নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপকে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অযৌক্তিক বলে মনে করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এর পরও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে যেসব কর্মসূচি ও সমাবেশ করার ঘোষণা ছিল, সেগুলোর তারিখ পুননির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে, হাট-বাজার, যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে, দোকানপাট, শপিং মল খোলা রাখা যাবে। সারা দেশে মেলার আয়োজন করা যাবে এবং মুজিববর্ষ পালনের কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করা যাবে, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে না। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অগণতান্ত্রিক এবং দমনমূলক বলেই আমরা মনে করি।
সরকার করোনার ডেলটা ও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট প্রতিরোধে যতটা না আগ্রহী, তার চেয়েও বেশি আগ্রহী বিরোধী দল দমনের সুযোগ খোঁজায় উল্লেখ করে বলেন, জনগণকে সচেতন এবং ওষুধ, অক্সিজেন সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করছে বিএনপি। এমনকি সংক্রমণ প্রতরোধের লক্ষ্যে দলীয় কর্মসূচি বন্ধ রেখে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনো আমাদের কাছে জনস্বার্থ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ১১ দফা নির্দেশাবলি জারি হওয়ার আগেও আমাদের দেশের বহু স্থানে-সভা সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এমন দমন-পীড়নে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যায়নি বরং তা আরও বেগবান হচ্ছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ ও অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসাসহ অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজ ও বিশ্ব দরবারে মাতৃভূমির মর্যাদা বিনষ্টকারী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য যথার্থ নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে এবং চলবে।
ইতিমধ্যে জনস্বার্থ ও প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলমান সভা-সমাবেশের তারিখ পুননির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা বিএনপি ও অঙ্গ দলসমূহের সব কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দকে পুনর্নির্ধারিত তারিখে সভা-সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
সম্প্রতি দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গেল ১০ জানুয়ারি উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। তারপর এই দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপকে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অযৌক্তিক বলে মনে করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এর পরও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে যেসব কর্মসূচি ও সমাবেশ করার ঘোষণা ছিল, সেগুলোর তারিখ পুননির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে, হাট-বাজার, যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে, দোকানপাট, শপিং মল খোলা রাখা যাবে। সারা দেশে মেলার আয়োজন করা যাবে এবং মুজিববর্ষ পালনের কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করা যাবে, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে না। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অগণতান্ত্রিক এবং দমনমূলক বলেই আমরা মনে করি।
সরকার করোনার ডেলটা ও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট প্রতিরোধে যতটা না আগ্রহী, তার চেয়েও বেশি আগ্রহী বিরোধী দল দমনের সুযোগ খোঁজায় উল্লেখ করে বলেন, জনগণকে সচেতন এবং ওষুধ, অক্সিজেন সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করছে বিএনপি। এমনকি সংক্রমণ প্রতরোধের লক্ষ্যে দলীয় কর্মসূচি বন্ধ রেখে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনো আমাদের কাছে জনস্বার্থ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ১১ দফা নির্দেশাবলি জারি হওয়ার আগেও আমাদের দেশের বহু স্থানে-সভা সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এমন দমন-পীড়নে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যায়নি বরং তা আরও বেগবান হচ্ছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ ও অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসাসহ অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজ ও বিশ্ব দরবারে মাতৃভূমির মর্যাদা বিনষ্টকারী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য যথার্থ নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে এবং চলবে।
ইতিমধ্যে জনস্বার্থ ও প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলমান সভা-সমাবেশের তারিখ পুননির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা বিএনপি ও অঙ্গ দলসমূহের সব কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দকে পুনর্নির্ধারিত তারিখে সভা-সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
সম্প্রতি দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গেল ১০ জানুয়ারি উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। তারপর এই দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।
বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি’ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে এক কর্মসূচিতে এ দাবি জানিয়েছে দলটি। এ সময় দলটির নেতারা বলেন, যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো এই রাজনীতি করা হয়, তাহল
১৫ ঘণ্টা আগেক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিএনপি। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসন কার্যালয়ে মতবিনময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সর্বহারা পার্টির নেতা সিরাজ সিকদারের গ্ৰাফিতি মুছে ফেলেছে একদল শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের পর তাঁরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে গ্রা
২০ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চারটি সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের দেওয়া কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংস্কারে সম্মতি থাকলেও কিছু প্রস্তাব নিয়ে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে বিএনপির। বি
১ দিন আগে