রুমা মোদক, কথাসাহিত্যিক
সাহসী, উজ্জ্বল, সময়ের অগ্রপথিককে আমরা আলোর পথযাত্রী অভিধায় অভিহিত করি। কালচার বা সংস্কৃতি এক স্বাতন্ত্র্য চিহ্ন, যা মানুষ থেকে মানুষকে, ঘর থেকে ঘরকে, জাতি থেকে জাতিকে, দেশ থেকে দেশকে, মহাদেশ থেকে মহাদেশকে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের মানুষকে আলাদা করে।
পৃথিবীর এক প্রান্তের সংস্কৃতি আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে উৎসব পালন করা—যেমনটি আমরা আত্মস্থ করেছি কেক কেটে আলো নিভিয়ে জন্মদিনের উৎসব পালন করে। আমাদের সংস্কৃতি আলো জ্বালিয়ে উৎসব উদ্যাপন করা। প্রদীপ, যাকে আমরা বলি মঙ্গলালোক, তা জ্বালিয়ে বিভিন্ন উৎসব উদ্যাপনের আয়োজন করি আমরা। এটা আমাদের রীতি।
দীপাবলি আলোর উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব। বংশের মুখে বাতি জ্বালানোর বহুল শ্রুত মিথটির সঙ্গে এই উৎসব সম্পর্কিত। সেই মিথ অবশ্য এই স্বল্প পরিসরে আমার আলোচ্য নয়।
সম্প্রতি শারদীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততা দেখল বিশ্ববাসী, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ এক প্রেস রিলিজে বাংলাদেশের হিন্দুদের এই আলোর উৎসব পরিহার করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
আমার কাছে এ সিদ্ধান্তটিকে মনে হয়েছে চোরের ওপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়ার মতো একটি সিদ্ধান্ত। সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কায় কিংবা প্রতিবাদে আমি আমার উৎসব পালন করব না। এতে নাকি বিশ্বকে বার্তা দেওয়া হবে, এ দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদ নয়।
মূলত যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন তাঁর রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত অধিকার। সেই অধিকারে বাধা দিলে এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে পৃথিবীব্যাপী খবর নিতে মুহূর্তমাত্র সময় লাগে না। কিন্তু নিজের অধিকার পালন না করে এই প্রতিবাদ দেখানো নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রাভঙ্গ করার মতো ব্যাপার।
আমাদের কাছে কী প্রত্যাশিত—সেটি আগে আমাদের কাছে স্পষ্ট হতে হবে। আমরা প্রত্যেক নাগরিক নির্বিঘ্নে তাঁর অধিকার ভোগ করবে, সেই নিশ্চয়তা চাই। উৎসব পালন না করে, অধিকার আদায়ের পদক্ষেপে বিরত থেকে দেশকে সাম্প্রদায়িক দেখানো নিশ্চয়ই আমাদের প্রত্যাশা নয়?
দীপাবলির আলোর উৎসবকে বরং অধিকতর আলোয় ভাসিয়ে আসুন এই দিনে মঙ্গলের আবাহন করি। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রত্যাশা ও নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিই। আমরা যদি প্রতিবাদ কিংবা আশঙ্কায় আলো না জ্বালাই, তবে অন্ধকারের কুশীলবদের জয় হয়, যারা নানা অজুহাতে মূর্তি ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে, উৎসব বন্ধ করে অন্ধকারকেই ডেকে আনতে চায়। আসুন আলোর বন্যায় ধুয়ে দিই অন্ধকারের অশুভ আয়োজন।
সাহসী, উজ্জ্বল, সময়ের অগ্রপথিককে আমরা আলোর পথযাত্রী অভিধায় অভিহিত করি। কালচার বা সংস্কৃতি এক স্বাতন্ত্র্য চিহ্ন, যা মানুষ থেকে মানুষকে, ঘর থেকে ঘরকে, জাতি থেকে জাতিকে, দেশ থেকে দেশকে, মহাদেশ থেকে মহাদেশকে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের মানুষকে আলাদা করে।
পৃথিবীর এক প্রান্তের সংস্কৃতি আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে উৎসব পালন করা—যেমনটি আমরা আত্মস্থ করেছি কেক কেটে আলো নিভিয়ে জন্মদিনের উৎসব পালন করে। আমাদের সংস্কৃতি আলো জ্বালিয়ে উৎসব উদ্যাপন করা। প্রদীপ, যাকে আমরা বলি মঙ্গলালোক, তা জ্বালিয়ে বিভিন্ন উৎসব উদ্যাপনের আয়োজন করি আমরা। এটা আমাদের রীতি।
দীপাবলি আলোর উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব। বংশের মুখে বাতি জ্বালানোর বহুল শ্রুত মিথটির সঙ্গে এই উৎসব সম্পর্কিত। সেই মিথ অবশ্য এই স্বল্প পরিসরে আমার আলোচ্য নয়।
সম্প্রতি শারদীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততা দেখল বিশ্ববাসী, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ এক প্রেস রিলিজে বাংলাদেশের হিন্দুদের এই আলোর উৎসব পরিহার করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
আমার কাছে এ সিদ্ধান্তটিকে মনে হয়েছে চোরের ওপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়ার মতো একটি সিদ্ধান্ত। সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কায় কিংবা প্রতিবাদে আমি আমার উৎসব পালন করব না। এতে নাকি বিশ্বকে বার্তা দেওয়া হবে, এ দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদ নয়।
মূলত যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন তাঁর রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত অধিকার। সেই অধিকারে বাধা দিলে এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে পৃথিবীব্যাপী খবর নিতে মুহূর্তমাত্র সময় লাগে না। কিন্তু নিজের অধিকার পালন না করে এই প্রতিবাদ দেখানো নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রাভঙ্গ করার মতো ব্যাপার।
আমাদের কাছে কী প্রত্যাশিত—সেটি আগে আমাদের কাছে স্পষ্ট হতে হবে। আমরা প্রত্যেক নাগরিক নির্বিঘ্নে তাঁর অধিকার ভোগ করবে, সেই নিশ্চয়তা চাই। উৎসব পালন না করে, অধিকার আদায়ের পদক্ষেপে বিরত থেকে দেশকে সাম্প্রদায়িক দেখানো নিশ্চয়ই আমাদের প্রত্যাশা নয়?
দীপাবলির আলোর উৎসবকে বরং অধিকতর আলোয় ভাসিয়ে আসুন এই দিনে মঙ্গলের আবাহন করি। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রত্যাশা ও নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিই। আমরা যদি প্রতিবাদ কিংবা আশঙ্কায় আলো না জ্বালাই, তবে অন্ধকারের কুশীলবদের জয় হয়, যারা নানা অজুহাতে মূর্তি ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে, উৎসব বন্ধ করে অন্ধকারকেই ডেকে আনতে চায়। আসুন আলোর বন্যায় ধুয়ে দিই অন্ধকারের অশুভ আয়োজন।
ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান ২৫ ক্যাডার নিয়ে গঠিত ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’-এর সমন্বয়ক। জনপ্রশাসনে আন্তক্যাডার বৈষম্য ও বিরোধ, প্রশাসন ক্যাডারের প্রতি বাকি ক্যাডারদের ক্ষোভ এবং তাঁদের অন্যান্য দাবি-দাওয়ার বিষয় নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার মাসুদ রানার সঙ্গে কথা বলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেনব্বইয়ের দশক থেকে দীর্ঘদিন ঢাকা শহরের মণিপুরিপাড়ায় ছিলাম। তখন সেখান থেকে রাস্তা পার হয়ে শহীদ আনোয়ারা উদ্যানের ভেতর দিয়ে ইন্দিরা রোডের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করতে যেতাম। দুটি প্রধান রাস্তার মাঝে একটি আয়তাকার ছোট পরিসরে গড়ে তোলা হয়েছিল সেই উদ্যান।
৩ ঘণ্টা আগেচালের দাম এবং বাজারের অস্থিরতা বাংলাদেশের জনগণের নিত্যদিনের বাস্তবতা। আমনের ভরা মৌসুমে গত কয়দিনে চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চড়া দর নিয়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা এবং মিলাররা একে অপরকে দুষছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআমার শিক্ষক, শিক্ষাগুরু ও পথপ্রদর্শক প্রফেসর মো. আনিসুর রহমান ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৯৭২ সালে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র, তখন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রফেসর আনিসুর রহমান তাঁর কমিশনের কর্মপরিধি কিছুটা...
১ দিন আগে