নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জেলা প্রশাসক ও বিচারকদের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সেদিন দেখলাম এক ডিসি বলছেন— বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া যায় না। একজন বিচারক বললেন—বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া যায় না। আরে ভাই তোমরা কেডা? জনগণ কার হাতে ক্ষমতা দেবে, সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করে আব্বাস বলেন, ‘আজকে কোর্টে চোর-ডাকাতের খবর নাই, চোর-ডাকাতের বিচার নাই। বিচার হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। ভেবেছেন পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করবেন আর কোর্ট-কাচারি দিয়ে বিচার করবেন। এইভাবে হয় না। মুসোলিনি, আইয়ুব খানও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই, আপনিও পারবেন না।’
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণ সময়ের ব্যাপারমাত্র। যাই-যাই করছে, বড় ভয়ে এই সরকার। আজকে যে অবস্থায় আছে, এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে, জাতিকে মুক্ত করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। আমরা এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, আমরা ঢাকা শহরসহ সারা দেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করব যে, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সেই দিনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিন, আপনারা কেউ ঘরে বসে থাকবেন না।’
‘এক রাতে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে’—সরকার দলের পক্ষ থেকে আসা এমন ধারণা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা কী এমন অপরাধ করলেন যে এক রাত্রে শেষ হয়ে যাবেন? আপনারা কি বিষ খাইবেন নাকি? আমি তো বুঝলাম না! আমরা তো লাঠি, দা, কাঁচি নিয়ে বসে নাই। আমরা দেশকে মুক্ত করতে চাই আপনাদের হাত থেকে। আপনাদের আমরা কোনো অত্যাচার করতে চাই না। কিন্তু মনে হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আপনারা সবাই বিষ খেয়ে মারা যাবেন। খালি বারবার বলেন এক রাত্রে সব শেষ হয়ে যাবে।’
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘যদি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চান, জনগণ জোর করেই আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে। ক্ষমতা না ছাড়লে আপনারা আন্দোলনের নামে যা যা করেছেন, আমরাও রাজপথে তাই করব। তবে আমরা সেই পথে যেতে চাই না।’
আব্দুস সালাম বলেন, ‘সোজা আঙুলে কাজ না হলে বাঁকা করতে হবে। আজকে যারা ডেঙ্গুকে থামাতে পারে না, তাদেরকে আন্দোলন করে পাঠিয়ে দিতে হবে।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই বৃষ্টির শুরু হয়। ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমাবেশ শুরু হয় দেরিতে। সমাবেশ শেষ হওয়ার আগে আবারও বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। বিএনপির এই সমাবেশকে ঘিরে সমাবেশস্থলে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ করা যায়।
জেলা প্রশাসক ও বিচারকদের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সেদিন দেখলাম এক ডিসি বলছেন— বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া যায় না। একজন বিচারক বললেন—বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া যায় না। আরে ভাই তোমরা কেডা? জনগণ কার হাতে ক্ষমতা দেবে, সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করে আব্বাস বলেন, ‘আজকে কোর্টে চোর-ডাকাতের খবর নাই, চোর-ডাকাতের বিচার নাই। বিচার হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। ভেবেছেন পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করবেন আর কোর্ট-কাচারি দিয়ে বিচার করবেন। এইভাবে হয় না। মুসোলিনি, আইয়ুব খানও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই, আপনিও পারবেন না।’
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণ সময়ের ব্যাপারমাত্র। যাই-যাই করছে, বড় ভয়ে এই সরকার। আজকে যে অবস্থায় আছে, এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে, জাতিকে মুক্ত করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। আমরা এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, আমরা ঢাকা শহরসহ সারা দেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করব যে, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সেই দিনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিন, আপনারা কেউ ঘরে বসে থাকবেন না।’
‘এক রাতে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে’—সরকার দলের পক্ষ থেকে আসা এমন ধারণা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা কী এমন অপরাধ করলেন যে এক রাত্রে শেষ হয়ে যাবেন? আপনারা কি বিষ খাইবেন নাকি? আমি তো বুঝলাম না! আমরা তো লাঠি, দা, কাঁচি নিয়ে বসে নাই। আমরা দেশকে মুক্ত করতে চাই আপনাদের হাত থেকে। আপনাদের আমরা কোনো অত্যাচার করতে চাই না। কিন্তু মনে হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আপনারা সবাই বিষ খেয়ে মারা যাবেন। খালি বারবার বলেন এক রাত্রে সব শেষ হয়ে যাবে।’
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘যদি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চান, জনগণ জোর করেই আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে। ক্ষমতা না ছাড়লে আপনারা আন্দোলনের নামে যা যা করেছেন, আমরাও রাজপথে তাই করব। তবে আমরা সেই পথে যেতে চাই না।’
আব্দুস সালাম বলেন, ‘সোজা আঙুলে কাজ না হলে বাঁকা করতে হবে। আজকে যারা ডেঙ্গুকে থামাতে পারে না, তাদেরকে আন্দোলন করে পাঠিয়ে দিতে হবে।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই বৃষ্টির শুরু হয়। ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমাবেশ শুরু হয় দেরিতে। সমাবেশ শেষ হওয়ার আগে আবারও বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। বিএনপির এই সমাবেশকে ঘিরে সমাবেশস্থলে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ করা যায়।
গণফোরামের চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, ‘যে ছাত্ররা একসময় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে, আজ তাদেরই সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে জড়াতে দেখা যাচ্ছে। এটি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা ছাত্রদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য চাই এবং বিশ্বাস করি, তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন
১৫ ঘণ্টা আগেদেশের স্বার্থে বিএনপি যে জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব দিয়েছে, তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত। এমনটাই জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একমত হয়েছি, দেশের সকল মানুষকে নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনত
১৬ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রব্যবস্থা চালুর প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের প্রধান নির্বাহীকে সংসদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া আছে, যা সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০–এর মাধ্যমে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পিতভাবে ভয়াবহ অবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু কাজ হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র
২০ ঘণ্টা আগে