‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!’ এটি একটি প্রবাদ বাক্য। আমরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বোঝাতে গিয়ে প্রবাদ বাক্য ব্যবহার করে থাকি। যে বাক্য বা উক্তি সংক্ষিপ্ত আকারে এবং রূপক আকারে বিশেষ অর্থ বহন করে, যার মাঝে কোনো বাস্তব সত্য নিহিত রয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে লোকের মুখে মুখে চলে আসছে, তাকেই আমরা প্রবাদ...
টানাপোড়েন যে একটা সৃষ্টি হবে, সে ইঙ্গিত শুরু থেকেই ছিল। সুনির্দিষ্ট ধারাবাহিকতায় এখন তা স্পষ্টতর হয়েছে। মূল প্রতিপাদ্য একটাই। সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন, নাকি জাতীয় নির্বাচনের পরে সংস্কার? যদি সংস্কার করে নির্বাচন হয়, তাহলে সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য সব সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার পরে নির্বাচন...
বার্ধক্য হলো ষাটোর্ধ্ব জীবন। সারকোপেনিয়া হলো একধরনের পেশি ক্ষয় যা সাধারণত বার্ধক্যে ঘটে। সারকোপেনিয়া সাধারণত বয়স্ক বা পরিশ্রম না করে বসে থাকা জনগণ এবং রোগীদের প্রভাবিত করে, যাদের অন্যান্য অসুস্থতা রয়েছে। এটা মানব দেহের পেশির সিস্টেমকে প্রভাবিত করে বা শারীরিক কার্যকলাপকে ব্যাহত করে।
এ সপ্তাহে সংবাদপত্রের প্রথম পাতা বেশ রমরমা ছিল। প্রচুর নতুন নতুন খবর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের জ্বালাময়ী ভাষণ কিংবা হুমকি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র, শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি, শুল্ক বাড়ার পরও মানুষের কষ্ট তেমন হবে না বলে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জাদুকরি উক্তি...
একজন প্রবীণ শিক্ষাবিদ একটা ঘটনার কথা বললেন। বাস্তব সত্য ঘটনা। ঘটনা বলার সময় তিনি ভারাক্রান্ত ছিলেন। ঘটনাটি এমন যে সম্প্রতি এক সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য প্রদানের আগে তিনি ছাত্রদের উদ্দেশে জানতে চাইলেন, কে কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে...
অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ১৩ জানুয়ারি মাদারীপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভ্যাট বৃদ্ধিতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূরণে ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক বলে দাবি করে তিনি জানিয়েছেন, ভর্তুকি ও খাদ্য আমদানির জন্য রাজস্বের প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বারবার একই কথা বলা হচ্ছে যে ভ্যাট বাড়লে জিনিসপত্রের দামের ওপর তার প্রভাব পড়বে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইতিমধ্যে খাদ্যদ্রব্যের দাম তো বেড়েছেই, সেই সঙ্গে ওষুধের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সহজ সত্যটুকু সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা বুঝতে পারছেন না।
নতুন বছর এসেছে। শিশুকে কোথায় ভর্তি করিয়েছেন? স্কুলে নাকি মাদ্রাসায়? ইংরেজি মাধ্যম নাকি বাংলা মাধ্যমে? সরকারি নাকি বেসরকারি স্কুলে? অনেকে এখনো ভর্তি করাননি। শিশুকে প্রাইমারিতে পড়াবেন নাকি কিন্ডারগার্টেনে? স্বাভাবিক স্কুলে দেবেন নাকি বিশেষ শিশুদের স্কুলে? এসব নিয়ে প্রায় সব মা-বাবার চিন্তার অন্ত নেই।
বিদেশি ভাষার শব্দ হলেও বাংলা ভাষায় পরিচিত একটি শব্দ ‘বুমেরাং’। পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে আমরা বুমেরাং শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। শব্দটির আক্ষরিক অর্থ একটি অস্ত্রকে বোঝালেও আমরা আলংকারিক অর্থে শব্দটি প্রয়োগ করি। কিন্তু আমরা কি জানি বুমেরাং শব্দটি কীভাবে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করল? বুমেরাং শব্দটি শোনার সঙ্
কয়েক দিন আগে অর্থ আত্মসাতের একটি খবর পাঠ করলাম। অবশ্য তা আমাদের দেশের নয়। দেশের অর্থ আত্মসাতের খবর প্রতিদিন কাগজে ছাপা হয়, পড়ি আর বিস্মিত হই। ক্ষুব্ধ হই। অসহায়ত্ব প্রকাশ করি। এই প্রেক্ষাপটে যখন ভিন্ন দেশের খবর পড়ি, তখনো কিছুটা অবাকই হই।
সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা আমেরিকার প্রভাবশালী দ্বিদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থার বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও অনেকেই ভেবেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফার জয় একটি বিচ্যুতি। তারপর অবশ্য ট্রাম্পের দ্বিতীয় বিজয় বা যাকে ট্রাম্প-২.০ বলা হচ্ছে, সেই নির্বাচন একটি বিষয় নিশ
বাংলাদেশে বাম আন্দোলনের বিকাশ ও ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল কিন্তু তাকে কাজে লাগানো যায়নি। এই সংকট নিয়ে অনেক আলোচনা-বিশ্লেষণ হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সংকট না কমে বরং বেড়েছে। বাম দলগুলোও আরও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রভাব ও আকৃতির দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও যা আছে তা নিয়ে এভাবে নিজেদে
ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের পর এক অভাবনীয় পরিস্থিতিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট আর ক্ষমতার দম্ভে অতিষ্ঠ মানুষ চেয়েছিল দেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট বন্ধ হবে। জিনিসপত্রের দাম সহনীয় থাকবে। সবাই খেয়ে-পরে নিরাপদে বসবাস করতে...
‘ভালো মা’ বা একজন ‘খারাপ মা’ দেখতে কেমন, তা বোঝা যায় বাংলা সিনেমা কিংবা ভারতীয় বাংলা সিনেমা দেখলে। সাধারণত ভালো মা মানেই পর্দায় ভেসে ওঠে সাদাসিধে শাড়ি পরা একজন নারীর ছবি। সিনেমায় পদে পদে তার অসহায়ত্ব দেখতে পাবেন। চোখে পড়বে মুখ বুজে সব গঞ্জনা, অপবাদ সহ্য় করার ব্যাপারটি।
গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দুই দিনের ব্যবধানে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। গত ২২ ডিসেম্বর প্রথম আলোর প্রধান প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘ঢাকায় একের পর এক ছিনতাই, চলাচলে ভয়’। এর আগে ২০ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল ‘স্বস্তি ফিরছে না জনমনে
দল বা দেশ পরিচালনায়—এক ব্যক্তির, এক পরিবারের আধিপত্যের ঢং দেখানো গণতন্ত্র দেখেই অভ্যস্ত আমরা। সেটি যে শুধু গত ১৫ বছরেই দেখেছি—তা নয়, আগেও তা ছিল। যদি বলি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই, তাহলেও মিথ্যা বলা হবে না। অতি স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এই ঢং দেখানো গণতন্ত্রও ক্ষণে ক্ষণে হোঁচট খেয়েছে।
মানুষ পুরোনোকে বিদায় দেয় আর নতুনকে বরণ করে নেয়। এটি একটি চিরাচরিত প্রথা। সময়কে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, সপ্তাহ, মাস ও বছর ধরেই পৃথিবীতে একটি সিস্টেমে চলমান আছে। বলা হয় সময়ের গাছপাথর নেই। খ্রিষ্টীয় বছর বৈশ্বিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটাকে ধরেই চলছে সারা বিশ্ব। বাংলা বর্ষের পরিবর্তিত সময়গুলো নিয়ে