নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ওই পোস্টে লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতে, বাংলাদেশে যদি তাদের ‘পাপেট’ সরকার ক্ষমতায় না আসে, কোনো নির্বাচনই ত্রুটিমুক্ত নয়!
বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশটির গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সরব হয় যুক্তরাষ্ট্র। এই সুযোগে বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় রাজনৈতিক দলও দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। তারা ভোট বানচাল করতে যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমানুষের মধ্যে ভীতি তৈরির চেষ্টা করে। তবে তাদের অপচেষ্টা বানচাল হয়ে যায় জনগণের ভোটে। এসবের পরেও প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। এতে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এ নিয়েও অসন্তুষ্টি জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে বাংলাদেশে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর পিটার ডি হাস ১০ মার্চ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে উপসম্পাদকীয় লেখেন। তার শিরোনাম ছিল গণতন্ত্রের ব্যাপারে গভীরভাবে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
ওই উপসম্পাদকীয়তে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পাঠকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এবং অন্যত্র গণতন্ত্র-প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, একজন রাষ্ট্রদূত হয়ে পিটার হাসের এমন লেখা কূটনৈতিক নীতিবহির্ভূত।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেও গাজা ও পাকিস্তানের ব্যাপারে নিশ্চুপ। গাজায় মার্কিন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল নির্বিচারে গণহত্যা চালালেও এ নিয়ে নীরব আমেরিকা। উল্টো জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও ঠেকিয়ে দিচ্ছে তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করে। এ হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও পুরুষ।
এদিকে পাকিস্তানের বিতর্কিত নির্বাচন নিয়েও নীরব পাকিস্তান। পিটিআইয়ের কর্মীদের দমন-পীড়ন, ইমরানের জেল এবং নির্বাচন নিয়ে ৩১ কংগ্রেস সদস্যের আপত্তির পরেও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ভোট নিয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল পিটিআই নির্বাচনে বেশি আসন পেয়েও ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ইমরানের দলকে শুধু ক্ষমতার বাইরেই রাখা হয়নি। ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর পিটিআইয়ের প্রতিবাদ ঠেকাতে তৎকালীন সরকার সব সীমা অতিক্রম করে দলটির হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় অনেককেই হত্যা করা হয় এবং তাদের নির্বাচনে প্রচারণাতেও বাধা দেওয়া হয়। এসব ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সুতরাং, এ দুটি বিষয় থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে দ্বিমুখী আচরণ করছে। আর যেখানে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে, সেখানেই তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টি সামনে আনছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন দ্বিমুখী আচরণের পর যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন ফেসবুক মন্তব্য যথার্থ।
দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ওই পোস্টে লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতে, বাংলাদেশে যদি তাদের ‘পাপেট’ সরকার ক্ষমতায় না আসে, কোনো নির্বাচনই ত্রুটিমুক্ত নয়!
বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশটির গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সরব হয় যুক্তরাষ্ট্র। এই সুযোগে বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় রাজনৈতিক দলও দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। তারা ভোট বানচাল করতে যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমানুষের মধ্যে ভীতি তৈরির চেষ্টা করে। তবে তাদের অপচেষ্টা বানচাল হয়ে যায় জনগণের ভোটে। এসবের পরেও প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। এতে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এ নিয়েও অসন্তুষ্টি জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে বাংলাদেশে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর পিটার ডি হাস ১০ মার্চ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে উপসম্পাদকীয় লেখেন। তার শিরোনাম ছিল গণতন্ত্রের ব্যাপারে গভীরভাবে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
ওই উপসম্পাদকীয়তে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পাঠকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এবং অন্যত্র গণতন্ত্র-প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, একজন রাষ্ট্রদূত হয়ে পিটার হাসের এমন লেখা কূটনৈতিক নীতিবহির্ভূত।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেও গাজা ও পাকিস্তানের ব্যাপারে নিশ্চুপ। গাজায় মার্কিন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল নির্বিচারে গণহত্যা চালালেও এ নিয়ে নীরব আমেরিকা। উল্টো জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও ঠেকিয়ে দিচ্ছে তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করে। এ হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও পুরুষ।
এদিকে পাকিস্তানের বিতর্কিত নির্বাচন নিয়েও নীরব পাকিস্তান। পিটিআইয়ের কর্মীদের দমন-পীড়ন, ইমরানের জেল এবং নির্বাচন নিয়ে ৩১ কংগ্রেস সদস্যের আপত্তির পরেও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ভোট নিয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল পিটিআই নির্বাচনে বেশি আসন পেয়েও ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ইমরানের দলকে শুধু ক্ষমতার বাইরেই রাখা হয়নি। ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর পিটিআইয়ের প্রতিবাদ ঠেকাতে তৎকালীন সরকার সব সীমা অতিক্রম করে দলটির হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় অনেককেই হত্যা করা হয় এবং তাদের নির্বাচনে প্রচারণাতেও বাধা দেওয়া হয়। এসব ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সুতরাং, এ দুটি বিষয় থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে দ্বিমুখী আচরণ করছে। আর যেখানে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে, সেখানেই তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টি সামনে আনছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন দ্বিমুখী আচরণের পর যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন ফেসবুক মন্তব্য যথার্থ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভারত ও অন্য দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।
৩৯ মিনিট আগেনতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
২০ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১ দিন আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ দিন আগে