সৌগত বসু, ঢাকা

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে টানা পৌনে ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের লিয়োঁ শহরে।
ইন্টারপোলের কাছে প্রত্যর্পণ, আত্মসমর্পণ বা অনুরূপ আইনি পদক্ষেপের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং সাময়িকভাবে গ্রেপ্তার করার জন্য ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হলে তাঁকে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ছবিসহ দেখানো হবে। সেখানে তাঁর কিছু তথ্য থাকবে। তবে ইন্টারপোল কোনো রেড নোটিশধারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ সংস্থাটির কাছে চেয়েছে এমন ৪৭ জন এবং বাংলাদেশে জন্ম এমন ৬৪ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের ৬ হাজার ৬৬৯ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বোর্ডে।
তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায়, তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।
অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ইন্টারপোলে পাঠানো ও তদারকির দায়িত্ব ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি)।
এই শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন এমন ৬৪ ব্যক্তির নাম ও অপরাধের বিস্তারিত তথ্য ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে রেড নোটিশ জারির জন্য।
এর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যা, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত, টাকা ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এই ৬৪ ব্যক্তির মধ্যে বর্তমানে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ঝুলছে ৬৩ জনের নাম।
রেড নোটিশ জারি হয় কীভাবে
ইন্টারপোল রেড নোটিশ হলো একটি আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী নোটিশ, যা ইন্টারপোল কর্তৃক ইস্যু করা হয় এবং এর মাধ্যমে একজন অভিযুক্ত বা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং আটক করতে সহায়তা করা হয়।
সাধারণত এমন ক্ষেত্রে এটি ইস্যু করা হয়, যখন কোনো ব্যক্তি একটি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং তাকে বিচারের জন্য অন্য কোনো দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হয়।
রেড নোটিশ একটি বৈধ আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে এটি একটি সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশ বাহিনীকে জানায় যে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশ্বের অন্য দেশে পালিয়ে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করা ও আইনগত প্রক্রিয়া চালানোর জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা তথ্যাদি পাঠাতে হয়। যেমন ১। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য তাদের নাম, জন্মতারিখ, জাতীয়তা, চুল এবং চোখের রং, ছবি এবং আঙুলের ছাপ (যদি পাওয়া যায়)। যে অপরাধের জন্য সন্ধান, সে-সম্পর্কিত তথ্য। সাধারণত খুন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন বা সশস্ত্র ডাকাতি হতে পারে।
ইন্টারপোল তাদের ওয়েবসাইটে বলছে, নোটিশ হলো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুরোধ বা সতর্কবার্তা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশকে অপরাধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাগাভাগি করার সুযোগ দেয়।
এই নোটিশ ইস্যু করে ইন্টারপোলের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট, যা সদস্যদেশের ইন্টারপোল ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর অনুরোধের ভিত্তিতে তৈরি হয় এবং এটি সদস্যদেশগুলোর জন্য ইন্টারপোলের নোটিশ ডেটাবেইসে উপলব্ধ থাকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অনুরোধেও নোটিশ ইস্যু হতে পারে, বিশেষত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে।
এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্যও জাতিসংঘের অনুরোধে নোটিশ ইস্যু করা যায়। বেশির ভাগ নোটিশ শুধু পুলিশের ব্যবহারের জন্য এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে কোনো দেশ চাইলে নোটিশের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হতে পারে, যাতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া যায়। জাতিসংঘের স্পেশাল নোটিশসমূহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
রেড নোটিশ জারি হলে কী হয়
যে দেশগুলোর সঙ্গে ইন্টারপোলের সংযোগ আছে, সেসব দেশের পুলিশ বাহিনী রেড নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং আটক করতে উদ্যোগী হতে পারে। এটি কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে অনেক দেশ এটিকে গ্রেপ্তারি নির্দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। রেড নোটিশের কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে পারেন না। কারণ, যেকোনো দেশে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হতে পারে। অনেক দেশ বিমানবন্দরে এই ব্যক্তিকে আটক করতে পারে বা সীমান্তে বাধা প্রদান করতে পারে। গ্রেপ্তার হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ অনুযায়ী তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
প্রত্যর্পণের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দেশটি তাকে ট্রাইব্যুনাল বা আদালতের সামনে হাজির করতে পারে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের কারণে বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে থাকে এবং তদন্তের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে।
রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তির ব্যাংকিং, ব্যবসা এবং সামাজিক অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক দেশে এ ধরনের নোটিশ পেয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা জব্দ করা হয় এবং সরকারি পদ বা দায়িত্ব পালনেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে। রেড নোটিশ থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কারণ, বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করা ও আর্থিক লেনদেন চালানো কঠিন হয়ে যায়।
ইন্টারপোলের কত প্রকার নোটিশ
ইন্টারপোলের ৮ প্রকার নোটিশ রয়েছে। এগুলো হলো:
রেড নোটিশ: কোনো ব্যক্তিকে বিচারের জন্য বা সাজা খাটানোর উদ্দেশ্যে তার অবস্থান এবং গ্রেপ্তারের জন্য অনুসন্ধান।
ইয়েলো নোটিশ: নিখোঁজ ব্যক্তিদের, বিশেষ করে নাবালকদের খুঁজে পেতে বা যারা নিজেদের পরিচয় দিতে অক্ষম, তাদের শনাক্তকরণের জন্য সহায়তা।
ব্লু নোটিশ: কোনো অপরাধ তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তির পরিচয়, অবস্থান বা কার্যকলাপ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য।
ব্ল্যাক নোটিশ: অজ্ঞাত মৃতদেহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য।
গ্রিন নোটিশ: জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত ব্যক্তির অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্কতা প্রদানের জন্য।
অরেঞ্জ নোটিশ: এমন কোনো ঘটনা, ব্যক্তি, বস্তু বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সতর্কতা দেওয়ার জন্য, যা জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর এবং আসন্ন হুমকি তৈরি করতে পারে।
পার্পল নোটিশ: অপরাধীদের ব্যবহৃত পদ্ধতি, বস্তু, যন্ত্রপাতি এবং লুকানোর পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ বা সরবরাহ করার জন্য।
ইন্টারপোল-জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিশেষ নোটিশ: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির লক্ষ্যবস্তু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জন্য ইস্যু করা।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে টানা পৌনে ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের লিয়োঁ শহরে।
ইন্টারপোলের কাছে প্রত্যর্পণ, আত্মসমর্পণ বা অনুরূপ আইনি পদক্ষেপের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং সাময়িকভাবে গ্রেপ্তার করার জন্য ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হলে তাঁকে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ছবিসহ দেখানো হবে। সেখানে তাঁর কিছু তথ্য থাকবে। তবে ইন্টারপোল কোনো রেড নোটিশধারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ সংস্থাটির কাছে চেয়েছে এমন ৪৭ জন এবং বাংলাদেশে জন্ম এমন ৬৪ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের ৬ হাজার ৬৬৯ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বোর্ডে।
তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায়, তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।
অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ইন্টারপোলে পাঠানো ও তদারকির দায়িত্ব ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি)।
এই শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন এমন ৬৪ ব্যক্তির নাম ও অপরাধের বিস্তারিত তথ্য ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে রেড নোটিশ জারির জন্য।
এর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যা, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত, টাকা ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এই ৬৪ ব্যক্তির মধ্যে বর্তমানে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ঝুলছে ৬৩ জনের নাম।
রেড নোটিশ জারি হয় কীভাবে
ইন্টারপোল রেড নোটিশ হলো একটি আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী নোটিশ, যা ইন্টারপোল কর্তৃক ইস্যু করা হয় এবং এর মাধ্যমে একজন অভিযুক্ত বা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং আটক করতে সহায়তা করা হয়।
সাধারণত এমন ক্ষেত্রে এটি ইস্যু করা হয়, যখন কোনো ব্যক্তি একটি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং তাকে বিচারের জন্য অন্য কোনো দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হয়।
রেড নোটিশ একটি বৈধ আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে এটি একটি সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশ বাহিনীকে জানায় যে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশ্বের অন্য দেশে পালিয়ে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করা ও আইনগত প্রক্রিয়া চালানোর জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা তথ্যাদি পাঠাতে হয়। যেমন ১। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য তাদের নাম, জন্মতারিখ, জাতীয়তা, চুল এবং চোখের রং, ছবি এবং আঙুলের ছাপ (যদি পাওয়া যায়)। যে অপরাধের জন্য সন্ধান, সে-সম্পর্কিত তথ্য। সাধারণত খুন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন বা সশস্ত্র ডাকাতি হতে পারে।
ইন্টারপোল তাদের ওয়েবসাইটে বলছে, নোটিশ হলো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুরোধ বা সতর্কবার্তা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশকে অপরাধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাগাভাগি করার সুযোগ দেয়।
এই নোটিশ ইস্যু করে ইন্টারপোলের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট, যা সদস্যদেশের ইন্টারপোল ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর অনুরোধের ভিত্তিতে তৈরি হয় এবং এটি সদস্যদেশগুলোর জন্য ইন্টারপোলের নোটিশ ডেটাবেইসে উপলব্ধ থাকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অনুরোধেও নোটিশ ইস্যু হতে পারে, বিশেষত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে।
এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্যও জাতিসংঘের অনুরোধে নোটিশ ইস্যু করা যায়। বেশির ভাগ নোটিশ শুধু পুলিশের ব্যবহারের জন্য এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে কোনো দেশ চাইলে নোটিশের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হতে পারে, যাতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া যায়। জাতিসংঘের স্পেশাল নোটিশসমূহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
রেড নোটিশ জারি হলে কী হয়
যে দেশগুলোর সঙ্গে ইন্টারপোলের সংযোগ আছে, সেসব দেশের পুলিশ বাহিনী রেড নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং আটক করতে উদ্যোগী হতে পারে। এটি কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে অনেক দেশ এটিকে গ্রেপ্তারি নির্দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। রেড নোটিশের কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে পারেন না। কারণ, যেকোনো দেশে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হতে পারে। অনেক দেশ বিমানবন্দরে এই ব্যক্তিকে আটক করতে পারে বা সীমান্তে বাধা প্রদান করতে পারে। গ্রেপ্তার হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ অনুযায়ী তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
প্রত্যর্পণের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দেশটি তাকে ট্রাইব্যুনাল বা আদালতের সামনে হাজির করতে পারে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের কারণে বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে থাকে এবং তদন্তের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে।
রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তির ব্যাংকিং, ব্যবসা এবং সামাজিক অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক দেশে এ ধরনের নোটিশ পেয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা জব্দ করা হয় এবং সরকারি পদ বা দায়িত্ব পালনেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে। রেড নোটিশ থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কারণ, বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করা ও আর্থিক লেনদেন চালানো কঠিন হয়ে যায়।
ইন্টারপোলের কত প্রকার নোটিশ
ইন্টারপোলের ৮ প্রকার নোটিশ রয়েছে। এগুলো হলো:
রেড নোটিশ: কোনো ব্যক্তিকে বিচারের জন্য বা সাজা খাটানোর উদ্দেশ্যে তার অবস্থান এবং গ্রেপ্তারের জন্য অনুসন্ধান।
ইয়েলো নোটিশ: নিখোঁজ ব্যক্তিদের, বিশেষ করে নাবালকদের খুঁজে পেতে বা যারা নিজেদের পরিচয় দিতে অক্ষম, তাদের শনাক্তকরণের জন্য সহায়তা।
ব্লু নোটিশ: কোনো অপরাধ তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তির পরিচয়, অবস্থান বা কার্যকলাপ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য।
ব্ল্যাক নোটিশ: অজ্ঞাত মৃতদেহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য।
গ্রিন নোটিশ: জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত ব্যক্তির অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্কতা প্রদানের জন্য।
অরেঞ্জ নোটিশ: এমন কোনো ঘটনা, ব্যক্তি, বস্তু বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সতর্কতা দেওয়ার জন্য, যা জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর এবং আসন্ন হুমকি তৈরি করতে পারে।
পার্পল নোটিশ: অপরাধীদের ব্যবহৃত পদ্ধতি, বস্তু, যন্ত্রপাতি এবং লুকানোর পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ বা সরবরাহ করার জন্য।
ইন্টারপোল-জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিশেষ নোটিশ: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির লক্ষ্যবস্তু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জন্য ইস্যু করা।
সৌগত বসু, ঢাকা

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে টানা পৌনে ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের লিয়োঁ শহরে।
ইন্টারপোলের কাছে প্রত্যর্পণ, আত্মসমর্পণ বা অনুরূপ আইনি পদক্ষেপের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং সাময়িকভাবে গ্রেপ্তার করার জন্য ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হলে তাঁকে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ছবিসহ দেখানো হবে। সেখানে তাঁর কিছু তথ্য থাকবে। তবে ইন্টারপোল কোনো রেড নোটিশধারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ সংস্থাটির কাছে চেয়েছে এমন ৪৭ জন এবং বাংলাদেশে জন্ম এমন ৬৪ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের ৬ হাজার ৬৬৯ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বোর্ডে।
তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায়, তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।
অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ইন্টারপোলে পাঠানো ও তদারকির দায়িত্ব ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি)।
এই শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন এমন ৬৪ ব্যক্তির নাম ও অপরাধের বিস্তারিত তথ্য ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে রেড নোটিশ জারির জন্য।
এর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যা, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত, টাকা ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এই ৬৪ ব্যক্তির মধ্যে বর্তমানে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ঝুলছে ৬৩ জনের নাম।
রেড নোটিশ জারি হয় কীভাবে
ইন্টারপোল রেড নোটিশ হলো একটি আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী নোটিশ, যা ইন্টারপোল কর্তৃক ইস্যু করা হয় এবং এর মাধ্যমে একজন অভিযুক্ত বা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং আটক করতে সহায়তা করা হয়।
সাধারণত এমন ক্ষেত্রে এটি ইস্যু করা হয়, যখন কোনো ব্যক্তি একটি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং তাকে বিচারের জন্য অন্য কোনো দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হয়।
রেড নোটিশ একটি বৈধ আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে এটি একটি সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশ বাহিনীকে জানায় যে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশ্বের অন্য দেশে পালিয়ে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করা ও আইনগত প্রক্রিয়া চালানোর জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা তথ্যাদি পাঠাতে হয়। যেমন ১। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য তাদের নাম, জন্মতারিখ, জাতীয়তা, চুল এবং চোখের রং, ছবি এবং আঙুলের ছাপ (যদি পাওয়া যায়)। যে অপরাধের জন্য সন্ধান, সে-সম্পর্কিত তথ্য। সাধারণত খুন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন বা সশস্ত্র ডাকাতি হতে পারে।
ইন্টারপোল তাদের ওয়েবসাইটে বলছে, নোটিশ হলো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুরোধ বা সতর্কবার্তা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশকে অপরাধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাগাভাগি করার সুযোগ দেয়।
এই নোটিশ ইস্যু করে ইন্টারপোলের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট, যা সদস্যদেশের ইন্টারপোল ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর অনুরোধের ভিত্তিতে তৈরি হয় এবং এটি সদস্যদেশগুলোর জন্য ইন্টারপোলের নোটিশ ডেটাবেইসে উপলব্ধ থাকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অনুরোধেও নোটিশ ইস্যু হতে পারে, বিশেষত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে।
এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্যও জাতিসংঘের অনুরোধে নোটিশ ইস্যু করা যায়। বেশির ভাগ নোটিশ শুধু পুলিশের ব্যবহারের জন্য এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে কোনো দেশ চাইলে নোটিশের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হতে পারে, যাতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া যায়। জাতিসংঘের স্পেশাল নোটিশসমূহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
রেড নোটিশ জারি হলে কী হয়
যে দেশগুলোর সঙ্গে ইন্টারপোলের সংযোগ আছে, সেসব দেশের পুলিশ বাহিনী রেড নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং আটক করতে উদ্যোগী হতে পারে। এটি কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে অনেক দেশ এটিকে গ্রেপ্তারি নির্দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। রেড নোটিশের কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে পারেন না। কারণ, যেকোনো দেশে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হতে পারে। অনেক দেশ বিমানবন্দরে এই ব্যক্তিকে আটক করতে পারে বা সীমান্তে বাধা প্রদান করতে পারে। গ্রেপ্তার হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ অনুযায়ী তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
প্রত্যর্পণের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দেশটি তাকে ট্রাইব্যুনাল বা আদালতের সামনে হাজির করতে পারে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের কারণে বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে থাকে এবং তদন্তের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে।
রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তির ব্যাংকিং, ব্যবসা এবং সামাজিক অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক দেশে এ ধরনের নোটিশ পেয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা জব্দ করা হয় এবং সরকারি পদ বা দায়িত্ব পালনেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে। রেড নোটিশ থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কারণ, বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করা ও আর্থিক লেনদেন চালানো কঠিন হয়ে যায়।
ইন্টারপোলের কত প্রকার নোটিশ
ইন্টারপোলের ৮ প্রকার নোটিশ রয়েছে। এগুলো হলো:
রেড নোটিশ: কোনো ব্যক্তিকে বিচারের জন্য বা সাজা খাটানোর উদ্দেশ্যে তার অবস্থান এবং গ্রেপ্তারের জন্য অনুসন্ধান।
ইয়েলো নোটিশ: নিখোঁজ ব্যক্তিদের, বিশেষ করে নাবালকদের খুঁজে পেতে বা যারা নিজেদের পরিচয় দিতে অক্ষম, তাদের শনাক্তকরণের জন্য সহায়তা।
ব্লু নোটিশ: কোনো অপরাধ তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তির পরিচয়, অবস্থান বা কার্যকলাপ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য।
ব্ল্যাক নোটিশ: অজ্ঞাত মৃতদেহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য।
গ্রিন নোটিশ: জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত ব্যক্তির অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্কতা প্রদানের জন্য।
অরেঞ্জ নোটিশ: এমন কোনো ঘটনা, ব্যক্তি, বস্তু বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সতর্কতা দেওয়ার জন্য, যা জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর এবং আসন্ন হুমকি তৈরি করতে পারে।
পার্পল নোটিশ: অপরাধীদের ব্যবহৃত পদ্ধতি, বস্তু, যন্ত্রপাতি এবং লুকানোর পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ বা সরবরাহ করার জন্য।
ইন্টারপোল-জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিশেষ নোটিশ: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির লক্ষ্যবস্তু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জন্য ইস্যু করা।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে টানা পৌনে ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের লিয়োঁ শহরে।
ইন্টারপোলের কাছে প্রত্যর্পণ, আত্মসমর্পণ বা অনুরূপ আইনি পদক্ষেপের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং সাময়িকভাবে গ্রেপ্তার করার জন্য ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হলে তাঁকে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ছবিসহ দেখানো হবে। সেখানে তাঁর কিছু তথ্য থাকবে। তবে ইন্টারপোল কোনো রেড নোটিশধারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ সংস্থাটির কাছে চেয়েছে এমন ৪৭ জন এবং বাংলাদেশে জন্ম এমন ৬৪ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের ৬ হাজার ৬৬৯ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বোর্ডে।
তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায়, তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।
অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ইন্টারপোলে পাঠানো ও তদারকির দায়িত্ব ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি)।
এই শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন এমন ৬৪ ব্যক্তির নাম ও অপরাধের বিস্তারিত তথ্য ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে রেড নোটিশ জারির জন্য।
এর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যা, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত, টাকা ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এই ৬৪ ব্যক্তির মধ্যে বর্তমানে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ঝুলছে ৬৩ জনের নাম।
রেড নোটিশ জারি হয় কীভাবে
ইন্টারপোল রেড নোটিশ হলো একটি আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী নোটিশ, যা ইন্টারপোল কর্তৃক ইস্যু করা হয় এবং এর মাধ্যমে একজন অভিযুক্ত বা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবং আটক করতে সহায়তা করা হয়।
সাধারণত এমন ক্ষেত্রে এটি ইস্যু করা হয়, যখন কোনো ব্যক্তি একটি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং তাকে বিচারের জন্য অন্য কোনো দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হয়।
রেড নোটিশ একটি বৈধ আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে এটি একটি সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশ বাহিনীকে জানায় যে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশ্বের অন্য দেশে পালিয়ে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করা ও আইনগত প্রক্রিয়া চালানোর জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা তথ্যাদি পাঠাতে হয়। যেমন ১। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য তাদের নাম, জন্মতারিখ, জাতীয়তা, চুল এবং চোখের রং, ছবি এবং আঙুলের ছাপ (যদি পাওয়া যায়)। যে অপরাধের জন্য সন্ধান, সে-সম্পর্কিত তথ্য। সাধারণত খুন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন বা সশস্ত্র ডাকাতি হতে পারে।
ইন্টারপোল তাদের ওয়েবসাইটে বলছে, নোটিশ হলো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুরোধ বা সতর্কবার্তা, যা সদস্যদেশগুলোর পুলিশকে অপরাধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাগাভাগি করার সুযোগ দেয়।
এই নোটিশ ইস্যু করে ইন্টারপোলের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট, যা সদস্যদেশের ইন্টারপোল ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর অনুরোধের ভিত্তিতে তৈরি হয় এবং এটি সদস্যদেশগুলোর জন্য ইন্টারপোলের নোটিশ ডেটাবেইসে উপলব্ধ থাকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অনুরোধেও নোটিশ ইস্যু হতে পারে, বিশেষত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে।
এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্যও জাতিসংঘের অনুরোধে নোটিশ ইস্যু করা যায়। বেশির ভাগ নোটিশ শুধু পুলিশের ব্যবহারের জন্য এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে কোনো দেশ চাইলে নোটিশের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হতে পারে, যাতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া যায়। জাতিসংঘের স্পেশাল নোটিশসমূহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
রেড নোটিশ জারি হলে কী হয়
যে দেশগুলোর সঙ্গে ইন্টারপোলের সংযোগ আছে, সেসব দেশের পুলিশ বাহিনী রেড নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং আটক করতে উদ্যোগী হতে পারে। এটি কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে অনেক দেশ এটিকে গ্রেপ্তারি নির্দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। রেড নোটিশের কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে পারেন না। কারণ, যেকোনো দেশে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হতে পারে। অনেক দেশ বিমানবন্দরে এই ব্যক্তিকে আটক করতে পারে বা সীমান্তে বাধা প্রদান করতে পারে। গ্রেপ্তার হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ অনুযায়ী তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
প্রত্যর্পণের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দেশটি তাকে ট্রাইব্যুনাল বা আদালতের সামনে হাজির করতে পারে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের কারণে বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে থাকে এবং তদন্তের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে।
রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তির ব্যাংকিং, ব্যবসা এবং সামাজিক অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক দেশে এ ধরনের নোটিশ পেয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা জব্দ করা হয় এবং সরকারি পদ বা দায়িত্ব পালনেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে। রেড নোটিশ থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কারণ, বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করা ও আর্থিক লেনদেন চালানো কঠিন হয়ে যায়।
ইন্টারপোলের কত প্রকার নোটিশ
ইন্টারপোলের ৮ প্রকার নোটিশ রয়েছে। এগুলো হলো:
রেড নোটিশ: কোনো ব্যক্তিকে বিচারের জন্য বা সাজা খাটানোর উদ্দেশ্যে তার অবস্থান এবং গ্রেপ্তারের জন্য অনুসন্ধান।
ইয়েলো নোটিশ: নিখোঁজ ব্যক্তিদের, বিশেষ করে নাবালকদের খুঁজে পেতে বা যারা নিজেদের পরিচয় দিতে অক্ষম, তাদের শনাক্তকরণের জন্য সহায়তা।
ব্লু নোটিশ: কোনো অপরাধ তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তির পরিচয়, অবস্থান বা কার্যকলাপ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য।
ব্ল্যাক নোটিশ: অজ্ঞাত মৃতদেহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য।
গ্রিন নোটিশ: জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত ব্যক্তির অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্কতা প্রদানের জন্য।
অরেঞ্জ নোটিশ: এমন কোনো ঘটনা, ব্যক্তি, বস্তু বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সতর্কতা দেওয়ার জন্য, যা জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর এবং আসন্ন হুমকি তৈরি করতে পারে।
পার্পল নোটিশ: অপরাধীদের ব্যবহৃত পদ্ধতি, বস্তু, যন্ত্রপাতি এবং লুকানোর পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ বা সরবরাহ করার জন্য।
ইন্টারপোল-জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিশেষ নোটিশ: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির লক্ষ্যবস্তু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জন্য ইস্যু করা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্যদেশ ১৯৪। কারও নামে মামলা থাকলে সদস্যদেশের সরকার ইন্টারপোলে ডকুমেন্ট পাঠালে রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে