Ajker Patrika

সমাবেশে বিশৃঙ্খলা করলে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে ছাত্রলীগ

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ৪৭
সমাবেশে বিশৃঙ্খলা করলে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে ছাত্রলীগ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণের ছাত্র সমাবেশে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা ইউনিটের প্রতি তাৎক্ষণিক, চূড়ান্ত ও স্থায়ী সাংগঠনিকসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ। 

আগামীকাল শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সমাবেশ উপলক্ষে ১০টি দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। 

নেতা-কর্মীদের অবশ্য পালনীয় দিকনির্দেশনাগুলো হলো—সর্বাবস্থায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে; যেকোনো বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা ইউনিটের প্রতি তাৎক্ষণিক, চূড়ান্ত ও স্থায়ী সাংগঠনিকসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; সমাবেশে প্রবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; সমাবেশস্থলে কোনোভাবেই ব্যানার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না; স্বেচ্ছাসেবকদের সরবরাহকৃত উপকরণ ব্যতীত পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করা যাবে না; নির্ধারিত সময়ে গেট খুললে দ্রুততম সময়ে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রবেশ করতে হবে; সমাবেশস্থলে একাধিকবার প্রবেশ ও বাইর হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে; শারীরিক যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে; সমাবেশস্থল ও এর আশপাশে এলাকার পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে সতর্ক থাকতে হবে; জনদুর্ভোগ পরিহার করতে হবে এবং অযথা যানজট সৃষ্টি না করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। 

এদিকে ছাত্র সমাবেশ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং, পোস্টার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও, ছবি আপলোড করার মাধ্যমে এ ছাত্র সমাবেশের প্রচারণা চালাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৷ এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রেসবিফ্রিং করে ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সারা দেশের ছাত্রসমাজ, তরুণ সমাজ, নতুন প্রজন্ম একটি সুরে, একটি নামে ঐক্যবদ্ধ। উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা দিনবদলের কথা দিয়ে এ দেশে লাখো কোটি মানুষের দিনবদল করেছেন। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা তিনি করেছেন। যারা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে সাফাই করেছে, রাজাকারের পক্ষে সাফাই করেছে এবং সামরিক স্বৈরশাসকের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে—তাদের ছাড়া সব ছাত্রসংগঠনকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এ সমাবেশকে স্মরণকালের বৃহৎ ছাত্র সমাবেশ।’ 

সমাবেশে সারা দেশ থেকে পাঁচ লাখ নেতা-কর্মীর জমায়েতের আশা করে সংগঠনটি। এ লক্ষ্যে শৃঙ্খলা, সাংস্কৃতিক বিষয়, দপ্তর, প্রচারসহ বিভিন্ন উপকমিটিও করেছে ছাত্রলীগ। সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা না মানলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত