ক্ষমতায় টিকে থাকার অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ২৪
Thumbnail image
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘হাসিনা (শেখ হাসিনা) চলে যাওয়ার পরে কেন যেন আমরা ঐক্যের জায়গায় থাকতে পারছি না। এখন যেটা শুরু হয়েছে, আমি মনে করি এটা কোনো সুস্থ ব্যাপার না। অসুস্থ একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার জন্য কাতারের আমীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানার তিনি।

‘খালেদা জিয়া ক্ষমতার প্রলোভনে রাজনীতিতে আসেননি’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) যখন এসেছিলেন, তখন তাঁর সামনে প্রধানমন্ত্রীত্বের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। তিনি এসেছিলেন একটি জাতিকে মুক্ত করতে। তিনি দীর্ঘ ৯ বছর লড়াই করেছেন।’

‘খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা’-এ নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি বলি সব সময় খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা...। আমার ওপরে রেগে যায় ফ্যাসিস্টরা, খুব বাজে কথা-বার্তা বলে। তবে এটা সত্যি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, ওই মুহূর্তে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে দুই শিশু বাচ্চা নিয়ে খালেদা জিয়া একা ছিলেন। ওই সময় সৈনিকেরা এসেছে তাঁর কাছে। তারা বলেছে-“আমাদের কমান্ডার তো নাই, তিনি বাইরে আছেন। আমাদের বলেছে অস্ত্র সমর্থন করতে। আমরা এখন কি করব? ” উনি বলেছেন-“তোমাদের কমান্ডার না আসা পর্যন্ত তোমরা একটা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। ” দুঃখজনকভাবে এটাকে কেউ মূল্যায়ন করতে পারে না। তারপরে জিয়াউর রহমান সাহেব যখন চলে গেছেন বিদ্রোহ করে, তখন তিনি একা তাঁর দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে, বোরকা পরে বেরিয়েছেন ঢাকার উদ্দেশে। এই লড়াইকে আমরা মূল্যায়ন করব না?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকায় এসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। সেনাবাহিনী তাঁকে কয়েক মাস কারাবন্দি রেখেছে। ১৬ ডিসেম্বর তিনি মুক্ত হয়েছেন। তিনি যদি মুক্তিযোদ্ধা না হবেন, তো হাসানুল হক ইনু আর আমির হোসেন আমু, যারা ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে বসে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে।’

এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত