নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতির অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—
১. স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রণীত সব আইনকানুন বিধিবিধানের আমূল সংস্কার করে স্বদেশ ও স্বাধীন মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী আইন সংস্কার কমিশন গঠন করে কল্যাণ রাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধনসহ আইন বিধিমালা তৈরি করতে হবে।
২. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন দুদক, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন, স্বাধীন দেশে নাগরিক কল্যাণে পুলিশ কমিশন গঠনসহ ন্যায়পাল কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. পতিত সরকারের নিয়োগকৃত পদলেহনকারী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণ করতে হবে।
৪. পতিত সরকার কর্তৃক উচ্চ আদালতে নিয়োগকৃত দলীয় ও অনুগত সব বিচারপতিকে অপসারণ করতে হবে।
৫. ছাত্র-জনতাকে মানবতাবিরোধী গণহত্যা ও গণগুমের ন্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. এক ব্যক্তি দুবারের অধিক প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মর্মে বিধিবদ্ধ আইন প্রণয়নসহ একই ব্যক্তি একই মেয়াদকালে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না।
৭. স্বাধীন ও মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে এবং সম্প্রতি সংগঠিত ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের প্রত্যাশিত আদর্শিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থার জন্য শিক্ষানীতি নিশ্চিত করতে হবে।
৮. যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশ রাজা-শাসকদের রাজ্য কিংবা রাষ্ট্র নয়, সুতরাং সাংবিধানিকভাবে আমাদের রাষ্ট্রটির নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের’ স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নামকরণ করতে হবে।
৯. হত্যাকাণ্ড যেমন অমানবিক ও গর্হিত অপরাধ, সে কারণে হত্যাকরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই যথার্থ, ঠিক তেমনি দুর্নীতি নামক দুষ্ট ক্ষত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড আইন প্রণয়ন করতে হবে।
১০. দেশের নিম্ন আদালতসহ উচ্চ আদালতে সব ধরনের আইনি কার্যক্রম ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে বাংলায় চালু বাধ্যতামূলকসহ এর সব সঠিক ব্যবহারবিধি চালুর লক্ষ্যে আইন গ্রন্থসমূহ বাংলায় রচনা করতে হবে।
১১. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা বাতিলপূর্বক তাদের শাস্তির আওতায় আনাতে হবে।
১২. দেশের সব নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই পেনশন স্কিম পদ্ধতি চালুর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. উচ্চ আদালতসহ দেশের নিম্ন আদালতসমূহের বিচার বিভাগের কর্মচারী যথা বেঞ্চ অফিসার, সেরেস্তাদার, পেশাকারদের রেওয়াজি থোক (ঘুষ) আদান-প্রদানের ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশের সব আইনজীবী কর্তৃক ঘুষের রেওয়াজ বন্ধে আন্তরিক হতে হবে।
১৪. রাজধানী ঢাকার অসহনীয় যানজট নিরসনে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে অধিক করারোপসহ পর্যাপ্তসংখ্যক আরামপ্রদ গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক ভিত্তিতে আয়-রোজগারসহ ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব বিবরণী জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৬. বাংলাদেশে দলিল রেজি. সম্পাদনকারী সাবরেজিস্ট্রার অফিসের রেওয়াজি (১) ঘুষ ও অনৈতিক অর্থ লেনদেন বন্ধ করার লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার/সাবরেজিস্ট্রার ও তাদের সহকর্মীদের গোয়েন্দা তদারকির মাধ্যমে তাদের নিত্যকার লক্ষ-কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৭. অনৈতিক ব্যবসায় ও ঘুষ লেদদেনসহ অবৈধ অর্থ সংগ্রহকারী গোষ্ঠীটির বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনাসহ অর্থ পাচারকারীদের অর্থবিত্ত ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশে ফেরত আনার কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের সভাপতি মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, মেজর (অব.) হামিদুল ইসলাম বীর বিক্রম প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতির অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—
১. স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রণীত সব আইনকানুন বিধিবিধানের আমূল সংস্কার করে স্বদেশ ও স্বাধীন মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী আইন সংস্কার কমিশন গঠন করে কল্যাণ রাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধনসহ আইন বিধিমালা তৈরি করতে হবে।
২. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন দুদক, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন, স্বাধীন দেশে নাগরিক কল্যাণে পুলিশ কমিশন গঠনসহ ন্যায়পাল কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. পতিত সরকারের নিয়োগকৃত পদলেহনকারী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণ করতে হবে।
৪. পতিত সরকার কর্তৃক উচ্চ আদালতে নিয়োগকৃত দলীয় ও অনুগত সব বিচারপতিকে অপসারণ করতে হবে।
৫. ছাত্র-জনতাকে মানবতাবিরোধী গণহত্যা ও গণগুমের ন্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. এক ব্যক্তি দুবারের অধিক প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মর্মে বিধিবদ্ধ আইন প্রণয়নসহ একই ব্যক্তি একই মেয়াদকালে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না।
৭. স্বাধীন ও মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে এবং সম্প্রতি সংগঠিত ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের প্রত্যাশিত আদর্শিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থার জন্য শিক্ষানীতি নিশ্চিত করতে হবে।
৮. যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশ রাজা-শাসকদের রাজ্য কিংবা রাষ্ট্র নয়, সুতরাং সাংবিধানিকভাবে আমাদের রাষ্ট্রটির নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের’ স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নামকরণ করতে হবে।
৯. হত্যাকাণ্ড যেমন অমানবিক ও গর্হিত অপরাধ, সে কারণে হত্যাকরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই যথার্থ, ঠিক তেমনি দুর্নীতি নামক দুষ্ট ক্ষত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড আইন প্রণয়ন করতে হবে।
১০. দেশের নিম্ন আদালতসহ উচ্চ আদালতে সব ধরনের আইনি কার্যক্রম ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে বাংলায় চালু বাধ্যতামূলকসহ এর সব সঠিক ব্যবহারবিধি চালুর লক্ষ্যে আইন গ্রন্থসমূহ বাংলায় রচনা করতে হবে।
১১. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা বাতিলপূর্বক তাদের শাস্তির আওতায় আনাতে হবে।
১২. দেশের সব নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই পেনশন স্কিম পদ্ধতি চালুর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. উচ্চ আদালতসহ দেশের নিম্ন আদালতসমূহের বিচার বিভাগের কর্মচারী যথা বেঞ্চ অফিসার, সেরেস্তাদার, পেশাকারদের রেওয়াজি থোক (ঘুষ) আদান-প্রদানের ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশের সব আইনজীবী কর্তৃক ঘুষের রেওয়াজ বন্ধে আন্তরিক হতে হবে।
১৪. রাজধানী ঢাকার অসহনীয় যানজট নিরসনে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে অধিক করারোপসহ পর্যাপ্তসংখ্যক আরামপ্রদ গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক ভিত্তিতে আয়-রোজগারসহ ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব বিবরণী জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৬. বাংলাদেশে দলিল রেজি. সম্পাদনকারী সাবরেজিস্ট্রার অফিসের রেওয়াজি (১) ঘুষ ও অনৈতিক অর্থ লেনদেন বন্ধ করার লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার/সাবরেজিস্ট্রার ও তাদের সহকর্মীদের গোয়েন্দা তদারকির মাধ্যমে তাদের নিত্যকার লক্ষ-কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৭. অনৈতিক ব্যবসায় ও ঘুষ লেদদেনসহ অবৈধ অর্থ সংগ্রহকারী গোষ্ঠীটির বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনাসহ অর্থ পাচারকারীদের অর্থবিত্ত ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশে ফেরত আনার কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের সভাপতি মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, মেজর (অব.) হামিদুল ইসলাম বীর বিক্রম প্রমুখ।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১৭ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
১৯ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
২১ ঘণ্টা আগে