ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৮: ১৭
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৮: ৪৩

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন। তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলেন। বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা দিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সকল পরিস্থিতি ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। 

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নসংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার ও কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের সমঝোতা চলছে, স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে আন্দোলনকে ডাইভার্ট করা হলো। দেশে অরাজক পরিস্থিতির চেষ্টা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছে। ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র, অভিভাবক, পথচারী কেউ বাদ যায়নি। বীভৎস ঘটনা। মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র্য জয় করে সক্ষমতা ও মর্যাদার জায়গায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল আমাদের মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেটি অনেকের পছন্দ না। সে জন্য তারা তিন দিন দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা কনটেন্ট তৈরি করে বিতর্কিত করা হচ্ছে। কারণ, তাঁদের ধারণা প্রধানমন্ত্রীকেই নামিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশকে নামিয়ে দেওয়া যাবে। দেশে একটি ভিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ছাত্ররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন করে। দেশের স্বাধীনতায় ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা আছে। ছাত্ররা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করেছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এর সুন্দর সমাপ্ত করেছে। ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলন সমাধান হয়েছে।’ 

১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌ সেক্টরের সার্বিক ব্যবস্থার আরও উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে। আমাদের সক্ষমতা ও সম্পদ বাড়ছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হচ্ছে, নতুন বন্দর পায়রাবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়ে সম্মানিত হয়েছে। নতুন নতুন পর্যটকবাহী ক্রুজ জাহাজ আসছে। বিআইডব্লিউটিএর বিভিন্ন সেবার পেমেন্ট অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে, আরও নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ 
 
ফ্রান্সে অলিম্পিক গেমসের মার্চপাস্ট নদীতে জাহাজে হওয়ার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে বাংলাদেশেও বুড়িগঙ্গায় এ ধরনের জাহাজ চলবে।’ 

শ্রমিকনেতাদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দাবির বিষয়ে বিভিন্ন মহলে কথা বলব। প্রতিটি জিনিস শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, তারপরেও নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। সে মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আমাদের সক্ষমতা হয়েছে, এখন মানবকাঠামো তৈরি করতে হবে। তাহলে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারব।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এবিএম সফিউল আলম বুলু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী ও সহসভাপতি মাহবুব হোসেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত