নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির বিরুদ্ধে এক–এগারোর সরকার গঠনের অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘ইদানীং কথা বলার সুযোগ পেয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বহু লোক বহু কথা বলছে। কেউ বলছে বিএনপি নাকি এক-এগারো আনার পাঁয়তারা করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ওয়ান ইলেভেনের যে ভয়াবহ পরিণতি, এটা বিএনপির চেয়ে কেউ বেশি ভোগ করে নাই। বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী, সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া (বিএনপি চেয়ারপারসন) পর্যন্ত কেউই এক–এগারোর রোষানলে থেকে রেহাই পায় নাই। আর আজকে উনারা অনেকেই বলেন যে বিএনপি এক–এগারো আনার চিন্তা করছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নতুন কথা ফুটলে বাচ্চারা যেমন আবোল-তাবোল কথা বলে, আজকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হঠাৎ তেমন বলছে। অনেক দল, অনেক ব্যক্তি, যাঁরা আজকে কথাবার্তা বলছেন, এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন মনে হয় যেন বিএনপি আওয়ামী লীগের দোসর। যদি আপনারা এই ধরনের কথাবার্তা ৫ আগস্টের পরে আজকে বলতে থাকেন, তাহলে কিন্তু দেশ গণতন্ত্রের চেহারা কোনো দিন দেখবে না। ভারতের দোসর ওই আওয়ামী লীগ। তাদের দিকে যদি বিএনপিকে ঠেলে দিতে চান, আমি বলব আপনারা নিজের অন্তরটা আগে আয়না দিয়ে দেখুন।’
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, ‘একটি ব্যাপার, সেটা হলো অনেকে বলেন একটি নতুন দল হচ্ছে আর বিএনপি নাকি হিংসা করছে। এ কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা জাতির শত্রু। দল ঘোষণা হওয়ার পরে বিএনপি কী করে, সেটা দেখবেন। যাঁরা দল করবেন, আমরা তাঁদের স্বাগত জানাই। এ ধরনের উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। বিএনপিকে যাঁরা ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, এটার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছে। আজকে অনেকে বলছেন ৫ আগস্ট যাঁরা এনেছেন, সবকিছুর অধিকার তাঁদের। যাঁরা ১৭ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছে, খুন হয়েছে গুম হয়েছে তাঁদের কী হবে? আমাদের কি কোনো অবদান নাই। আমার ১১ বছর জেল হয়েছে, আমার স্ত্রীর ১৬ বছর, আমার ছোট ভাইয়ের আট বছর সাজা হয়েছে। এমনি করে বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নির্যাতন–নিপীড়ন হয়েছে। আর আজ আমাদের আওয়ামী লীগের সিল বানাতে চান। চক্রান্ত যা–ই করেন, আমরা বুঝি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুজ্জামান মেহেদী, মাহবুব আলম, মসিউর রহমান বিপ্লব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব এহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসিন আলী, সহসভাপতি জাহিদুল কবিরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘বিএনপি কয়েক দিন আগে মাইনাস টু–এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নিবে না।’
নাহিদ মনে করেন, ‘বর্তমান সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল, যারা মূলত বিএনপির লোক। এ রকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে এক–এগারোর সরকার গঠনের অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘ইদানীং কথা বলার সুযোগ পেয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বহু লোক বহু কথা বলছে। কেউ বলছে বিএনপি নাকি এক-এগারো আনার পাঁয়তারা করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ওয়ান ইলেভেনের যে ভয়াবহ পরিণতি, এটা বিএনপির চেয়ে কেউ বেশি ভোগ করে নাই। বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী, সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া (বিএনপি চেয়ারপারসন) পর্যন্ত কেউই এক–এগারোর রোষানলে থেকে রেহাই পায় নাই। আর আজকে উনারা অনেকেই বলেন যে বিএনপি এক–এগারো আনার চিন্তা করছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নতুন কথা ফুটলে বাচ্চারা যেমন আবোল-তাবোল কথা বলে, আজকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হঠাৎ তেমন বলছে। অনেক দল, অনেক ব্যক্তি, যাঁরা আজকে কথাবার্তা বলছেন, এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন মনে হয় যেন বিএনপি আওয়ামী লীগের দোসর। যদি আপনারা এই ধরনের কথাবার্তা ৫ আগস্টের পরে আজকে বলতে থাকেন, তাহলে কিন্তু দেশ গণতন্ত্রের চেহারা কোনো দিন দেখবে না। ভারতের দোসর ওই আওয়ামী লীগ। তাদের দিকে যদি বিএনপিকে ঠেলে দিতে চান, আমি বলব আপনারা নিজের অন্তরটা আগে আয়না দিয়ে দেখুন।’
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, ‘একটি ব্যাপার, সেটা হলো অনেকে বলেন একটি নতুন দল হচ্ছে আর বিএনপি নাকি হিংসা করছে। এ কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা জাতির শত্রু। দল ঘোষণা হওয়ার পরে বিএনপি কী করে, সেটা দেখবেন। যাঁরা দল করবেন, আমরা তাঁদের স্বাগত জানাই। এ ধরনের উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। বিএনপিকে যাঁরা ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, এটার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছে। আজকে অনেকে বলছেন ৫ আগস্ট যাঁরা এনেছেন, সবকিছুর অধিকার তাঁদের। যাঁরা ১৭ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছে, খুন হয়েছে গুম হয়েছে তাঁদের কী হবে? আমাদের কি কোনো অবদান নাই। আমার ১১ বছর জেল হয়েছে, আমার স্ত্রীর ১৬ বছর, আমার ছোট ভাইয়ের আট বছর সাজা হয়েছে। এমনি করে বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নির্যাতন–নিপীড়ন হয়েছে। আর আজ আমাদের আওয়ামী লীগের সিল বানাতে চান। চক্রান্ত যা–ই করেন, আমরা বুঝি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুজ্জামান মেহেদী, মাহবুব আলম, মসিউর রহমান বিপ্লব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব এহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসিন আলী, সহসভাপতি জাহিদুল কবিরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘বিএনপি কয়েক দিন আগে মাইনাস টু–এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নিবে না।’
নাহিদ মনে করেন, ‘বর্তমান সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল, যারা মূলত বিএনপির লোক। এ রকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে।’
বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথোপকথনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কথাবার্তায় মিল’ খুঁজে পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বিএনপির ‘নিরপেক্ষ সরকারের’ দাবিকে ‘এক–এগারোর’ পুনরাবৃত্তি ডেকে আনার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ। বিএনপি কে
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতেই আসতে পারে নতুন এ রাজনৈতিক দলের ঘোষণা।
৪ ঘণ্টা আগেভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন যেকোনো ষড়যন্ত্র
৫ ঘণ্টা আগেসংস্কার ও নির্বাচন উভয়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, সংস্কারের পক্ষ নিয়ে কেউ যদি নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কথা বলে, সেটা মানুষ নেবে না। আবার নির্বাচনের কথা বলে সংস্কার যদি আড়াল হয়ে যায়, সেটাও মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংস্কারও চাই, আবার নির্বাচনও
৬ ঘণ্টা আগে