চাঁদপুর প্রতিনিধি
নৌকাকে ভোট দেওয়াটাও দেশ প্রেমেরই অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ২০২৩ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়েছেন। এখন আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথ দেখাচ্ছেন। তাহলে আমাদের নৌকার বিকল্প কোথায়। দেশকে ও মানুষকে ভালোবাসা যদি আমার দেশ প্রেম হয়, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা যদি দেশ প্রেম হয়, দেশের মানুষের সুখ, শান্তি, উন্নতি সেটা চাওয়া যদি আমার দেশ প্রেম হয়, তাহলে আমি বলতে বাধ্য শেখ হাসিনাকে অর্থাৎ নৌকাকে ভোট দেওয়াটাও দেশ প্রেমেরই অংশ। কারণ এর উল্টো দিকের বিকল্প অর্থ হচ্ছে দেশ ধ্বংস, মানুষ পোড়ানো, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা এবং এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক মাস আগে বলা হয়েছিল আমাদের সমস্ত বই থেকে ইসলাম ও রাসূল সম্পর্কে বিষয়গুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং সনাতন ধর্ম সম্পর্কিত সবকিছু নিয়ে আসা হয়েছে।
এরপর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, আমরা সেটির বিপরীতে আরেকটি ভিডিও করে উত্তর দিয়েছি। যে ভিডিওটি যা দেওয়া হয়েছে, সেটির সব তথ্যই মিথ্যা।’
তিনি বলেন, ‘এখন যারা সরকারকে মুখের সামনে বলতে উৎখাত করতে চায়, তারা উৎখাত করার কোনো সুযোগ দেখছে না। কাজেই তারা এখন নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এখন তারা নতুন শিক্ষাক্রমের পেছনে লেগেছে। কারণ এই শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আমার শিক্ষার্থী মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, নৈতিকতা সম্পন্ন এবং সোনার বাংলা গড়ার সোনার মানুষ হবে। তাই তাদের এই বাংলাদেশকে যে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা। কারণ তাদের অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যাবে, এটা তাদের ভয়। তাই এই শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করছে।’
দীপু মনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সব সময় ইসলামের নামকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। আমি বলব আমরা যেন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং কেউ যেন ধর্মকে অপব্যবহার না করে। সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখব এবং যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি, মাদ্রাসা ও উচ্চ শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছি। মাদ্রাসা শিক্ষায় বিষয়ের মানের বিষয় হচ্ছে। যেখানে ১ হাজারের বেশি হয়। সেটাকে এক হাজার নম্বরের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আমরা বিবেচনায় এনেছি। তাদের ধর্ম সংক্রান্ত বিষগুলো ঠিক রেখে অন্য যে বিষয় পড়ানো হয় সেগুলোকে বিন্যাস করা হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদপুর প্রেসক্লাব হচ্ছে আমার নিজের একটি প্রতিষ্ঠান। আমি এই ক্লাবের একজন সদস্য। এখানে আমি নিমন্ত্রণ না করলেও আসি। কারণ আমার পিতা ছিলেন সংবাদপত্রের লোক। এই পেশা আমাদের পরিবারে সঙ্গে জড়িত। তাই আমি বলব, আমরা যেন সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় ইতিবাচক সংবাদগুলো নিয়ে আসি। কারণ এখন পত্রিকার প্রথম পাতায় নেতিবাচক সংবাদগুলো দেখি। ইতিবাচক সংবাদ পত্রিকার এক কোনায় পাওয়া যায়। পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কারণ পত্রিকা দেখে এবং পড়ে অনেকেই শিখেন।’
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন এর সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সিআইপি জয়নাল আবেদিন মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আলহাজ মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী।
প্রেসক্লাব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, জালাল চৌধুরী, শহীদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ প্রমুখ।
নৌকাকে ভোট দেওয়াটাও দেশ প্রেমেরই অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ২০২৩ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়েছেন। এখন আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথ দেখাচ্ছেন। তাহলে আমাদের নৌকার বিকল্প কোথায়। দেশকে ও মানুষকে ভালোবাসা যদি আমার দেশ প্রেম হয়, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা যদি দেশ প্রেম হয়, দেশের মানুষের সুখ, শান্তি, উন্নতি সেটা চাওয়া যদি আমার দেশ প্রেম হয়, তাহলে আমি বলতে বাধ্য শেখ হাসিনাকে অর্থাৎ নৌকাকে ভোট দেওয়াটাও দেশ প্রেমেরই অংশ। কারণ এর উল্টো দিকের বিকল্প অর্থ হচ্ছে দেশ ধ্বংস, মানুষ পোড়ানো, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা এবং এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক মাস আগে বলা হয়েছিল আমাদের সমস্ত বই থেকে ইসলাম ও রাসূল সম্পর্কে বিষয়গুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং সনাতন ধর্ম সম্পর্কিত সবকিছু নিয়ে আসা হয়েছে।
এরপর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, আমরা সেটির বিপরীতে আরেকটি ভিডিও করে উত্তর দিয়েছি। যে ভিডিওটি যা দেওয়া হয়েছে, সেটির সব তথ্যই মিথ্যা।’
তিনি বলেন, ‘এখন যারা সরকারকে মুখের সামনে বলতে উৎখাত করতে চায়, তারা উৎখাত করার কোনো সুযোগ দেখছে না। কাজেই তারা এখন নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এখন তারা নতুন শিক্ষাক্রমের পেছনে লেগেছে। কারণ এই শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আমার শিক্ষার্থী মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, নৈতিকতা সম্পন্ন এবং সোনার বাংলা গড়ার সোনার মানুষ হবে। তাই তাদের এই বাংলাদেশকে যে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা। কারণ তাদের অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যাবে, এটা তাদের ভয়। তাই এই শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করছে।’
দীপু মনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সব সময় ইসলামের নামকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। আমি বলব আমরা যেন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং কেউ যেন ধর্মকে অপব্যবহার না করে। সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখব এবং যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি, মাদ্রাসা ও উচ্চ শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছি। মাদ্রাসা শিক্ষায় বিষয়ের মানের বিষয় হচ্ছে। যেখানে ১ হাজারের বেশি হয়। সেটাকে এক হাজার নম্বরের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আমরা বিবেচনায় এনেছি। তাদের ধর্ম সংক্রান্ত বিষগুলো ঠিক রেখে অন্য যে বিষয় পড়ানো হয় সেগুলোকে বিন্যাস করা হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদপুর প্রেসক্লাব হচ্ছে আমার নিজের একটি প্রতিষ্ঠান। আমি এই ক্লাবের একজন সদস্য। এখানে আমি নিমন্ত্রণ না করলেও আসি। কারণ আমার পিতা ছিলেন সংবাদপত্রের লোক। এই পেশা আমাদের পরিবারে সঙ্গে জড়িত। তাই আমি বলব, আমরা যেন সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় ইতিবাচক সংবাদগুলো নিয়ে আসি। কারণ এখন পত্রিকার প্রথম পাতায় নেতিবাচক সংবাদগুলো দেখি। ইতিবাচক সংবাদ পত্রিকার এক কোনায় পাওয়া যায়। পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কারণ পত্রিকা দেখে এবং পড়ে অনেকেই শিখেন।’
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন এর সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সিআইপি জয়নাল আবেদিন মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আলহাজ মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী।
প্রেসক্লাব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, জালাল চৌধুরী, শহীদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
৮ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১৮ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে