নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার ভয় পেয়ে ইতিমধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করে রেখেছে। অক্টোবরে আন্দোলন আরও উত্তাল হবে। সরকার যদি তফসিল ঘোষণার চেষ্টা করে তাহলে জনগণ আপনাদের গলায় গামছা বেঁধে ক্ষমতা থেকে নামাবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিরোধী দলগুলোর চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকারকে আরেকটু ধাক্কা দিলেই তারা পড়ে যাবে। রাজপথে নামুন, এই সরকারকে আমাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
পুলিশ ও আদালতকে ব্যবহার করে সরকার বিরোধীদের দমন করতে গ্রেপ্তার-মামলার খেলায় মেতে উঠেছে জানিয়ে সাকি বলেন, আজকে কেবল বিএনপি নয়, মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও তারা ছাড় দিচ্ছে না। অধিকারের দুই সংগঠক আদিলুর ও এলানকে পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বাতিল হয়ে যাওয়া ৫৭ ধারায় মামলা দিয়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যে পুলিশ মানুষের পকেটে ইয়াবা দিয়ে, হাতে অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলা দেয় সেই পুলিশ যখন কোনো রিপোর্ট দেয় তা কি অধিকারের রিপোর্ট না পুলিশের রিপোর্ট? অধিকার বলেছে, সেই রিপোর্ট তাদের কম্পিউটারে ছিল না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেশের মানবাধিকার প্রশ্নে নিন্দা জানিয়েছে উল্লেখ করে সাকি বলেন, তারা বলেছে যদি এমন পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে যেসব সুবিধা পায় সেগুলোর ওপর প্রভাব পড়বে। যে ইউরোপে বাংলাদেশ ২৫ বিলিয়ন রপ্তানি করে আজ সরকার তার গদি দখলে রাখার জন্য সেই বাজারকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সাকি বলেন, সরকার ভয় পেয়ে গেছে। তারা বুঝে গেছে, মানুষের কেবল রাজপথে নামা বাকি। মানুষ দ্রুতই রাজপথে নামবে এবং এই সরকারের পতন ঘটাবে। সে জন্যই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, তারা ক্ষমতা থেকে নামলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ভয় তাদের পেয়ে বসেছে। ভয় পেয়ে পাগল হয়ে এমন সব কাজ করছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ, পুলিশ প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা, সিভিল প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাসহ অসাধু ব্যবসায়ীরা সবাই মিলে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এই গণজাগরণকে গণ অভ্যুত্থানে পরিণত করে এই অবৈধ শাসককে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। একতরফা নির্বাচন বাংলার মাটিতে আর হবে না। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও ভবিষ্যতে একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করব। গুলি খেয়ে মরে যাব তবু একতরফা নির্বাচন আর করতে দেব না।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যে সরকার একটা ডেঙ্গু মশাও মারতে পারছে না তারা কীভাবে দেশ চালাবে? তারা বাজারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরাও সরকারকে পাত্তা দিচ্ছে না। সমস্ত ব্যাংকগুলোর কোষাগার আওয়ামী লীগ খালি করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার বাজারে উড়ছে। রাষ্ট্র চালাতে যে রাজনৈতিক, নৈতিক ক্ষমতা কোনোটাই আর এই সরকারের নেই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। টিকাটুলি হয়ে হাটখোলা মোড়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার ভয় পেয়ে ইতিমধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করে রেখেছে। অক্টোবরে আন্দোলন আরও উত্তাল হবে। সরকার যদি তফসিল ঘোষণার চেষ্টা করে তাহলে জনগণ আপনাদের গলায় গামছা বেঁধে ক্ষমতা থেকে নামাবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিরোধী দলগুলোর চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকারকে আরেকটু ধাক্কা দিলেই তারা পড়ে যাবে। রাজপথে নামুন, এই সরকারকে আমাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
পুলিশ ও আদালতকে ব্যবহার করে সরকার বিরোধীদের দমন করতে গ্রেপ্তার-মামলার খেলায় মেতে উঠেছে জানিয়ে সাকি বলেন, আজকে কেবল বিএনপি নয়, মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও তারা ছাড় দিচ্ছে না। অধিকারের দুই সংগঠক আদিলুর ও এলানকে পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বাতিল হয়ে যাওয়া ৫৭ ধারায় মামলা দিয়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যে পুলিশ মানুষের পকেটে ইয়াবা দিয়ে, হাতে অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলা দেয় সেই পুলিশ যখন কোনো রিপোর্ট দেয় তা কি অধিকারের রিপোর্ট না পুলিশের রিপোর্ট? অধিকার বলেছে, সেই রিপোর্ট তাদের কম্পিউটারে ছিল না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেশের মানবাধিকার প্রশ্নে নিন্দা জানিয়েছে উল্লেখ করে সাকি বলেন, তারা বলেছে যদি এমন পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে যেসব সুবিধা পায় সেগুলোর ওপর প্রভাব পড়বে। যে ইউরোপে বাংলাদেশ ২৫ বিলিয়ন রপ্তানি করে আজ সরকার তার গদি দখলে রাখার জন্য সেই বাজারকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সাকি বলেন, সরকার ভয় পেয়ে গেছে। তারা বুঝে গেছে, মানুষের কেবল রাজপথে নামা বাকি। মানুষ দ্রুতই রাজপথে নামবে এবং এই সরকারের পতন ঘটাবে। সে জন্যই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, তারা ক্ষমতা থেকে নামলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ভয় তাদের পেয়ে বসেছে। ভয় পেয়ে পাগল হয়ে এমন সব কাজ করছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ, পুলিশ প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা, সিভিল প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাসহ অসাধু ব্যবসায়ীরা সবাই মিলে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এই গণজাগরণকে গণ অভ্যুত্থানে পরিণত করে এই অবৈধ শাসককে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। একতরফা নির্বাচন বাংলার মাটিতে আর হবে না। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও ভবিষ্যতে একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করব। গুলি খেয়ে মরে যাব তবু একতরফা নির্বাচন আর করতে দেব না।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যে সরকার একটা ডেঙ্গু মশাও মারতে পারছে না তারা কীভাবে দেশ চালাবে? তারা বাজারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরাও সরকারকে পাত্তা দিচ্ছে না। সমস্ত ব্যাংকগুলোর কোষাগার আওয়ামী লীগ খালি করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার বাজারে উড়ছে। রাষ্ট্র চালাতে যে রাজনৈতিক, নৈতিক ক্ষমতা কোনোটাই আর এই সরকারের নেই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। টিকাটুলি হয়ে হাটখোলা মোড়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৭ মিনিট আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৬ ঘণ্টা আগে