তানিম আহমেদ, ঢাকা
এমপিদের আমলনামা দেখেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘জনগণের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান তারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ার করে এ কথা বলেন তিনি। দলটির একাধিক সংসদ সদস্য আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে সরকারি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে এই সভা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় নির্বাচন, বিরোধী দলের আন্দোলনসহ সাম্প্রতিক নানান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। সভায় বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যও বক্তব্য রাখেন।
সূত্র জানায় বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জরিপ করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁর কাছে জরিপ রিপোর্ট রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী যারা ভালো কাজ করেছেন। যারা জনগণের কাছে যায়। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেন। ভোট চান। জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখেন এবং জনগণ যাদেরকে চায় তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক নেই, এলাকায় যান না তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে সেটাও জানান এমপিদের শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের এলাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। বিরোধী দলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে বলেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। তবে আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মত সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে কঠোরহস্তে দমন করা হবে।
সূত্র জানায় বৈঠকে দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীকে জেলা সফরের জন্য অনুরোধ করেন। জেলা সফরে গেলে সেখানকার অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো কেটে যাবে। তিনি সরাসরি নির্দেশনা দিতে পারবেন। এতে নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল হবেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘তিনি সফর শুরু করেছেন। আগামীতেও যতদূর সম্ভব সেটা অব্যাহত রাখবেন। আর যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে অবশ্যই যাবেন।’
বৈঠকে সরকারি দলের এমপিদের মধ্যে শাহজাহান খান, আবুল কালাম আজাদ, আ স ম ফিরোজ, সাদেক খান, আতিউর রহমান আতিক, মেহের আফরোজ চুমকি, মেরিনা জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে একাধিক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উন্নয়নকাজের অসমবন্টনের অভিযোগ তোলেন। তারা বলেন, ‘মন্ত্রীরা অন্য এলাকার দিকে না দেখে কেবল নিজের এলাকার দিকে গুরুত্ব দেন। মন্ত্রণালয়ের কাজ যেন সব এলাকায় সমানভাবে হয়। মন্ত্রীরা যেন স্বজনপ্রীতি করে নিজের এলাকার ওপর বেশি গুরুত্ব না দেন।’
এ ছাড়া কয়েকজন এমপি নতুন করে বড় কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করার পক্ষে অভিমত দিয়ে চলমান প্রকল্পগুলো নির্বাচনের আগে শেষ করার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি ভাঙাচোরা সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ করেন। এমপিরা জানান, প্রধানমন্ত্রী এমপিদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছেন। আবার কিছু বিষয়ে তিনি নোট নিয়েছেন।
এমপিদের আমলনামা দেখেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘জনগণের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান তারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ার করে এ কথা বলেন তিনি। দলটির একাধিক সংসদ সদস্য আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে সরকারি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে এই সভা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় নির্বাচন, বিরোধী দলের আন্দোলনসহ সাম্প্রতিক নানান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। সভায় বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যও বক্তব্য রাখেন।
সূত্র জানায় বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জরিপ করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁর কাছে জরিপ রিপোর্ট রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী যারা ভালো কাজ করেছেন। যারা জনগণের কাছে যায়। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেন। ভোট চান। জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখেন এবং জনগণ যাদেরকে চায় তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক নেই, এলাকায় যান না তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে সেটাও জানান এমপিদের শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের এলাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। বিরোধী দলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে বলেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। তবে আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মত সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে কঠোরহস্তে দমন করা হবে।
সূত্র জানায় বৈঠকে দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীকে জেলা সফরের জন্য অনুরোধ করেন। জেলা সফরে গেলে সেখানকার অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো কেটে যাবে। তিনি সরাসরি নির্দেশনা দিতে পারবেন। এতে নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল হবেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘তিনি সফর শুরু করেছেন। আগামীতেও যতদূর সম্ভব সেটা অব্যাহত রাখবেন। আর যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে অবশ্যই যাবেন।’
বৈঠকে সরকারি দলের এমপিদের মধ্যে শাহজাহান খান, আবুল কালাম আজাদ, আ স ম ফিরোজ, সাদেক খান, আতিউর রহমান আতিক, মেহের আফরোজ চুমকি, মেরিনা জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে একাধিক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উন্নয়নকাজের অসমবন্টনের অভিযোগ তোলেন। তারা বলেন, ‘মন্ত্রীরা অন্য এলাকার দিকে না দেখে কেবল নিজের এলাকার দিকে গুরুত্ব দেন। মন্ত্রণালয়ের কাজ যেন সব এলাকায় সমানভাবে হয়। মন্ত্রীরা যেন স্বজনপ্রীতি করে নিজের এলাকার ওপর বেশি গুরুত্ব না দেন।’
এ ছাড়া কয়েকজন এমপি নতুন করে বড় কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করার পক্ষে অভিমত দিয়ে চলমান প্রকল্পগুলো নির্বাচনের আগে শেষ করার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি ভাঙাচোরা সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ করেন। এমপিরা জানান, প্রধানমন্ত্রী এমপিদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছেন। আবার কিছু বিষয়ে তিনি নোট নিয়েছেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তাঁদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা এবং ভোটের একটা সময় নির্ধারণ করা। সে জন্য আমরা বলছি, অতি দ্রুত একটি নির্বাচনী রোডম্য
৩৯ মিনিট আগেদেশের শত্রুরা পেছনে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
১ ঘণ্টা আগেসাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নুল আবদীন ফারুককে দুর্নীতির একটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এসএম জিয়াউর রহমান রায়ে খালাসের এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবের মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যা করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
৭ ঘণ্টা আগে