নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ উন্নয়নকে সমর্থন জানিয়েছে: সংসদে নৌ-প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩: ১৪
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩: ২০

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ যে উন্নয়নকে সমর্থন করেছে, সেটার প্রতিফলিত হয়েছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখে। যারা নৌকার বাইরে নির্বাচিত হয়েছেন—তাঁরাও শেখ হাসিনার কথা বলে, স্লোগান দিয়ে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনার রাজনীতি মানুষ গ্রহণ করেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে টেনে ধরার জন্য অপরাজনীতি করা হয়; সেটা নিকট অতীতে দেখেছি। বাংলাদেশের নির্বাচন, সংসদ, বাংলাদেশের আইন, নির্বাহী বিভাগ কোনো কিছু মানছে না, সংবিধান মানছে না। বাংলাদেশকে তলিয়ে দেওয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু তাঁরা অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। এ নির্বাচনটাকে (দ্বাদশ নির্বাচন) কত অপকর্ম, কত ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল অথচ আমরা দেখলাম ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ। তাঁরা বলেছিল, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করে দেওয়া হবে, নির্বাচন হবে না, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা সামনের দিকে যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।’

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল বিএনপি, লন্ডনে বসে তারেক রহমান। কিন্তু বাংলাদেশের পথকে বিচ্যুত করতে পারে নাই। দেশের ১৬ কোটি মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে, ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এ সংসদ আগামীতে উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধ্রুবতারা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে বাংলাদেশের মানুষ যখন দিশেহারা, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের জাঁতাকলে পিষ্ট, আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি যখন বন্দী সে সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে ধ্রুবতারা হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে পথচলা, তাঁর হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ। তাঁর প্রতিধ্বনি হয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যে।’

সরকারি দলের হুইপ সাইমুম সরোয়ার বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত। সেখানে বিপ্লবীরা যুদ্ধ করছে। সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রে যারা আছেন, তাঁদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে, বাংলাদেশের পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে, আসুন আপনারা শিক্ষা নিন। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে রক্তাক্ত অধ্যায় বন্ধ হয়েছে সেভাবে আপনারা বন্ধ করুন। আপনারা প্রয়োজনে ফেডারেল গভর্নমেন্ট সৃষ্টি করুন।

তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বলেছেন, মিয়ানমারের যুদ্ধ দীর্ঘ হতে পারে। এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এখন সময় এসেছে, সার্ক অকার্যকর হয়ে আছে; নতুন করে ন্যাটোর মতো বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ নিয়ে নতুন করে আমাদের একটি নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিদ্রোহীদের হাতে মাইন চলে গেছে। যেকোনো সময় মাইন চলে আসতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত