অনলাইন ডেস্ক
মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর। একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পান বীর উত্তম খেতাব। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর ছিলেন ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি সাবসেক্টরের কমান্ডার।
শাহজাহান ওমর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠালগ্নের সদস্যদের মধ্যে একজন ছিলেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঝালকাঠি-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
খালেদা জিয়ার প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ থেকে ১৯ মার্চ ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যানিয়ন্ত্রণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঝালকাঠি-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ভূমি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০০২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালের জাতীয় সম্মেলনের পর বিএনপি শাহজাহান ওমরকে ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষণা করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে অংশও নেন শাহজাহান ওমর। সেদিন পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় তাঁকে আসামিও করা হয়।
৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের ২৪ দিনের মাথায় গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর তাঁর ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সই করা মনোনয়ন ফরমটির ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নেওয়ার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হিসাব করলে দেখা যায়, ৪৪ বছর বিএনপির রাজনীতি করে এবার যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে।
এ বিষয়ে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘বিএনপি থেকে অবসর নেওয়ার বিষয়ে ২০২২-এ আমি চিঠি দিয়েছি। আমি এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।’
বিএনপির কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘আসলে বিএনপিতে কেউ কোনো কথা বলতে চায় না। শুধু তারেক রহমান বিষয় না। সব মিলিয়ে আমি নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না।’
এবার বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন শাহজাহান ওমর। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচনে না যাওয়া ভুল ছিল। ২০১৮-তে নির্বাচনে যাওয়া ভুল ছিল। এবারও নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল। নির্বাচনে গিয়ে দেখতাম কারচুপি হয় কি না?
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় শাহজাহান ওমরকে। চাপে পড়ে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাপ কিসের?’
আরও পড়ুন—
মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর। একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পান বীর উত্তম খেতাব। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর ছিলেন ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি সাবসেক্টরের কমান্ডার।
শাহজাহান ওমর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠালগ্নের সদস্যদের মধ্যে একজন ছিলেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঝালকাঠি-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
খালেদা জিয়ার প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ থেকে ১৯ মার্চ ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যানিয়ন্ত্রণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঝালকাঠি-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ভূমি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০০২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালের জাতীয় সম্মেলনের পর বিএনপি শাহজাহান ওমরকে ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষণা করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে অংশও নেন শাহজাহান ওমর। সেদিন পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় তাঁকে আসামিও করা হয়।
৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের ২৪ দিনের মাথায় গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর তাঁর ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সই করা মনোনয়ন ফরমটির ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নেওয়ার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হিসাব করলে দেখা যায়, ৪৪ বছর বিএনপির রাজনীতি করে এবার যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে।
এ বিষয়ে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘বিএনপি থেকে অবসর নেওয়ার বিষয়ে ২০২২-এ আমি চিঠি দিয়েছি। আমি এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।’
বিএনপির কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘আসলে বিএনপিতে কেউ কোনো কথা বলতে চায় না। শুধু তারেক রহমান বিষয় না। সব মিলিয়ে আমি নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না।’
এবার বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন শাহজাহান ওমর। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচনে না যাওয়া ভুল ছিল। ২০১৮-তে নির্বাচনে যাওয়া ভুল ছিল। এবারও নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল। নির্বাচনে গিয়ে দেখতাম কারচুপি হয় কি না?
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় শাহজাহান ওমরকে। চাপে পড়ে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাপ কিসের?’
আরও পড়ুন—
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
৪ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
৬ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগে