অনলাইন ডেস্ক
সংবিধান সংস্কারে ১৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সংসদকে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা, ক্ষমতাসীন দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি না হওয়া, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ (ফ্লোর ক্রসিং) পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুবারের বেশি না হওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরে দলের চেয়ারম্যান জি এম (গোলাম মোহাম্মদ) কাদের এসব কথা বলেন। তিনি জানান, উল্লিখিত প্রস্তাবগুলো ছাড়াও জাতীয় পার্টি পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা, রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের জন্য সংসদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান প্রবর্তন, দুজন ডেপুটি স্পিকারের বিধান রাখাসহ নানা প্রস্তাব জানিয়েছে।
জি এম কাদের জানানা, জাতীয় পার্টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন, সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই রাষ্ট্রপতির প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান, নির্বাচনের সময় কোনো কর্মকর্তা ইসির নির্দেশনা না মানলে নির্বাচন কমিশনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইত্যাদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব হ্রাস ও সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য অধিকার কমিশন ইত্যাদির মতো অন্য সব সাংবিধানিক সংস্থার জন্য একই নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার প্রস্তাব করেছে।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের। তা বিবেচনায় রেখেই সংবিধান সংশোধনে নিজেদের প্রস্তাব তৈরি করেছে জাতীয় পার্টি।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রব্যবস্থা চালুর প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের প্রধান নির্বাহীকে সংসদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া আছে, যা সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০–এর মাধ্যমে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। ৭০ অনুচ্ছেদ যেকোনো সংসদ সদস্যকে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে বাধা দেয়। এই বিধান প্রধানমন্ত্রীকে একতরফাভাবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং সংসদে তা পাস করানোর ক্ষমতা দেয় বলে তা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছি। এটি আমরা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য, একজন ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রী সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একক কর্তৃত্ব নিয়ে কর্তৃত্ববাদী বা স্বৈরাচারী হয়ে না ওঠেন, সেটি নিশ্চিত করা।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ থেকে না হওয়াই ভালো। কারণ, এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।’ সে ক্ষেত্রে সংসদে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, মাসরুর মওলাসহ আরও অনেকে।
সংবিধান সংস্কারে ১৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সংসদকে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা, ক্ষমতাসীন দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি না হওয়া, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ (ফ্লোর ক্রসিং) পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুবারের বেশি না হওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরে দলের চেয়ারম্যান জি এম (গোলাম মোহাম্মদ) কাদের এসব কথা বলেন। তিনি জানান, উল্লিখিত প্রস্তাবগুলো ছাড়াও জাতীয় পার্টি পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা, রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের জন্য সংসদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান প্রবর্তন, দুজন ডেপুটি স্পিকারের বিধান রাখাসহ নানা প্রস্তাব জানিয়েছে।
জি এম কাদের জানানা, জাতীয় পার্টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন, সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই রাষ্ট্রপতির প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান, নির্বাচনের সময় কোনো কর্মকর্তা ইসির নির্দেশনা না মানলে নির্বাচন কমিশনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইত্যাদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব হ্রাস ও সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য অধিকার কমিশন ইত্যাদির মতো অন্য সব সাংবিধানিক সংস্থার জন্য একই নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার প্রস্তাব করেছে।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের। তা বিবেচনায় রেখেই সংবিধান সংশোধনে নিজেদের প্রস্তাব তৈরি করেছে জাতীয় পার্টি।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রব্যবস্থা চালুর প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের প্রধান নির্বাহীকে সংসদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া আছে, যা সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০–এর মাধ্যমে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। ৭০ অনুচ্ছেদ যেকোনো সংসদ সদস্যকে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে বাধা দেয়। এই বিধান প্রধানমন্ত্রীকে একতরফাভাবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং সংসদে তা পাস করানোর ক্ষমতা দেয় বলে তা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছি। এটি আমরা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য, একজন ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রী সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একক কর্তৃত্ব নিয়ে কর্তৃত্ববাদী বা স্বৈরাচারী হয়ে না ওঠেন, সেটি নিশ্চিত করা।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ থেকে না হওয়াই ভালো। কারণ, এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।’ সে ক্ষেত্রে সংসদে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, মাসরুর মওলাসহ আরও অনেকে।
আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানকে দেশছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আসলাম চৌধুরী। সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে গতকাল সোমবার সকালে ঈদুল ফিতরের জামাতে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আসলাম এ হুমকি দেন।
১৬ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য। কারণ, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের কৌশল বদলেছে এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘দিল্লি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও যুদ্ধ চলমান থাকবে। যারাই আপস করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগর এলাকায় নিহত আজাদ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিম
১ দিন আগে