নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত আওয়ামী লীগকে ‘অস্ত্র হিসেবে’ ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ভারত সব সময় আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক “জনগণের সঙ্গে জনগণের” নয় বা “রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের” নয় বরং “ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের” সম্পর্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের জনগণের বিমাতাসুলভ সম্পর্ক নেই। বরং ভারতের সরকার দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আওয়ামী লীগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমাদের অস্বস্তি সেই জায়গায়।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সাম্প্রতিক কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সব জায়গায়। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বিশ্ব গণমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা অনিরাপদে রয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা মাঠের বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে জানানোর চেষ্টা করেছি।’
হাসনাত বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা ‘অসম চুক্তি’ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফেলানীসহ সীমান্তে যতগুলো হত্যা হয়েছে, সেগুলোর বিচার নিশ্চিত এবং পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয় এবং তাতে মর্যাদা থাকে—এমন কথাও বলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ মনে করে, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা উচিত। সেই কথাটি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।’
ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কটি যেন জনগণের সঙ্গে জনগণের, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের হয়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলামনারা একসঙ্গে লড়াই করব। ভারত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে নির্ভর করে যে অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করেছে।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন, আবারও এ ধরনের অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন, তাহলে ভ্রান্তির মধ্যে আছেন। বর্তমান সরকার জনগণের রায়ে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে। আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে না দেখে, জনগণের দৃষ্টি দিয়ে সরকারের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কোনো কারণে সম্পর্ক খারাপ হলে অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক হাত, একচুল পরিমাণ ছাড় দেব না।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ও মুখপাত্র আবদুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান আবদুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ সরকারকে নিয়ে কী ভাবছে। সামনে সরকারের কী করা উচিত। প্রশাসনিক ব্যবস্থা কীভাবে চলছে। মাঠের সেই চিত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি।’
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে হান্নান মাসুদ বলেন, ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা এখনো ভাঙেনি। সব রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে একমত। সার্বভৌমত্বের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন একসঙ্গে কাজ করবে।
হান্নান বলেন, ‘আমরা সরকারকেও বলেছি উদ্যোগ নিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও উদ্যোগ নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল উপহাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে মিছিল করে ভারতের মুখে চপেটাঘাত করেছে।’
হান্নান আরও বলেন, ‘দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নেই, সম্প্রীতি বিরাজমান। দেশের হিন্দু, মুসলিম একসঙ্গে বাস করে। জাতীয় ঐক্যের জায়গাও আছে।’
দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত আওয়ামী লীগকে ‘অস্ত্র হিসেবে’ ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ভারত সব সময় আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক “জনগণের সঙ্গে জনগণের” নয় বা “রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের” নয় বরং “ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের” সম্পর্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের জনগণের বিমাতাসুলভ সম্পর্ক নেই। বরং ভারতের সরকার দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আওয়ামী লীগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমাদের অস্বস্তি সেই জায়গায়।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সাম্প্রতিক কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সব জায়গায়। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বিশ্ব গণমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা অনিরাপদে রয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা মাঠের বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে জানানোর চেষ্টা করেছি।’
হাসনাত বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা ‘অসম চুক্তি’ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফেলানীসহ সীমান্তে যতগুলো হত্যা হয়েছে, সেগুলোর বিচার নিশ্চিত এবং পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয় এবং তাতে মর্যাদা থাকে—এমন কথাও বলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ মনে করে, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা উচিত। সেই কথাটি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।’
ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কটি যেন জনগণের সঙ্গে জনগণের, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের হয়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলামনারা একসঙ্গে লড়াই করব। ভারত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে নির্ভর করে যে অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করেছে।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন, আবারও এ ধরনের অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন, তাহলে ভ্রান্তির মধ্যে আছেন। বর্তমান সরকার জনগণের রায়ে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে। আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে না দেখে, জনগণের দৃষ্টি দিয়ে সরকারের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কোনো কারণে সম্পর্ক খারাপ হলে অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক হাত, একচুল পরিমাণ ছাড় দেব না।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ও মুখপাত্র আবদুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান আবদুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ সরকারকে নিয়ে কী ভাবছে। সামনে সরকারের কী করা উচিত। প্রশাসনিক ব্যবস্থা কীভাবে চলছে। মাঠের সেই চিত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি।’
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে হান্নান মাসুদ বলেন, ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা এখনো ভাঙেনি। সব রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে একমত। সার্বভৌমত্বের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন একসঙ্গে কাজ করবে।
হান্নান বলেন, ‘আমরা সরকারকেও বলেছি উদ্যোগ নিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও উদ্যোগ নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল উপহাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে মিছিল করে ভারতের মুখে চপেটাঘাত করেছে।’
হান্নান আরও বলেন, ‘দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নেই, সম্প্রীতি বিরাজমান। দেশের হিন্দু, মুসলিম একসঙ্গে বাস করে। জাতীয় ঐক্যের জায়গাও আছে।’
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত হত্যা, পানি বণ্টনসহ সকল রাজনৈতিক সংকট ন্যায্য এবং অধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। অন্যথায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চিরস্থায়ীভাবে শত্রুতা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা।
২ ঘণ্টা আগেসাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে অভিযোগের দায় থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ‘আমরা অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা চাচ্ছি, জাতীয় সরকারের মাধ্যমেই খুনি হাসিনার কাছে স্পষ্ট বার্তা যাবে। রূপরেখা দানের মাধ্যমেই বর্তমান পরিস্থিতির ৮০ শতাংশ সমস্যা নিরসন হবে।’
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজায় আসেন চীন রাষ্ট্রদূত।
৩ ঘণ্টা আগে