সম্পাদকীয়
আজকাল সংবাদপত্রে মন ভালো হওয়ার মতো খবর খুব একটা থাকে না। একদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা ওঠানামা করছে। টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না। নানামুখী চেষ্টা-তৎপরতার ফলে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের সমস্যা হয়তো কয়েক মাসের মধ্যে কাটবে। তবে টিকা পাওয়া মানেই করোনা থেকে মুক্তি–সেটাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। আবার এটাও বলা হচ্ছে, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে যে লম্বা সময় লাগবে, সে পর্যন্ত কী অবস্থা হবে আসলে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার প্রাক্কালে এক ভিডিওবার্তায় দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এক অদৃশ্য শত্রু করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। এই লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে এবং ইনশা আল্লাহ আমরা জিতবই।’ সরকারপ্রধানের এই আত্মবিশ্বাস দেশের মানুষকে নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করবে। ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে সংকটকাল উত্তরণে প্রত্যয়ী করে তুলবে। তা ছাড়া, এটাও ঠিক, যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক বা ব্যাধি-মহামারি জীবন ও সম্পদের যত ক্ষতিই করুক না কেন, একসময় তার অবসান ঘটে, মানুষ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
করোনাকালও নিশ্চয়ই পৃথিবীতে এবং আমাদের দেশে স্থায়ী হবে না।
অনেক মৃত্যু, অনেক বেদনা এবং দীর্ঘশ্বাসের পর এই শত্রুকে পরাজিত করে মানুষ জয়ী হবে, হবেই।
তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, যুদ্ধজয়ের জন্য দরকার একজন দক্ষ সেনাপতি, চৌকস সেনাদল, প্রয়োজনীয়সংখ্যক আধুনিক সমরাস্ত্র এবং একটি সুপরিকল্পিত রণকৌশল। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই–নিধিরাম সর্দার দিয়ে যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন সফল হতে পারে না। করোনাযুদ্ধে নেমে আমরা হয়তো আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে পেরেছি। শেখ হাসিনার মতো একজন দক্ষ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী সেনাপতি আমাদের থাকলেও লড়াইয়ে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় অন্য সব উপাদান-উপকরণের ঘাটতি, কৃত্রিম ঘাটতি এবং সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়েই ধরা পড়ছে। এমনকি সেনাপতির নির্দেশ-পরামর্শ উপেক্ষা করা বা অবহেলা করার ঘটনাও দেখা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস নতুন। এর সঙ্গে মানুষের আগে পরিচয় ছিল না। এর কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানা ছিল না। কিন্তু গত প্রায় দেড় বছরে করোনা মোকাবিলার উপায়-পদ্ধতি এখন অনেকটাই জানা। কিন্তু এই সময়ে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কি প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে? করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসা খাতের ব্যর্থতা গোপন করার সুযোগ নেই। আমাদের স্বাস্থ্য খাত যে নিজেই জরাগ্রস্ত, সেটা অস্বীকার করলে আমাদের লড়াইয়ে জেতা সহজ হবে না। সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য দায়ী যেসব সিন্ডিকেট বা দুষ্টচক্রের কথা বারবার শোনা যায়, তাদের মূলোৎপাটনের সদিচ্ছা ও দৃঢ়তাই আমাদের করোনাজয়ের জিয়নকাঠি হতে পারে।
আজকাল সংবাদপত্রে মন ভালো হওয়ার মতো খবর খুব একটা থাকে না। একদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা ওঠানামা করছে। টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না। নানামুখী চেষ্টা-তৎপরতার ফলে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের সমস্যা হয়তো কয়েক মাসের মধ্যে কাটবে। তবে টিকা পাওয়া মানেই করোনা থেকে মুক্তি–সেটাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। আবার এটাও বলা হচ্ছে, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে যে লম্বা সময় লাগবে, সে পর্যন্ত কী অবস্থা হবে আসলে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার প্রাক্কালে এক ভিডিওবার্তায় দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এক অদৃশ্য শত্রু করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। এই লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে এবং ইনশা আল্লাহ আমরা জিতবই।’ সরকারপ্রধানের এই আত্মবিশ্বাস দেশের মানুষকে নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করবে। ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে সংকটকাল উত্তরণে প্রত্যয়ী করে তুলবে। তা ছাড়া, এটাও ঠিক, যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক বা ব্যাধি-মহামারি জীবন ও সম্পদের যত ক্ষতিই করুক না কেন, একসময় তার অবসান ঘটে, মানুষ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
করোনাকালও নিশ্চয়ই পৃথিবীতে এবং আমাদের দেশে স্থায়ী হবে না।
অনেক মৃত্যু, অনেক বেদনা এবং দীর্ঘশ্বাসের পর এই শত্রুকে পরাজিত করে মানুষ জয়ী হবে, হবেই।
তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, যুদ্ধজয়ের জন্য দরকার একজন দক্ষ সেনাপতি, চৌকস সেনাদল, প্রয়োজনীয়সংখ্যক আধুনিক সমরাস্ত্র এবং একটি সুপরিকল্পিত রণকৌশল। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই–নিধিরাম সর্দার দিয়ে যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন সফল হতে পারে না। করোনাযুদ্ধে নেমে আমরা হয়তো আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে পেরেছি। শেখ হাসিনার মতো একজন দক্ষ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী সেনাপতি আমাদের থাকলেও লড়াইয়ে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় অন্য সব উপাদান-উপকরণের ঘাটতি, কৃত্রিম ঘাটতি এবং সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়েই ধরা পড়ছে। এমনকি সেনাপতির নির্দেশ-পরামর্শ উপেক্ষা করা বা অবহেলা করার ঘটনাও দেখা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস নতুন। এর সঙ্গে মানুষের আগে পরিচয় ছিল না। এর কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানা ছিল না। কিন্তু গত প্রায় দেড় বছরে করোনা মোকাবিলার উপায়-পদ্ধতি এখন অনেকটাই জানা। কিন্তু এই সময়ে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কি প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে? করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসা খাতের ব্যর্থতা গোপন করার সুযোগ নেই। আমাদের স্বাস্থ্য খাত যে নিজেই জরাগ্রস্ত, সেটা অস্বীকার করলে আমাদের লড়াইয়ে জেতা সহজ হবে না। সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য দায়ী যেসব সিন্ডিকেট বা দুষ্টচক্রের কথা বারবার শোনা যায়, তাদের মূলোৎপাটনের সদিচ্ছা ও দৃঢ়তাই আমাদের করোনাজয়ের জিয়নকাঠি হতে পারে।
শেষ হতে চলল আরও একটি বছর, ২০২৪। বাংলাদেশ তো বটেই, সারা পৃথিবীতে নানা পটপরিবর্তন ঘটেছে। নতুন প্রেক্ষাপটে নানা পরিবর্তনে রচিত হচ্ছে অর্থনৈতিক পরিমণ্ডল। যেকোনো পরিবর্তন কিংবা সংকটে, কোনো কিছুতে থেমে নেই আমাদের কৃষি। নতুন নতুন উদ্যোগে উন্মোচন হচ্ছে এক একটি সম্ভাবনা। আমাদের উর্বরা মাটি, কৃষকের নিজস্ব উদ্
১৪ ঘণ্টা আগে‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে— নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?’—বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ গানটি লিখেছিলেন শিশুদের স্বাধীনতার আনন্দে উদ্বেলিত করে মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের জন্য। খুবই সুন্দর সুর ও ছন্দে গানটি গাওয়া হচ্ছে শত বছর যাবৎ।
১৪ ঘণ্টা আগেপশ্চিম বাংলার স্থানীয় বাঙালিরা পূর্ববঙ্গীয়দের সম্পর্কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মনোভাব পোষণ করতেন। তার নজির আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় জেনেছি। বহু আগে থেকে কলকাতাসহ ভারত ভ্রমণের ফলে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে আলাপে তাঁদের মনোভাব জেনেছি। করোনার আগে শান্তিপুর লোকাল ট্রেনে ফুলিয়া থেকে শিয়ালদহ ফেরার পথে শান্তিপুরের স
১৪ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা ও বিদেশমুখিতা নিয়ে আজকের পত্রিকায় ২২ ডিসেম্বর, রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘চিকিৎসাসেবায় বিদেশমুখিতা: আমাদের উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। সেই আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে দেশের চিকিৎসা
১৪ ঘণ্টা আগে