নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে মামলা দেওয়াকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের মামলা দেওয়ার প্রবণতাকে গ্রাম্য মাতবরের সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি। তবে এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলেও তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
নেতা কর্মীদের নামে মামলা-হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মামলা দেওয়াটাকে তারা (সরকার) একটা হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। তাদের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে মামলা করা আর মামলা দেওয়া। গ্রামে কিছু মানুষ থাকে যাদের গ্রাম্য ভাষায় বলা হয়ে থাকে মাতবর। এই মাতবরের কাজ—তারা শুধু মামলা খোঁজে। গ্রামের সব লোকেরা তাদের ঘৃণা করে, তাদের ভয় পায় এই ভেবে যে, যদি একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে দেয়। আজকে আওয়ামী লীগের অবস্থা হচ্ছে সেটাই।’
ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা শহরে এখন নতুন করে আবার মামলা দেওয়া শুরু হয়েছে। পুরোনো মামলায় এখন নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই আরেকটা পুরোনো খেলা। এই খেলাই তারা খেলছে ১৪ বছর ধরে যে, মামলা দিয়ে সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘এইভাবে ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। মানুষ জেগে উঠেছে অন্যায়-অত্যাচার, হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে। সমাবেশগুলো দেখেও কি বুঝতে পারছেন না যে, মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের পথকে বন্ধ করা যাবে না।’
আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার নতুন ফন্দিফিকির করছে—এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘এর অংশ হিসেবে মায়ের ডাকের আদলে মায়ের কান্না নামে আরেক সংগঠন করা হয়েছে। তারা মানুষ হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করছে।’ এই বিষয়ে নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাকে হালকা করে নেবেন না। এর মধ্য দিয়ে সুদূরপ্রসারী একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই চক্রান্ত হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষার চলমান আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দেওয়া।’
সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের দাবি খুব সামান্য। আপনি এই মুহূর্তে পদত্যাগ করেন, যদি দেশকে বাঁচাতে চান, জাতিকে বাঁচাতে চান। পদত্যাগ করে সংসদকে বিলুপ্ত করে দেন, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। ওই সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।’
আইএমএফের ঋণ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ঋণ নিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু ঋণ শোধ করবেন কীভাবে? এরই মধ্যে রিজার্ভ শেষ করেছেন, ঋণ শোধ করা কঠিন হবে। অন্যদিকে সমস্ত টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। কি খাতে খরচ করলেন, কোথায় খরচ করলেন, জনগণকে জানালেন না। আইএমএফের ঋণ নিয়ে আবারও আজকে জনগণকে আরেক ঋণের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন।’
চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে মামলা দেওয়াকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের মামলা দেওয়ার প্রবণতাকে গ্রাম্য মাতবরের সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি। তবে এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলেও তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
নেতা কর্মীদের নামে মামলা-হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মামলা দেওয়াটাকে তারা (সরকার) একটা হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। তাদের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে মামলা করা আর মামলা দেওয়া। গ্রামে কিছু মানুষ থাকে যাদের গ্রাম্য ভাষায় বলা হয়ে থাকে মাতবর। এই মাতবরের কাজ—তারা শুধু মামলা খোঁজে। গ্রামের সব লোকেরা তাদের ঘৃণা করে, তাদের ভয় পায় এই ভেবে যে, যদি একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে দেয়। আজকে আওয়ামী লীগের অবস্থা হচ্ছে সেটাই।’
ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা শহরে এখন নতুন করে আবার মামলা দেওয়া শুরু হয়েছে। পুরোনো মামলায় এখন নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই আরেকটা পুরোনো খেলা। এই খেলাই তারা খেলছে ১৪ বছর ধরে যে, মামলা দিয়ে সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘এইভাবে ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। মানুষ জেগে উঠেছে অন্যায়-অত্যাচার, হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে। সমাবেশগুলো দেখেও কি বুঝতে পারছেন না যে, মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের পথকে বন্ধ করা যাবে না।’
আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার নতুন ফন্দিফিকির করছে—এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘এর অংশ হিসেবে মায়ের ডাকের আদলে মায়ের কান্না নামে আরেক সংগঠন করা হয়েছে। তারা মানুষ হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করছে।’ এই বিষয়ে নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাকে হালকা করে নেবেন না। এর মধ্য দিয়ে সুদূরপ্রসারী একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই চক্রান্ত হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষার চলমান আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দেওয়া।’
সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের দাবি খুব সামান্য। আপনি এই মুহূর্তে পদত্যাগ করেন, যদি দেশকে বাঁচাতে চান, জাতিকে বাঁচাতে চান। পদত্যাগ করে সংসদকে বিলুপ্ত করে দেন, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। ওই সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।’
আইএমএফের ঋণ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ঋণ নিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু ঋণ শোধ করবেন কীভাবে? এরই মধ্যে রিজার্ভ শেষ করেছেন, ঋণ শোধ করা কঠিন হবে। অন্যদিকে সমস্ত টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। কি খাতে খরচ করলেন, কোথায় খরচ করলেন, জনগণকে জানালেন না। আইএমএফের ঋণ নিয়ে আবারও আজকে জনগণকে আরেক ঋণের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন।’
প্রস্তাবের মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যা করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে এটি তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে বিএনপি। এ জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিটির সঙ্গে দেখা করবে।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউনের আমন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার গুলশানে তাঁর বাসায় ইইউ অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন
১৬ ঘণ্টা আগে