নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল বাতিল, ফ্যাসিবাদী সরকার ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে গেছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সমাবেশ শেষে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে যেতে চাইলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কদম ফোয়ারায় ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জোটের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন দেখা যায়, মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবে অতিক্রম করে সামনে যেতে চাইলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এ সময় জোটের নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এ সরকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে ভোট শেষ করতে চায়। তারা নিজেরাই ঠিকঠাক করে এই লুটপাট শেষ করতে চায়। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ করায় সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের এখানে আটকে দিয়েছে। এইটা হচ্ছে স্বৈরাচারের চেহারা।’
প্রিন্স আরও বলেন, ‘সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। সরকার এমন কিছু আইন করেছে, এখন কোনো কথা বললে জেলে নিয়ে যেতে পারে, গুম করে দিতে পারে। আগামীকাল থেকে তারা আরেকটি বেআইনি আইন করেছে, সেটি হলো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এইটার মানে কী? বাংলাদেশে কি জরুরি আইন জারি হয়েছে? এই আইন অনৈতিক, অন্যায় এবং অসাংবিধানিক।’
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সভাপতি ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘এই সরকারের লুটপাটের কারণে দেশের মানুষের সীমাহীন অর্থনৈতিক দুর্দশা। প্রধানমন্ত্রী আবার তামাশা করছেন। এই পাতানো নির্বাচন জনগণ মানে না। ১৮ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত গণতন্ত্রবিরোধী নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। সংবিধান বর্ণিত অধিকারের ভিত্তিতে আমরা রাজপথেই থাকব।’
ইকবাল কবির বলেন, ‘আজ থেকে জানুয়ারি ৭ তারিখ পর্যন্ত বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট—আমরা যুগপৎভাবে ভোট বর্জনের জন্য জনগণকে আহ্বান জানাতে পাড়া-মহল্লা থেকে রাজধানী পর্যন্ত নানা ধরনের কর্মসূচি নেব। তাতে বাধা, আক্রমণ আসলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে রমনা জোনের শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘আজকে অফিস ডে। সে জন্য যান চলাচলে যাতে কোনো প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে, তাই আমরা ওনাদের বলেছি—আপনাদের যদি কোনো দাবি থাকে তাহলে সেটি লিখিত আকারে আমাদের দেন এবং আমরা সেটি সরকারের কাছে পৌঁছে দেব। তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তীকালে তারা এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু এবং সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ।
প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল বাতিল, ফ্যাসিবাদী সরকার ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে গেছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সমাবেশ শেষে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে যেতে চাইলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কদম ফোয়ারায় ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জোটের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন দেখা যায়, মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবে অতিক্রম করে সামনে যেতে চাইলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এ সময় জোটের নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এ সরকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে ভোট শেষ করতে চায়। তারা নিজেরাই ঠিকঠাক করে এই লুটপাট শেষ করতে চায়। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ করায় সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের এখানে আটকে দিয়েছে। এইটা হচ্ছে স্বৈরাচারের চেহারা।’
প্রিন্স আরও বলেন, ‘সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। সরকার এমন কিছু আইন করেছে, এখন কোনো কথা বললে জেলে নিয়ে যেতে পারে, গুম করে দিতে পারে। আগামীকাল থেকে তারা আরেকটি বেআইনি আইন করেছে, সেটি হলো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এইটার মানে কী? বাংলাদেশে কি জরুরি আইন জারি হয়েছে? এই আইন অনৈতিক, অন্যায় এবং অসাংবিধানিক।’
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সভাপতি ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘এই সরকারের লুটপাটের কারণে দেশের মানুষের সীমাহীন অর্থনৈতিক দুর্দশা। প্রধানমন্ত্রী আবার তামাশা করছেন। এই পাতানো নির্বাচন জনগণ মানে না। ১৮ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত গণতন্ত্রবিরোধী নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। সংবিধান বর্ণিত অধিকারের ভিত্তিতে আমরা রাজপথেই থাকব।’
ইকবাল কবির বলেন, ‘আজ থেকে জানুয়ারি ৭ তারিখ পর্যন্ত বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট—আমরা যুগপৎভাবে ভোট বর্জনের জন্য জনগণকে আহ্বান জানাতে পাড়া-মহল্লা থেকে রাজধানী পর্যন্ত নানা ধরনের কর্মসূচি নেব। তাতে বাধা, আক্রমণ আসলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে রমনা জোনের শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘আজকে অফিস ডে। সে জন্য যান চলাচলে যাতে কোনো প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে, তাই আমরা ওনাদের বলেছি—আপনাদের যদি কোনো দাবি থাকে তাহলে সেটি লিখিত আকারে আমাদের দেন এবং আমরা সেটি সরকারের কাছে পৌঁছে দেব। তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তীকালে তারা এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু এবং সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৮ মিনিট আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৬ ঘণ্টা আগে