ঢাবি প্রতিনিধি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আবেদন করে বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন—ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে আপনারা জানেন, তিনি নানাভাবে ইনিয়ে-বিনিয়ে এ দেশের বহু অপপ্রচার করেন।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সকাল পৌনে আটটায় আজিমপুরে ভাষাশহীদদের কবর জিয়ারত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতন্ত্র। আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন মোশাররফ হোসেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন। ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক। চেতনা ছিল এ দেশ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে, এ দেশের জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে নিজেদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। সেই দল জনগণের সেবা করবে। দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না, সামাজিক সাম্য থাকবে। কিন্তু যারা সরকারে আছে, তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘’৭২ থেকে ’৭৫ সালে তারা এ দেশে সব দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। সে দলের নেতারা বলেন, তাঁরা নাকি একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেননি। কিন্তু সেই দলের লোকজন বাকশাল কায়েম করেছে, আওয়ামী লীগও তখন বাতিল ছিল, আমাদের বিএনপি তখনো প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্র যেখানে থাকে না, সেখানে মানবাধিকার থাকে না, আজকে দেশে মানবাধিকার নেই। লুটপাট, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সারা দেশে জনগণ আওয়াজ দিয়েছে, রায় দিয়েছে—যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, যারা বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করেছে, তারা এ দেশকে মেরামত করতে পারবে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ দেশের মানুষ বিপন্ন। এ সরকার থেকে জনগণ মুক্তি চায়। অবৈধ সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
শহীদ দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকেও রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, ‘বলাকা থেকে আমরা ফুল দিতে এসেছি সকাল সাতটায়, আটটার সময় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা! কিন্তু আমরা দেখেছি একটি বিশেষ দলকে বেশি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, আজকের দিনেও রাজনৈতিকীকরণ হয়েছে। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন আজ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আবেদন করে বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন—ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে আপনারা জানেন, তিনি নানাভাবে ইনিয়ে-বিনিয়ে এ দেশের বহু অপপ্রচার করেন।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সকাল পৌনে আটটায় আজিমপুরে ভাষাশহীদদের কবর জিয়ারত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতন্ত্র। আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন মোশাররফ হোসেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন। ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক। চেতনা ছিল এ দেশ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে, এ দেশের জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে নিজেদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। সেই দল জনগণের সেবা করবে। দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না, সামাজিক সাম্য থাকবে। কিন্তু যারা সরকারে আছে, তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘’৭২ থেকে ’৭৫ সালে তারা এ দেশে সব দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। সে দলের নেতারা বলেন, তাঁরা নাকি একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেননি। কিন্তু সেই দলের লোকজন বাকশাল কায়েম করেছে, আওয়ামী লীগও তখন বাতিল ছিল, আমাদের বিএনপি তখনো প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্র যেখানে থাকে না, সেখানে মানবাধিকার থাকে না, আজকে দেশে মানবাধিকার নেই। লুটপাট, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সারা দেশে জনগণ আওয়াজ দিয়েছে, রায় দিয়েছে—যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, যারা বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করেছে, তারা এ দেশকে মেরামত করতে পারবে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ দেশের মানুষ বিপন্ন। এ সরকার থেকে জনগণ মুক্তি চায়। অবৈধ সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
শহীদ দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকেও রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, ‘বলাকা থেকে আমরা ফুল দিতে এসেছি সকাল সাতটায়, আটটার সময় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা! কিন্তু আমরা দেখেছি একটি বিশেষ দলকে বেশি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, আজকের দিনেও রাজনৈতিকীকরণ হয়েছে। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন আজ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউনের আমন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার গুলশানে তাঁর বাসায় ইইউ অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন
১৬ মিনিট আগেবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পবিত্র ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমরা মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সিদ্ধান্ত, সকল নীতি, সকল ভূমিকার মধ্যে জনআকাঙক্ষার প্রতিফলন থাকা উচিত। কিন্তু তিন মাস অতিবাহিত হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি দুর্ভাগ্যজনক হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো নীতি, কোনো কোনো সিদ্ধ
৩ ঘণ্টা আগেসংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা ‘সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে’— ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
৬ ঘণ্টা আগে