নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের পতন ও নির্দলীয় সরকারের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আন্দোলনের এক দফা ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। এই এক দফাকে ‘ঐতিহাসিক ঘোষণা’ আখ্যা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি দুই দিনের পদযাত্রার ঘোষণা দেন।
এক দফার ঘোষণায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, তারেক রহমানের মামলাসহ ফরমায়েশি সাজা বাতিল, সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা ও তা সফল করা ঘোষণা প্রদান করছি।’
এক দফার আলোকে সমাবেশ থেকে দুই দিনের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা। রাজধানীতে এই পদযাত্রা হবে দুই দিন। ১৮ তারিখ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী। ১৯ তারিখ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা উত্তরার আবদুল্লাপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত।
এক দফার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত দিন যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। সর্বসম্মতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকে আমরা একটা যৌথ ঘোষণা দেব যার যার জায়গা থেকে। আমরা প্রায় ৩৬টি রাজনৈতিক দল ও জোট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সিদ্ধান্তটি হচ্ছে, যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফার ঘোষণা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুধুমাত্র যুগপৎ আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী দলগুলো নয়, এর বাইরে যারা আছেন, যারা এই সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছেন, সংগ্রাম-লড়াই করছেন— তাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন একসঙ্গে সমবেত হয়ে উত্তাল আন্দোলন গড়ে তুলি। যে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই লুটেরা, ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার ও রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারি।’
এক দফার ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক ঘোষণা’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ঘোষণা জাতিকে মুক্ত করার ঐতিহাসিক আহ্বান। আমাদের এই সংগ্রাম অস্তিত্বের সংগ্রাম, ১৮ কোটি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।’
এ সময় সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে। এই ঘোষণার পরে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পরিষ্কার করে বলে দেয়—পরে কিন্তু পালাবার পথও খুঁজে পাবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুনামি শুরু হয়েছে। সমস্ত বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ, দেশের মানুষ, তারা আজ পরিবর্তন চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষ বলছে, আর নয়, তারা অত্যাচার-নিপীড়নের অবসান চায়, তারা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এখন আর কথা বলার সময় নাই। এখন আমাদের একটাই কাজ, এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া।'
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সারা দেশে ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে আজকে আপনারা শান্তি মিটিং করেন। আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে, লগি-বৈঠা দিয়ে আর ক্ষমতায় আসা যাবে না, টিকে থাকাও যাবে না। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
সরকারের পতন ও নির্দলীয় সরকারের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আন্দোলনের এক দফা ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। এই এক দফাকে ‘ঐতিহাসিক ঘোষণা’ আখ্যা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি দুই দিনের পদযাত্রার ঘোষণা দেন।
এক দফার ঘোষণায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, তারেক রহমানের মামলাসহ ফরমায়েশি সাজা বাতিল, সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা ও তা সফল করা ঘোষণা প্রদান করছি।’
এক দফার আলোকে সমাবেশ থেকে দুই দিনের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা। রাজধানীতে এই পদযাত্রা হবে দুই দিন। ১৮ তারিখ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী। ১৯ তারিখ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা উত্তরার আবদুল্লাপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত।
এক দফার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত দিন যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। সর্বসম্মতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকে আমরা একটা যৌথ ঘোষণা দেব যার যার জায়গা থেকে। আমরা প্রায় ৩৬টি রাজনৈতিক দল ও জোট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সিদ্ধান্তটি হচ্ছে, যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফার ঘোষণা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুধুমাত্র যুগপৎ আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী দলগুলো নয়, এর বাইরে যারা আছেন, যারা এই সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছেন, সংগ্রাম-লড়াই করছেন— তাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন একসঙ্গে সমবেত হয়ে উত্তাল আন্দোলন গড়ে তুলি। যে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই লুটেরা, ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার ও রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারি।’
এক দফার ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক ঘোষণা’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ঘোষণা জাতিকে মুক্ত করার ঐতিহাসিক আহ্বান। আমাদের এই সংগ্রাম অস্তিত্বের সংগ্রাম, ১৮ কোটি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।’
এ সময় সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে। এই ঘোষণার পরে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পরিষ্কার করে বলে দেয়—পরে কিন্তু পালাবার পথও খুঁজে পাবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুনামি শুরু হয়েছে। সমস্ত বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ, দেশের মানুষ, তারা আজ পরিবর্তন চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষ বলছে, আর নয়, তারা অত্যাচার-নিপীড়নের অবসান চায়, তারা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এখন আর কথা বলার সময় নাই। এখন আমাদের একটাই কাজ, এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া।'
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সারা দেশে ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে আজকে আপনারা শান্তি মিটিং করেন। আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে, লগি-বৈঠা দিয়ে আর ক্ষমতায় আসা যাবে না, টিকে থাকাও যাবে না। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৫ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১১ ঘণ্টা আগে