নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। আজ মঙ্গলবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় তাঁরা এ মত দেন।
‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন, সাংবিধানিক কাঠামো ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক তথা গ্রহণযোগ্য করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলা জরুরি।
সংকট সমাধানে সুজনের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য, সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কারসহ পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ১/ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য, ২/ সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার, ৩/ জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা, কার্যকারিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, ৪/ আইনের শাসন নিশ্চিত করা ও মানবাধিকার সংরক্ষণ, ৫/ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন ও একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম. হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘গত ৫০ বছরে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখিনি। এবারও তাই হবে বলে মনে হচ্ছে। তাই ঘুরেফিরে একটি কথাই আসে নির্দলীয় সরকার চাই।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রধান দুটি দলের যেকোনো একটি দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে দুটি দলই অংশ নেয়। এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, যেগুলো আসলে প্রয়োজন নেই। মূল দরকার আইনের প্রয়োগ।
সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, বর্তমান সংকট রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক। অনেক সংকটের মূলে আছে রাজনীতি, কিন্তু সমাধান করতে হবে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, মানুষ নির্বাচনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ভোটকেন্দ্রে আসছে না। প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করলে ভোটে একটি ভারসাম্য আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মূল সংকটটা হলো রাজনৈতিক, সাংবিধানিক নয়। অংশগ্রহণমূলক বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, তার সংকট।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন সবকিছু ব্যুরোক্রেসির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কারণ, নির্বাচনে জিততে হলে ব্যুরোক্রেসি লাগবে। দুর্নীতি একদম তৃণমূলে চলে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের মতে, অর্থনীতি, পরিবেশ, রাজনীতি সবকিছু নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর। প্রতিনিধিত্বমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের উপায় বলে মনে করেন চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো রিদওয়ানুল হক।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। আজ মঙ্গলবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় তাঁরা এ মত দেন।
‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন, সাংবিধানিক কাঠামো ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক তথা গ্রহণযোগ্য করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলা জরুরি।
সংকট সমাধানে সুজনের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য, সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কারসহ পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ১/ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য, ২/ সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার, ৩/ জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা, কার্যকারিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, ৪/ আইনের শাসন নিশ্চিত করা ও মানবাধিকার সংরক্ষণ, ৫/ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন ও একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম. হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘গত ৫০ বছরে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখিনি। এবারও তাই হবে বলে মনে হচ্ছে। তাই ঘুরেফিরে একটি কথাই আসে নির্দলীয় সরকার চাই।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রধান দুটি দলের যেকোনো একটি দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে দুটি দলই অংশ নেয়। এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, যেগুলো আসলে প্রয়োজন নেই। মূল দরকার আইনের প্রয়োগ।
সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, বর্তমান সংকট রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক। অনেক সংকটের মূলে আছে রাজনীতি, কিন্তু সমাধান করতে হবে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, মানুষ নির্বাচনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ভোটকেন্দ্রে আসছে না। প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করলে ভোটে একটি ভারসাম্য আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মূল সংকটটা হলো রাজনৈতিক, সাংবিধানিক নয়। অংশগ্রহণমূলক বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, তার সংকট।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন সবকিছু ব্যুরোক্রেসির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কারণ, নির্বাচনে জিততে হলে ব্যুরোক্রেসি লাগবে। দুর্নীতি একদম তৃণমূলে চলে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের মতে, অর্থনীতি, পরিবেশ, রাজনীতি সবকিছু নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর। প্রতিনিধিত্বমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের উপায় বলে মনে করেন চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো রিদওয়ানুল হক।
কঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতাকর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৭ মিনিট আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
২ ঘণ্টা আগেসেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
২১ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১ দিন আগে