কেউ দেখেছেন? সেই পোস্টারে ধীরে ধীরে হাসিনাপুত্র জয়ের ছবিও যুক্ত হয়েছে। এবং স্থানীয় নেতাদের ছবিও যুক্ত হয়েছে এরপর। একই কথা বলতে হয় বিএনপির পোস্টার নিয়ে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবিগুলো পোস্টারের ওপরে নেই—এমন কোনো পোস্টার কি কেউ দেখাতে পারবেন? পরিবারতন্ত্র দাঁড়িয়ে যাওয়ার পেছনে এই তেলবাজির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবারগুলো যেমন কর্তৃত্ব করতে পছন্দ করে, দলের নেতা-কর্মীরাও তাদের তোষণ করতে পছন্দ করেন। নিউটনের তৃতীয় সূত্র (প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে) মেনেই এই পরিবারতন্ত্রের জন্ম ও বিকাশ। আওয়ামী লীগ আমলে যত্রতত্র পারিবারিক ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল মানুষ, তেমনি ৫ আগস্টের পালাবদলের পর রাস্তায় রাস্তায় বিএনপির যে প্রচারণা চলেছিল, তাতেও জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিই ছিল প্রধান।
এখন আবার নতুন ধরনের পরিবারতন্ত্রের কথাও বলছেন কেউ কেউ। যেমন, এই সরকারকে ‘এনজিওগ্রাম’ সরকার বলা হচ্ছে, কিংবা চট্টগ্রামের দিকে ঝুঁকে পড়া সরকার বলা হচ্ছে, এটাও আরেক ধরনের পরিবারতন্ত্র কি না, তা নিয়েও রসিকতা চালু রয়েছে সমাজে।
আসলে রাজনীতি হতে হয় আদর্শভিত্তিক, পরিবারভিত্তিক নয়। কিন্তু ক্ষমতার কাছে নতজানু থেকে আখের গোছানোর মতলবি রাজনীতি করা হলে পরিবারতন্ত্রই প্রতিপত্তিশালী হয়ে ওঠে। দেশ ও দশের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলেই কেবল পরিবারতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব, সে চেষ্টাটাই করতে হবে।
ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রূপা হক একটি ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন। বিটিএমএর এক আয়োজনে অন্য অনেক বিষয়ের সঙ্গে তিনি পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে কিছু কথা বলেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তিনি বলেছেন, একজন নেতার কন্যা, আরেকজন নেতার বেগম এবং তাঁদের ছেলেরা সবকিছুতে আধিপত্য দেখাবে—এ প্রবণতার পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রায় ৫৪ বছরের এ বাস্তবতা থেকে বের হয়ে আসতে একটা পরিচ্ছন্নতা অভিযান দরকার। এ কথা বলে তিনি লেজিসলেশন করে (আইন প্রণয়ন) নতুন কিছু করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন।
কথাগুলো নতুন নয়। আমাদের দেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র যে একটা বিষয়, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সারা বিশ্বের বহু দেশেই কখনো না কখনো পরিবারতন্ত্রের উত্থান দেখা গেছে। তবে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য পরিবারতন্ত্র যেন ললাটলিখনে পরিণত হয়েছে। ভারতে নেহরু পরিবার, শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষে পরিবার, পাকিস্তানে ভুট্টো পরিবার, নওয়াজ শরিফ পরিবার, বাংলাদেশে মুজিব পরিবার ও জিয়া পরিবারের হাতে ক্ষমতা এসেছে এবং ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মও ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন। এখনো এই দেশগুলোর রাজনীতিতে শক্তিশালী হয়ে আছে পরিবার। পরিবারতন্ত্র তাই এখানে নতুন কিছু নয়।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এলে পরিবারতন্ত্র নিয়ে নানা কথা বলা যায়। কেউ একটু খেয়াল করলেই দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সুশোভিত পোস্টারগুলোতেই পরিবারতন্ত্রের প্রভাব দেখতে পাবেন। ওপর দিকে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার ছবি ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো পোস্টার কি কেউ দেখেছেন? সেই পোস্টারে ধীরে ধীরে হাসিনাপুত্র জয়ের ছবিও যুক্ত হয়েছে। এবং স্থানীয় নেতাদের ছবিও যুক্ত হয়েছে এরপর। একই কথা বলতে হয় বিএনপির পোস্টার নিয়ে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবিগুলো পোস্টারের ওপরে নেই—এমন কোনো পোস্টার কি কেউ দেখাতে পারবেন? পরিবারতন্ত্র দাঁড়িয়ে যাওয়ার পেছনে এই তেলবাজির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবারগুলো যেমন কর্তৃত্ব করতে পছন্দ করে, দলের নেতা-কর্মীরাও তাদের তোষণ করতে পছন্দ করেন। নিউটনের তৃতীয় সূত্র (প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে) মেনেই এই পরিবারতন্ত্রের জন্ম ও বিকাশ। আওয়ামী লীগ আমলে যত্রতত্র পারিবারিক ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল মানুষ, তেমনি ৫ আগস্টের পালাবদলের পর রাস্তায় রাস্তায় বিএনপির যে প্রচারণা চলেছিল, তাতেও জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিই ছিল প্রধান।
এখন আবার নতুন ধরনের পরিবারতন্ত্রের কথাও বলছেন কেউ কেউ। যেমন, এই সরকারকে ‘এনজিওগ্রাম’ সরকার বলা হচ্ছে, কিংবা চট্টগ্রামের দিকে ঝুঁকে পড়া সরকার বলা হচ্ছে, এটাও আরেক ধরনের পরিবারতন্ত্র কি না, তা নিয়েও রসিকতা চালু রয়েছে সমাজে।
আসলে রাজনীতি হতে হয় আদর্শভিত্তিক, পরিবারভিত্তিক নয়। কিন্তু ক্ষমতার কাছে নতজানু থেকে আখের গোছানোর মতলবি রাজনীতি করা হলে পরিবারতন্ত্রই প্রতিপত্তিশালী হয়ে ওঠে। দেশ ও দশের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলেই কেবল পরিবারতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব, সে চেষ্টাটাই করতে হবে।
আমার শিক্ষক, শিক্ষাগুরু ও পথপ্রদর্শক প্রফেসর মো. আনিসুর রহমান ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৯৭২ সালে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র, তখন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রফেসর আনিসুর রহমান তাঁর কমিশনের কর্মপরিধি কিছুটা...
২০ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কোনাবাড়ীতে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী ৪০ বছরের পুরোনো একটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার মূল ফটকে বন্ধ ঘোষণার নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। কারখানাটির নাম পলিকন লিমিটেড।
২০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে সংবিধানের কী দরকার? কার জন্য দরকার? নাগরিকের জন্য, নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য? যে সংবিধানে দেশের একজন মানুষের জনগণ থেকে নাগরিক হওয়ার সুযোগ নেই, সেই সংবিধান দিয়ে আমরা কী করব? আমরা যখন জনগণ থেকে নাগরিক হতে যাই, তখন নাগরিক অধিকার সামনে আসে। সংবিধানে আমাদের নাগরিক অধিকার আদৌ আছে? উত্তর জানতে..
২০ ঘণ্টা আগেগণতন্ত্রের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছি। গণতন্ত্রের দেখা কি মিলছে? গণতন্ত্র কি কেবল নির্দিষ্ট সময় পরপর ভোটাধিকার? নাকি জনগণের যেমন খুশি তেমন বিচার-আচার? সাধারণ ধারণায় গণতন্ত্র মানে স্রেফ স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদানের অধিকার বোঝায় না, নাগরিকের সমান মানবাধিকারকেও বোঝায়। পরিতাপের বিষয়, এক মান
২ দিন আগে